প্রতারক ইমরান মাহমুদ রনি ওরফে ইমরান হোসেন ও মদতদাতা আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে চিপ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্টেট আদালত চট্টগ্রাম এ মানহানি সহ প্রতারণার মামলা করেছে বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও মানবাধিকার সংগঠক মোঃ সেলিম হোসেন চৌধুরী।
চট্টগ্রাম মহানগর মোটর চালক লীগের কথিত সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয়দানকারী প্রতারক ও বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের হোতা ইয়াবা ব্যবসায়ী ইমরান মাহমুদ রনি ওরফে ইমরান হোসেন সহ তার সব অপকর্মে সহযোগিতাকারী বহু মামলার আসামি এইটা মাডার মামলার প্রধান আসামি সাজ্জাদ এর সহযোগী আবদুল্লাহ আল মামুন গংদের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও মানবাধিকার সংগঠক মোঃ সেলিম হোসেন চৌধুরী।
বিগত চার বছর আগে মানবাধিকার কর্মী হিসেবে প্রতারক ইমরান মাহমুদ রনি ওরফে ইমরান হোসেন মোঃ সেলিম হোসেন চৌধুরী সাথে কাজ করতো, সেই সুবাদে ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করতেন।
সেই সরলতাকে পুঁজি করে প্রতারক ইমরান মাহমুদ রনি ওরফে ইমরান হোসেন তার একজন পাওনাদারকে দেখিয়ে কিছুদিন সময় নেওয়ার জন্য মোঃ সেলিম হোসেন চৌধুরী কাছ থেকে একটি চেক চাহিলে এবং ইমরান মাহমুদ রনি ওরফে ইমরান হোসেনের কোন ব্যাংক হিসাব নাই বলাতে তিনি সরল বিশ্বাসে একটি চেক কিছুদিনের জন্য প্রদান করেন। বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর মোঃ সেলিম হোসেন চৌধুরী সেই চেকটি ফেরত চাহিলে প্রতারক ইমরান মাহমুদ রনি ওরফে ইমরান হোসেন তা আজকাল করে কালক্ষেপণ করিতে থাকে, এবং একসময় বলে চেকটি কোথায় রেখেছে এখন খুজে পাচ্ছেনা। সেলিম হোসেন চৌধুরী তার কথায় বিশ্বাস করে সেই চেকের বিষয়ে আর কোন কিছু জিগ্যেস না করে উনার কর্মে তিনি ব্যাস্ত ছিলেন।
তিনি কর্ণফুলী গ্যাস ডিষ্টিভিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর তালিকা ভুক্ত ঠিকাদার, মেসার্স রোকেয়া হাসান ট্রেডার্স এলপি গ্যাসের সরবরাহকারী, মেসার্স বায়েজিদ বোস্তামী সবজি ভান্ডারের সত্তা অধিকারী সেই সাথে রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে নিয়োজিত। গত কয়েকমাস আগে তিনি পরিচিত লোকজনের মারফতে জানতে পারেন প্রতারক ইমরান মাহমুদ রনি ওরফে ইমরান হোসেন বলে বেড়াচ্ছেন সে সেলিম হোসেন চৌধুরীর কাছে একলক্ষ টাকা পাবে এবং তারকাছে চেক আছে, এই কথাটা জানার পর প্রতারক ইমরান মাহমুদ রনিকে এই বিষয়ে জিগ্যেস করেন এবং সেলিম হোসেন চৌধুরী চেকটি ফেরত দিতে বলেন কিন্তু চালবাজ ধূর্ত ইমরান আবারো বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন চেক ফেরত না দেওয়ার জন্য, তখন মোঃ সেলিম হোসেন চৌধুরী গত ৩ এপ্রিল ২০২০ তারিখে পাচলাইশ ৩নং ওয়ার্ডে কয়েকজন স্থানীয় ব্যাক্তি বর্গ নিয়ে ইমরান মাহমুদ রনি ওরফে ইমরান হোসেন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এবং