পাবনার ঈশ্বরদীতে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এরমধ্যে ৪জনের অবস্থা আশংকাজনক। তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সকিব হোসেন। বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ চলে বেলা ২টা পর্যন্ত।
গুরত্বর আহতরা হলেন, ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ইছাহাক মালিথা, মুলাডুলি ইউনিয়নের কৃষকলীগের সভাপতি বক্কার মালিথা, যুগ্ন সম্পাদক কবির মালিথা ও উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের ছেলে রবিন।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিসে উপনির্বাচনের কমিটি হওয়ার কথা ছিল। এ সময় দলীয় কার্যালয়ে পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টু গ্রুপ ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ইছহাক মালিথা গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের দখল নেওয়ার সময় ভয়াবহ সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়। এ সময় সাধারন সম্পাদক ইছহাক মালিথার উপর হামলা করা হলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। হামলায় ৪জনকে ছুরিকাঘাতসহ ২০জন আহত হয়। আহতদেরকে ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ৪জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থান্তর করা হয়। আহতদের মধ্যে বেশিরভাগ বেসরকারী ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন ৪জন আহতের কথা জানান। সেই সাথে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোন পক্ষ মামলা দায়ের করেননি।