çভাইরাসের মৃত্যুর ভয়ে সব ডাক্তাররা পালিয়ে গেলেও কিন্ত সাহস করে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আজ এই মহামাারি করোনা ভাইরাসের মধ্যে সাধারণ জনগনও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পল্লী চিকিৎসক ডাক্তার নুরুল কবির।
মার্চ মাস থেকে দেশে করোনা আক্রান্ত শুরু হয়। তখন থেকে দিনদিন আক্রান্ত সংখ্যা ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাই। তখন করোনার ভয়ে দেশের নামি -দামি ডাক্তাররা মৃত্যুর ভয়ে পালিয়ে যায়। সরকারের ভয়ে প্রাইভেট ক্লিনিক গুলো খোলা থাকলেও তার মধ্যে ডাক্তার নেই। যার কারণে ভোগান্তিতে সাধারন মানুষ!
চিকিৎসার অভাবে প্রত্যেকদিন অনেক মানুষের মৃত্যু ও হচ্ছে।
এই অবস্থায় নিজের পরিবারের কথা চিন্তা না করে মানব সেবায় বেরিয়ে পরেন ডাক্তার নুরুল কবির।
এই বিষয়ে জানতেে চাইলে স্থানীয় রাজিয়া বেগম (৪০) বলেন,
আপনিই যা পারেন করেন। মরলে মরব, তবু হাসপাতালে যাব না!’ বললেন চল্লিশোর্ধ্ব গৃহিণী রাজিয়া বেগম । রাজিয়ার ১২ দিন ধরে খুব কাঁশি। আর সহ্য করতে না পেরে এসেছেন বাজারের ফার্মেসিতে। এখানে বসেন তাঁর বহু বছরের পরিচিত ও আস্থার মানুষ গ্রাম ডাক্তার নুরুল কবির।
ডাক্তার নুরুল কবির রাজিয়াকে পরামর্শ দিয়েছিলেন টেকনাফে গিয়ে করোনার পরীক্ষা করাতে। তাঁরই উত্তরে রাজিয়া জোর দিয়ে বলেন কোনোভাবেই তিনি হাসপাতালে যাবেন না।
‘ধরে নিয়ে যাবে’, ‘আত্মীয়স্বজন লাশও দেখতে পাবে না’—এ ধরনের অসংখ্য গুজব উড়ে বেড়াচ্ছে চারদিকে। আর খবরে দেখা রোগীদের ভোগান্তি এবং চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর কাহিনী তো আছেই। তাই রাজিয়ার মতো অনেকেই আজকাল ভয়ে উপসর্গ লুকিয়ে বাড়িতে বসে আছেন। শরীর বেশি খারাপ হলে এলাকার ফার্মেসি থেকেই যা চিকিৎসা নেওয়ার নিচ্ছেন।
রাজিয়ার কথায় নুরুল কবির একটু অপ্রস্তুত হলেন। একটু ভয়ও যে লাগল না তা নয়। সবই বুঝে ওঠার আগে থেকেই তো তিনি খবরে দেখছেন সারা বিশ্বে করোনার ধ্বংসলীলা। গত দুই মাস জ্বর-কাশির কোনো রোগী দেখলেই ভয় হয়, না জানি করোনার রোগী! নিজের জন্য ভয় পান না তিনি। গত ১৫ বছরে এ পেশার কারণে বহুবার তাঁকে জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়েছে। মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে তিনি রোগী দেখে থাকেন। তাঁর বিজিট মাত্র ১০০টাকা। এই অল্প টাকায় তিনি অনেক খুশি। তার থেকে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন টাকা বড় কথা না মানুষের সেবা করাটা বড় কিছু। এই টাকা দিয়ে কি হবে যদি এই পৃথিবীতে বেঁচে না থাকি। আমি প্রতিদিন ২০-৪০জন রোগিকে দেখে থাকি। বেশির ভাগ রোগীরা হচ্ছেন জ্বর কাঁশি। তাতে আমি ভয় না পেয়ে সেবা করে যাচ্ছি। মানুষের সেবা করাটা-ইপৃথিবীর শ্রেষ্ট ধর্মের কাজ।