বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
টানটান উত্তেজনায় শেষ হল শেখ রাসেল গোল্ডকাপ;বিজয়ীদের পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিগণ টেকনাফে মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পের উপকারভোগীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ পরবর্তী নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ টেকনাফে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অভাবনীয় সফলতায় মেম্বার এনামের প্রতিষ্ঠিত বালিকা মাদ্রাসা টেকনাফে “অক্সফাম” কর্তৃক ভাউচার প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ “মুক্তি” কক্সবাজার কর্তৃক উপকারভোগীদের মাঝে কৃষি উপকরণ ও নগদ টাকা বিতরণ “বাংলাদেশ সমতা ঐক্য পরিষদ’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী শাখার তৃতীয় মেয়াদে কমিটি গঠিত “মানবাধিকার দিবস” উপলক্ষে টেকনাফে কোস্ট ফাউন্ডেশনের সেমিনার রামুতে সূর্যের হাসি যুব সংঘ ও প্রবাসী ফোরামের উদ্যোগে এসএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা মুক্তি” কক্সবাজার কর্তৃক টেকনাফে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত

অবৈধ দখলদারদের দৌড়াত্বে অতিষ্ট নগরবাসী: প্রশাসনের নজরদারী জরুরী

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২০
  • ৪৭১ বার পঠিত

অবৈধ দখলদারদের দৌড়াত্বে অতিষ্ট নগরবাসী: প্রশাসনের দৃষ্টি কোথায়!

আজকাল দখলবাণিজ্য আর এ নৈরাজ্য ব্যাপকহাড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায়শই শোনা যায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় এক দল অসাধু লোক ক্ষমতার দাপটে অবৈধভাবে জায়গা দখল বাণিজ্য করে আসছেেএত করে যেমন জমি মালিকের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তেমনি অবৈধ দোকান বা বাণিজ্যের কারণে এলাকার সাধারণ জনতা থেকে শুরু করে পথচারিরা ব্যাপক কষ্ট পোহাচ্ছেন। তেমনি এক খবর উঠে এসছে দেশের জাতীয় কিছু দৈনিকে।

রাজধানীর আনারকলি সুপার মার্কেটের গাড়ি রাখার জায়গা দখল করে তৈরি করা হয়েছে অবৈধ দোকানপাট। জায়গার মালিক সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, কারা দোকান বসিয়েছে তারা জানে না। দোকানিদের দাবি, স্থানীয় যুবলীগের নেতাদের নিয়মিত ভাড়া দেন তাঁরা। এসব অবৈধ দোকানের কারণে মার্কেটের সামনে এবং পাশে সিদ্ধেশ্বরী রোডটিতে সব সময় প্রচণ্ড যানজট লেগেই থাকে।

দেখা যায়, আনারকলি সুপার মার্কেটের পেছন দিকে গাড়ি রাখার জায়গায় স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকান গড়ে উঠেছে। স্থায়ী দোকানগুলোর নাম দেওয়া হয়েছে ‘আনারকলি প্লাস সুপার মার্কেট’। টিনের ছাউনির স্থায়ী দোকানগুলো সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বসানো হয়েছে। ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরে তখনকার পরিচালনা পর্ষদ এসব স্থায়ী দোকানের অনুমতি দিয়েছে বলে স্কুল সূত্রে জানা যায়।

গাড়ি রাখার জায়গায় দোকান দেওয়ায় মার্কেটে গাড়ি রাখার স্থান কমে গেছে। চলাচলের পথও সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে এখানে সারাক্ষণ তীব্র যানজট হচ্ছে। সিদ্ধেশ্বরী রোডটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা ভিকারুননিসা নূন স্কুলে যাতায়াত করেন। আনারকলি মার্কেটের সামনের যানজটের কারণে পুরো সড়কটি স্থবির হয়ে থাকে। প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করতে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের প্রচণ্ড দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আনারকলি প্লাস সুপার মার্কেটের সামনে বাঁশের গাঁথুনির ওপর পলিথিনের ত্রিপল টানিয়ে, বাঁশের মাচা দিয়ে গড়ে উঠেছে আরও ২০-২৫টি অস্থায়ী দোকান। এমনভাবে দোকানগুলো বানানো হয়েছে যে বাইরে থেকে দেখলে মনে হয়, এগুলোও আনারকলি প্লাস সুপার মার্কেটের অংশ। এসব অস্থায়ী দোকান গড়ে উঠেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অস্থায়ী দোকানি বলেন, তাঁদের কাছ থেকে মাসে ৬-১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করা হয়। স্থানীয় ১৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা মাসুদ রানা এই ভাড়া নেন। মাসুদ রানা স্থানীয় যুবলীগ নেতা |

