কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়ন এর মধ্যম হলদিয়া নলবনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হলদিয়া কমিউনিটি হাসপাতালের পাশে অবস্থিত মরিচ্যা-পাতাবাড়ি যোগাযোগ সড়কের গুরুত্বপূর্ণ একটি (কালভার্ট) বেঙ্গে যায়। বেঙ্গে যাওয়ার ফলে হাজার বছরের চলাচলের সংযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে প্রতিদিন লোকালয় মধ্যে কানাঘুষা চলছে। এবং চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি শীঘ্রই যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতেপারে এমন মন্তব্য করেন তারা। পূননির্মান দ্রুত ব্যবস্থানিতে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার, ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও উখিয়া, ডিসি কক্সবাজার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন (দৃৃষ্টিপাত) করেছে এলাকার সচেতন মহল। এবং এমন অবস্থা হয়ে থাকলে রাতের অন্ধকারে গুরুত্বপূর্ণ কাজে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিন চলাচল হুমকিও রয়েছে বলে দাবি করেন সচেতন জনতা। পুলটি (কালভার্ট) এভাবে থাকলে এক্সিডেন্টের সম্ভাবনাও বেশি রয়েছে।
এই রোড দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলাবাসী । এমনও কি বর্তমানে উখিয়ার গুরুত্ব পূর্ণ যোগাযোগ সড়কের মধ্যে অন্যতম সড়ক হয়ে দাড়িয়েছে এইটি। এবং সরকারি, বেসরকারি, এনজিও এবং বাংলাদেশ মায়ানমার সীমানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে প্রশাসন ব্যবহার করে এই রোডটি দিয়ে। রোহিঙ্গা আসার পর থেকে আরও বেশি ব্যবহারের উপযোগী হয়ে দাড়িয়েছে মরিচ্যা- হলদিয়া যোগাযোগ সড়কটি। উখিয়া-টেকনাফ-নাইক্ষ্যংছড়ি, ঘুমাধুম এবং কক্সবাজার অসংখ্য মটর গাড়ী, টমটম, সিএনজি, ডাম্পার, ট্রাক গাড়ী সহ আরোও অন্যান গাড়ী চলাচলে নির্ভর করে (মরিচ্যা-হলদিয়া-পাতাবাড়ি) রোড়টির উপর। কর্তৃপক্ষ অতিশীঘ্রই ব্যবস্থা না নিলে সরকার ও জনগনের অনেক ক্ষতি হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করে গাড়িচালক ও সচেতন জনতা।
এই ব্যাপারে হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সরওয়াল কামাল বাদশার কাছে জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন কালভার্টটি নিম্নমানের রড, সিমেন্ট এবং বালু ব্যবহার; উখিয়া,টেকনাফ,কক্সবাজার,নাইক্ষ্যংছড়ি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হওয়ায় ভারি যানবাহন চলাচলের নষ্টের মূল কারণ।
হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এর সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন যেহেতু রোডটি এলজিইডির আওতায়, ইউনিয়নের কোন বরাদ্দ না থাকায়, ইউনিয়ন ব্যবস্থা নিতে পারছে না। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম ইতিমধ্যে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার, ইউএনও এবং কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে তারা ড্রয়িং করে ঢাকায় পাঠিয়েছে।
হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোঃ শাহ আলমের কাছে বিষয়টি জানার জন্য একাধিকবার ফোনে চেষ্টা করার পরও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই।