পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে মিনায়। সৌদি আরবের জাতীয় রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ মহামারীর কারণে এবার হজের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যবিধি জারি করেছে
সেই বিধি অনুযায়ী , হজ পালনকারীরা কাবা শরীফে ও কালো পাথরে চুমু খেতে বা স্পর্শ করতে পারবেন না এবং শয়তানের উদ্দেশে পাথর ছুঁড়ে মারার জন্য আগে থেকে জীবাণুমুক্ত প্যাকেটজাত পাথর ব্যবহার করতে হবে। হজ পালনকারী ও হজে দায়িত্বপালনকারীদের অবশ্যই সুরক্ষা মাস্ক পড়তে হবে এবং তা ব্যবহার শেষে সুনির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। হজ পালনকারীরা যেখানেই সমবেত হোন না কেন দুজনের মধ্যে অন্তত দেড় মিটার দূরত্ব রাখতে হবে
স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাত্রিযাপনের পর , আজ বৃহস্পতিবার ২৯ জুলাই সূর্যোদয়ের পর মিনা থেকে আরাফাতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন হাজিরা।
জানা গেছে , ১৬০ টি দেশের স্বল্প সংখ্যক হাজী সীমিত পরিসরে এবার হজে অংশ নিচ্ছেন। যাদের মধ্যে বাংলাদেশের সংখ্যা মাত্র পাঁচজন। এবার হজের খুতবা বাংলায় সহ দশটি বাসায় অনূদিত করা হবে।
হজযাত্রীদের উত্তম সেবা দেয়ার জন্য এ বছর মিউনিসিপ্যালিটি নিয়োগ দিয়েছে কমপক্ষে ১৮ হাজার ৪৯০ জন কর্মী। হজের পবিত্র স্থানগুলোসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২৮টি নতুন ও পূর্ণাঙ্গ সরঞ্জামে সুসজ্জিত সার্ভিস সেন্টার বসানো হয়েছে।
এসব স্থানে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে কমপক্ষে ১৩ হাজার ৫০০ পরিচ্ছন্নকর্মী। পবিত্র মিনায় ৮৭ হাজার ৯০০ আন্ডারগ্রাউন্ড আবর্জনার কন্টেইনার স্থাপন করা হয়েছে।
এবারের হজে যারা অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন তারা মক্কায় উপস্থিত হওয়ার পরপরই তাদের দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা ও ভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের হজ শুরুর আগে ও পরে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।