আনারকলি মার্কেটের পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের পাশে মাসুদ রানার কার্যালয় বলে ব্যবসায়ীরা জানান। সেখানে গেলে উপস্থিত এক যুবক বলেন, ‘মাসুদ ভাই কখন আসবে ঠিক নাই।’ মাসুদ রানার মুঠোফোন নম্বর চাইলে তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন ওই যুবক।

১৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন ,মাসুদ রানা দুই বছর আগেও সালে নানান অভিযগে বহিস্কার করা হয় কিন্তু সে বহিস্কৃত হয়েও মার্কেট ফুটপাত থেকে ১৫ লক্ষ টাকার মতন চাঁদা তুলে .আর কেউ তার বাহিরে অভিযোগ করলে গুলবাগ এ তার নিজস্ব টর্চার সেলে অত্যাচার করে .আর বর্তমানে আধিপত্য ধরে রাখার জন্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী মানিক কে ফোনে ধরিয়ে দেয় .শুদ্ধি অভিযানের আগে তার সিদেস্বরী মাঠের কোনায় প্রতি রাতে জুয়ার আসর বসত .

আনারকলি সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিভোর চন্দ্র দে বলেন, ‘বাইরে পার্কিংয়ের জায়গায় গড়ে ওঠা দোকানগুলোর সঙ্গে দোকান মালিক সমিতির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে। মার্কেটের দোকানগুলো যাতে বাইরে মালামাল না রাখে, সে জন্য মালিক সমিতির পক্ষ থেকে লাল দাগ দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে কথা বলতে স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মুন্সী কামরুজ্জামানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ ফরিদুজ্জামান পার্কিংয়ের দোকানগুলোর বিষয়ে নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা দোকানগুলো বরাদ্দ দিয়ে যান। কিছু দোকান থেকে এক বছর ধরে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো ভাড়া পাচ্ছে না।’

পলিথিনের ত্রিপল দিয়ে গড়ে ওঠা অস্থায়ী দোকানগুলোর বিষয়ে শেখ ফরিদুজ্জামান বলেন, ‘এগুলো কারা করছে আমরা জানি না। আমরা শিক্ষক। চুপচাপ থাকি। বাইরের বিষয়ে নাক গলাতে যাই না।’

স্কুলের মাঠ দখল করে বসানো হয়েছে জেনারেটর। অভিযোগ আছে এই জেনারেটর দিয়ে বাণিজ্যিক লাইন দিয়েছেন স্থানীয় ১৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা। কিন্তু ব্যবস্থা নিতে পারেননি সাবেক কাউন্সিলর। তিনি অবৈধ টাকায় অনেক ফ্লাট কিনেছেন বলে জানা যায়।

সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের আখড়ায় পরিণত করেছে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মাসুদ রানা ও তার সহযোগীরা। তাদের অবৈধ কাজে বাধা দেয়ায় একের পর এক হামলা, মারধর ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষিকারা। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে দেওয়া হয়েছে হত্যার হুমকি। এ ঘটনায় রমনা থানায় মামলা হয়েছে বলেও জানা যায়।

তবে কেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিরব ভুমিকায় আছে এটা নিয়ে জনসাধারণের মনে অনেক প্রশ্ন। আশা করা হচ্ছে এমন সব অবৈধ কাজে প্রশাসন দৃষ্টিপাত করবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এটাই প্রশাসনের কাছে চাওয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs
error: Content is protected !!