টেকনাফে বিজিবি জওয়ানেরা নয়াবাজার পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে মিয়ানমার থেকে আনার সময় ৬০হাজার পিস ইয়াবাসহ খারাংখালীর মাদক পাচারকারী হেলালকে আটক করেছে।
সুত্র জানায়, ১২সেপ্টেম্বর (শনিবার) রাতের প্রথম প্রহরের দিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঝিমংখালী বিওপির বিশেষ একটি টহল দল মিনাবাজার-নয়া বাজারের মধ্যবর্তী পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার হতে ইয়াবার চালান আসার সংবাদ পেয়ে ৫নং সুলিশ গেইট পয়েন্টে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর মিয়ানমার থেকে আসা নৌকা হতে নেমে ৩জন ব্যক্তি বস্তা কাঁধে নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে উঠতে চাইলে বিজিবি জওয়ানেরা চ্যালেঞ্জ করে। তখন পালিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবি জওয়ানেরা ধাওয়া করে ১টি ইয়াবার বস্তাসহ খারাংখালী পূর্ব মহেশখালীয়া পাড়ার জালাল আহমদের পুত্র হেলাল উদ্দিন (২৬) কে আটক করে।
এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরের পর জব্দকৃত ইয়াবাসহ ধৃত মাদক কারবারীকে টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে বলে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) নিশ্চিত করেন।
গোপনীয় সুত্রে প্রকাশ,উক্ত পয়েন্টে বেশ কয়েকটি মৎস্যঘেঁর রয়েছে। সংঘবদ্ধ মাদক কারবারীরা প্রচুর পরিমাণ মাদকের চালান এনে বিক্রি ও সরবরাহ করতে না পেরে মাটিতে পুঁতে রেখেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে মাদক বিরোধী অভিযান চলাকালে ফেরারী ও বিদেশ পালিয়ে থাকা পূর্ব মহেশখালীয়া পাড়ার বাঁচা মিয়ার পুত্র আমির হোছন, সোলতান আহমদের পুত্র রফিকুল আলম, নজির আহমদের পুত্র জালাল উদ্দিন, জহির আহমদের পুত্র আব্দু রহিম মেজর, গোলাম হোছনের পুত্র ছৈয়দ আলম, পুতিক্কা, আবুল মঞ্জুরের পুত্র মোঃ রাশেদ, মঞ্জুর, খোকন, ইউনুছ, সরওয়ারসহ বেশ কিছু সদস্য এলাকায় ফিরে এসে অবস্থানের পর বেপরোয়া চলাফেরার কারণে স্থানীয় ইয়াবা কারবারীরা চরম বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে।