প্রতিদিন রাত পোহালেই ৫নং বাহারছড়া ইউনিয়নের মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমজাদ হোসেন খোকনের বৈঠকখানায় দেখা যায় মানুষের আনাগোনা।
তাদের কেউ নিজের সমস্যা, কেউ অন্যের সমস্যা বলতে এসেছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একে একে নিজের মতো করে ভালো-মন্দ সবই খুব কাছ থেকে মন খুলে বলছেন তাঁরা।তাদের কথা গভীর মনযোগ দিয়ে শুনছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আমজাদ হোসেন খোকন।কথা শেষে সবাই হাসিমুখে বাড়ি ফিরতে দেখা যায়।
এলাকার মানুষের আলাপচারিতায় একজন সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের কথা উঠলে সর্বাগ্রে যে মানুষটির নাম উঠে আসে তিনি হচ্ছেন আমজাদ হোসেন খোকন। বাহারহড়া ইউনিয়নের প্রতিটি পাড়া, মহল্লার মানুষ তাকে “খোকন ভাই ’ নামে চেনেন এবং জানেন।চেয়ারম্যান হয়ে বাহারছড়া ইউনিয়নের রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি সরবরাহ, পানি নিষ্কাশন ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের মাধ্যমে গর্ব করার মতো একটি সুন্দর ইউনিয়ন উপহার দিতে চান তিনি।
আমজাদ হোসেন খোকনের জন্ম টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে।সে ছাত্র জীবন থেকে তৃণমূল পর্যায়ের রাজনৈতিক কর্মকান্ড, নেতাকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে নেতৃত্ব দেয়া ও এলাকার মেহনতি-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং কিভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয় সেগুলি শিখেছেন।
সে ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের নেতৃতের সাথে জড়িত ছিলেন।এখন আমজাদ হোসেন খোকন যুবলীগ নেতা ও একজন মুজিব আদর্শের সৈনিক হিসেবে মানুষের কাছে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন।
আমজাদ হোসেন খোকন উল্লেখযোগ্য সমাজসেবা মূলক কর্মকান্ডের মধ্যে জড়িত রয়েছে- কোরবানীর ঈদে গ্রামের গরিবদের জন্য আলাদা কোরবানী দিয়ে নিজ হাতে গোস্ত বণ্ঠন করা, প্রতিবছর এলাকার শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা, এলাকার দরিদ্র শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ানো। এছাড়াও করোনার এ দু:সময়ে রাতের আঁধারে গ্রামের অসহায়দের ঘরে ঘরে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন বলেও জানা যায়।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর ইউপি নির্বাচনের জন্য একজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ছুটে চলেছেন এ সমাজসেবক। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও হিতাকাঙ্খিদের নিয়ে ভোটের জন্য দোয়া ও সমর্থন চাইছেন। তরুণ প্রজন্মের নতুন ভোটারসহ সাধারণ মানুষের থেকে ব্যাপক সাড়াও পেয়েছেন তিনি ।
আগামী ইউপি নির্বাচনে ইউনিয়নের তরুণ প্রজন্মসহ সচেতনমহল ও বাহরছড়া ইউনিয়নের রাস্তাঘাট,হাট-বাজার,বিদ্যুৎ,পানি ও স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে ভবিষ্যৎ কারীগর হিসেবে আসজাদ হোসেন খোকনকে নিয়েই ভাবছেন।এখন নির্বাচনী আলোচনায়ও তিনি এগিয়ে বলে মন্তব্য করেন সাধারণ মানুষ।
অন্যদিকে সাধারণ নাগরিকদের অভিযোগ,বিগত কয়েকটি ইউপি নির্বাচনের আগে অনেক সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের দেওয়া উন্নয়নের প্রতিশ্রæতির বেশিরভাগই বাস্তবায়ন হয়নি। ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তা কয়েকবছর ধরে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে যেগুলো মেরামত করে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন কিন্তু এখনো তা করেননি। রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছে নোংরা-আবর্জনার স্তুপ, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধও।এছাড়াও ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে ।
যদিও কাগজে-কলমে উন্নয়ন হলেও বাস্তবে তেমন নয় বলে জানান অনেকে।
আবার এদিকে ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্রীড়াঙ্গন ও সাংস্কৃতিক জগতে আমজাদ হোসেন খোকনের রয়েছে অবাধ বিচরণ। এলাকার ক্রিকেট ও ফুটবল প্রেমিকরা তাদের আবদার নিয়ে তাঁর নিকট গিয়ে কখনো খালি হাতে ফেরেনি বলে জানান খেলোয়াড়রা।
অর্থের অভাবে যেনো তার এলাকার কোনো দরিদ্র ছেলেমেয়ের পড়ালেখা বন্ধ না হয়, সেদিকে আমজাদ হোসেন খোকনের সুনজর খুবই সচল। এ ধরণের একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি আগামীতে জনপ্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেলে এলাকায় শিক্ষা ও সংস্কৃতি জগতে অসাধারণ পরিবর্তন ঘটবে’এমনটি জানিয়েছেন ইউনিয়নবাসী ।
একান্ত সাক্ষাতকালে খোকন বলেন, ‘এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা আমি আমার রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক আওয়ামীলীগের শীর্ষস্থানীয় মুজিব আর্দশের সৈনিক গুরুজনদের খুব কাছ থেকেই পেয়েছি।আমি যেনো সারাজীবন মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে পারি সে প্রাত্যাশা নিয়ে কাজ করছি এবং এতে আমি আমার এলাকার সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমর্থন ও পাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচনের সময় উন্নয়নের প্রতিশ্রæতি দিয়ে ও টাকার বিনিময়ে ভোটারদের মূল্যবান আমানত যাতে কেউ নষ্ট করতে না পারে, আমি সেই পরিবেশ তৈরি করতে চাই।
আর চেয়ারম্যান হয়ে ইউনিয়নের রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি সরবরাহ, পানি নিষ্কাশন ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন করে উন্নতমানের পরিবেশবান্ধব নাগরিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে গর্ব করার মতো একটি ইউনিয়ন উপহার দিতে চাই।সর্বোপুরি সকলের দোয়া ও সমর্থন এবং দেশ বিদেশের সকল বন্ধুবান্ধবের সহযোগিতা কামনা করেছেনে ।