বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে গত ২৭ সেপ্টেম্বর বসতভিটার সীমানা বিরোধের জের ধরে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে।উক্ত ঘটনায় আবুল লাশেমের পরিবার মোঃ আলমের পরিবারে ধারালো অস্ত্র,লাটিসোটা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে আলমের কলেজ পড়ুয়া কন্যা রুমানা ইয়াছমিন মুন্নী এবং ছেলে শামিমুর রহমান নয়ন কে মেরে গুরুতর আহত করেছে।এতে কলেজ ছাত্রী মুন্নীর একটি চোখ নষ্ট হওয়ার পথে। বর্তমানে সে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।অথচ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার অভিযুক্ত আবুল লাশেম গংদের ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।ঘটনার দায় থেকে রক্ষা পেতে উল্টো গুরুতর আহত কলেজ ছাত্রী মুন্নী,কলেজ ছাত্র লুৎফুর রহমান নয়ন, তাঁর মা,বাবা সহ ৮ জনকে আসামী করে।উক্ত মামলায় ঘুমধুম ইউপির দুই বারের প্যানেল চেয়ারম্যান ও দুই বারের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার কামাল উদ্দিন,সাবেক মেম্বার আবুল করিম,যুবদল নেতা নুরু,দোকান কর্মচারী আরমান কে আসামী করেছে। অথচ কামাল মেম্বার ২৭ সেপ্টেম্বর ঘটনার দিন বান্দরবান কোর্টে একটি মামলায় হাজিরায় ছিলেন।যার ডকুমেন্টস হাতে দেখাচ্ছেন। মিথ্যা মামলা থেকে কামাল মেম্বাররা জামিন নিয়ে এলাকায় ফেরে সংবাদ সম্মেলন করেন জুমাবার (২ অক্টোবর) দুপুরে।
প্রকৃত পক্ষে ঘটনায় জড়িতরা মামলা নিয়ে প্রকাশ্যে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে।কামাল মেম্বার,আবদুল করিম, নুরু,আরমান সহ সকলের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং কলেজ ছাত্রী সহ আহতদের ঘটনায় জড়িতদের সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রসঙ্গতঃদুই মামলায় নিরীহ মানুষ আসামী হয়েছে।তৎমধ্যে মোঃআলমের মামলায় আব্দুল হক আর আবুল লাশেমের পক্ষ হয়ে জনৈক বাইরের মহিলার দায়ের করা মামলায় প্রায়ই নির্দোষ।