চেক ফেরত এর আবেদন করেন। এই সময় বিচারে উপস্থিত ছিলেন ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগ এর অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব এটি এম জমির উদ্দীন মানিক, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ বায়েজিদ থানা কমিটির সভাপতি আওয়ামীলীগ নেতা এস এম ইয়াকুব আলী, ওয়ার্ড আওয়ামিলীগ নেতা হাজী মোঃ শাহেদ, যুবলীগ নেতা মোঃ ওসমান গনি ভান্ডারী সহ আরো কয়েকজন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সেই বৈঠকে আবদুল্লাহ আল মামুন ও উপস্থিত ছিলেন এবং সেই বৈঠকে প্রতারক ইমরান মাহমুদ রনি তার দোষ স্বীকার করেন এবং চেকটি প্রধান বিচারক আলহাজ্ব এটি এম জমিরউদ্দীন মানিক সাহেবের কাছে ফেরত দিবে বলে মৌখিক অঙ্গিকার করেন,কিন্তু বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর ও উক্ত চেকটি বিচারক আলহাজ্ব এটি এম জমিরউদ্দীন মানিকে ফেরত না দেওয়ার কারনে গত ১০ আগষ্ট ২০২০ ইংরেজি মোঃ সেলিম হোসেন চৌধুরী বায়েজিদ বোস্তামী থানায় প্রতারক ইমরান মাহমুদ রনি ওরফে ইমরান হোসেন এর বিরুদ্ধে একটি চেক উদ্ধারের অভিযোগ দায়ের করেন,থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রিটন সরকার বিষয়টি তদন্ত করে সমাধান করার জন্য এ এস আই রাজিব বড়ুয়াকে দায়িত্ব প্রদান করেন। এ এস আই রাজিব বড়ুয়া বেশ কয়েকবার মুঠো ফোনে ইমরান মাহমুদ রনি ওরফে ইমরান হোসেনকে থানায় আসতে বললে সে থানায় না এসে চোরের মতো লুকিয়ে থাকেন,সে কারনে ইমরান মাহমুদ রনি ওরফে ইমরান হোসেনকে খুজতে গত ১৬ আগষ্ট ২০২০ ইংরেজি তারিখে এ এস আই রাজিব বড়ুয়া পুলিশ ফোর্স নিয়ে ইমরান মাহমুদ রনি ওরফে ইমরান হোসেনের বাসভবন করিমগঞ্জ ছাগলিয়া পাড়ায় গিয়ে এই প্রতারকে খুজে পাননি। এই কথা জানার পর প্রতারক ইমরান গত ২০ আগষ্ট চট্টগ্রাম মহানগর অতিরিক্ত চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেড আদালতে এসে মোঃ সেলিম হোসেন চৌধুরী বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা বানোয়াট প্রতারণা মামলা করে দেন, সেই মামলা বিষয়ে মোঃ সেলিম হোসেন চৌধুরী জানতে পেরে গত ২১ এপ্রিল ২০২০ ইংরেজি সেই মিথ্যা মামলা থেকে জামিন নেন। এরপর থেকে এই প্রতারক বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যম সেলিম হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়া আরম্ভ করেন। এবং আবদুল্লাহ আল মামুনের সহযোগিতায় কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় ছবি দিয়ে ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করেন, এগুলো দেখে মানবাধিকার সংগঠক মোঃ সেলিম হোসেন চৌধুরী চিপ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্টেট চট্টগ্রাম কোর্টে এই প্রতারক গংদের বিরুদ্ধে মানহানি সহ প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করার জন্য ডিসি ডিবি কে দায়িত্ব দেন বিজ্ঞ আদালতের ম্যাজিষ্টেট জনাব মহিউদ্দিন মুরাদ মহোদয়।
মামলাটি তদন্তনাধীন আছেন।