-সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলায় অসংখ্য সিএনজি গাড়িতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘দৈনিক পৃথিবীর কথা’ নামে ষ্টিকার লাগিয়ে চালকদের কাছ থেকে গাড়ি প্রতি ১৫ শত থেকে দুই হাজার টাকা মাসোয়ারা আদায় করে অপ-সাংবাদিক টোকেন বাণিজ্যে হোতা ফয়সাল কাদির।
সম্প্রতি ফয়সাল কাদির ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সিলেটের সকল স্থানীয় দৈনিক ও অনেক জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশ সুপারের নির্দেশে কানাইঘাট ট্রাফিক পুলিশ ষ্টিকার লাগানো গাড়ি আটক করেন।
সিএনজি স্ট্যান্ডের সকল শাখার নেতৃবৃন্দ কোন চালককে গাড়িতে সংবাদপত্রের সুনাম ক্ষুন্ন করে গাড়ি না চালানোর জন্য নির্দেশ দেওয়ার পর গত কয়েক দিন থেকে চালকরা তাদের গাড়ী থেকে সংবাদপত্র পরিবহনের নাম মুছে ফেলেছে। কিন্তু বর্তমানে উনার অপ-সাংবাদিকতার পাওয়ার আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে নতুন পত্রিকার নাম দিয়ে আবার শুরু করেছেন বাণিজ্য।
অনেক চালক জানিয়েছেন ফয়সাল কাদিরকে মাসিক ২ হাজার টাকা প্রদান করলে সে সিলেট শহর পর্যন্ত অনটেস্ট সিএনজি গাড়ী নিরাপদে চলাচলের নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এই ফয়সাল কাদির সিএনজি চালকদের কাছ থেকে মাসোয়ারার মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পর টোকেন বাণিজ্য বন্ধ হওয়ায় নানা অপকর্মের হোতা ফয়সাল কাদির ও তার সহযোগি কয়েকজন ভুঁইফোড় সাংবাদিক তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেইজে কানাইঘাটের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তথ্য সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে এবং তারা সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের নিয়ে হুমকির মতো কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে। তবে ফয়সাল কাদিরের বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আইনের আশ্রয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম কর্মস্থলে যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন প্রদক্ষেপ গ্রহন করায় সিলেট জেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতিসহ সকল অপকর্মের সাথে জড়িতরা বর্তমানে দিশাহারা হয়ে পড়েছে।
অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের নাম দিয়ে সিএনজি টোকেন বাণিজ্য বন্ধে ও ফয়সাল কাদিরের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।