চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদে কসাই পাড়ার পরিচিতি বলতে গেলে কসাই লেদুকে ছাড়া মোটেই সম্পূর্ণ নয়। গরু কাটার পাশাপাশি মানুষ কাটতেও পিছুপা হয়নি একসময়ের কসাই লেদু। কসাই নামটি আর এমনি এমনিতে ফুটে উঠেনি। এর নেপথ্য রয়েছে লোমহর্ষক কাহিনী। জানা যায় ৮০’র দশক থেকে চট্টগ্রামে বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রক “কী” হিসাবে কসাই লেদু একজন কুখ্যাত। ১৯৮৮ সালে লালদিঘীর ময়দানে এক জনসভায় যোগদিতে আসা বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে নির্বিচারে পুলিশের গুলি বর্ষনে ২৪ জনেরও বেশি লোকের হতাহত হয়।
বর্বরোচিত এ হামলার নেপথ্য সরকারি দলের হয়ে নেতৃত্বে এই কসাই লেদুর নাম প্রথমেই চলে আসে। এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগর ও আন্তঃজেলার জামাত শিবির ক্যাডারদের সাথে রয়েছে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক। জানা যায়, র্যাবে ক্রসফায়ারে নিহত শিবির ক্যাডার মহিমের নেপথ্য যোগান দাতা ছিল এই কসাই লেদু। যার নির্দেশনায় কাজ করতো বিদেশে পালিয়ে বেড়ানো শিবির ক্যডার ছরোয়ার ম্যাকসন। এছাড়া বহদ্দারহাটে এইট মার্ডারের নেপথ্য রয়েছে কসাই লেদুর নাম। এলাকার একজন চিহ্নিত ভূমি দস্যু হিসাবে জিজ্ঞেস করলে কসাই লেদুকেই একবাক্যে সবাই বলে দিবে। টাকার লোভ এবং পেশি শক্তির দাপট দেখিয়ে একজন কসাই থেকে থানা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি হওয়া সহজ কথা নয়। জাতীয় পার্টির পতনের পর আওয়ামীলীগের নেতাদের প্রধান মনোরঞ্জক হিসাবে কাজ করতো এই কসাই। দিনে দুপুরে গার্মেন্টস থেকে ধরে নিয়ে আসত যুবতী নারীদেরকে। জীবন এবং ইজ্জতের ভয়ে কোন নারীই মুখ খুলতো না এই কসাইয়ের ভয়ে। কসাই লেদুর নাম শুনলেই কোন নারীর গর্ভে কোন সন্তান ১০মাস ১০দিনের অপেক্ষায় আর থাকেনা ৭ মাসেই প্রসব করে দিত ওই নারী। এখনও এই কসাইয়ের গাড়িতে দুইজন যুবতী নারী থাকে সবসময়। নারীরা যন তার দেহরক্ষী হিসাবে কাজ করে।
তবে আ’লীগের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সিজেন এলাকায় হাজী ভবন নামের বহুতল ভবন নির্মাণ করে জগতের সকলপ্রকার অপকর্ম করছে সেখানে। যে ভবনটির কোন সিডিএর প্লানিং মোতাবেক করা হয়নি। এছাড়া ওই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে সম্পূর্ণ সরকারি জায়গার উপর। জানা যায়, ওই ভবনটিতে রয়েছে কসাই লেদুর গোপন আস্তানা যেখানে হাসপাতালের নামে চলছে নারীদের নিয়ে অবৈধ যৌনাচার। নারী এবং মাদক হলো কসাই লেদুর রক্ষাকবচ। নারী এবং মাদকে আসক্তির যত নেতা রয়েছে সবাই কসাই লেদুকে মামু ডাকে। কেউ যদি কসাই লেদুকে মামু ডাকে তাহলে তাকে নিজের শাবকের মত স্নেহ করে। কসাই লেদুর অধিনে রয়েছে নিহত মহিম বাহিনীর প্রা ২০০ ইয়াঙ্কি ছেলেপেলে। যাদের পিছনে মাসে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করে কসাই লেদু। জানা যায়, কসাই লেদুর বিবি মরিয়ম নামের একজন কথিত স্ত্রী আছে তার মাধ্যমে বিভিন্ন খদ্দর সংগ্রহ এবং মাদক পাচার করে থাকে। বায়েজিদ থানাধিন অক্সিজেন এলাকায় কসাই লেদুর গাড়ি আজরাইলেও ছুঁইবে না। যার ফলে তার গাড়িতে করে সকলপ্রকার অবৈধ মাদক এবং নারী সরবরাহ করা হয়।
মাথায় টুপি দিয়ে দাড়িতে মেহেদী লাগিয়ে পবিত্র ধর্মের লেবাস পরিধান করে সকলপ্রকার অসৎ কাজ করছে এই মুখোশধারী শয়তান। জানা যায় তার বহুতল ভবনগুলোর জন্য দুটি ফ্লোর বরাদ্দ রয়েছে জামাত শিবিরের বিখ্যাত কোচিং এর জন্য। এছাড়া কওমি মাদ্রাসার জন্য বরাদ্দকৃত রয়েছে ৬ষ্ঠ তলা। ৪র্থ তলায় রয়েছে ডাক্তারী কর্মকাণ্ড যা সরকারিভাবে মোটেও অনুমোদিত নয়।
লেদুর নামে রয়েছে একটি বিশাল স্ত্রীর বহর এই বহরে রয়েছে প্রায় ৫০ জন নারী। যাদের প্রতারকের স্বামীর নামের স্থানে রয়েছে আব্দুল নবী লেদুর নাম।
চট্টগ্রামে কথিত সাংবাদিক আয়ন শর্ম নামের এক ভুয়া সাংবাদিক, সে একাধিকবার মাদক নিয়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কর্তৃক আটক হলেও লেদুর জোড় তদবিরের কারণে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এবিষয়ে সরেজমিনে তথ্য মিলবে লেদুর রৌফাবাদ অফিসে গেলেই সেখানে ২৪ঘন্টা চলে ইয়াবা সেবকদের আড্ডা।
মদ পান করে মাতলামি নারীপুরুষের অবাধ মেলামেশার এক অভয়ারণ্য।
এছাড়া পতেঙ্গার এক ব্যবসায়ীর সাথে তার ভালো সম্পর্ক রয়েছে ওই এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের একজন। যারা সাথে রয়েছে কসাই লেদুর গোপন সখ্যতা।
জান যায় প্রশাসনের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই বায়েজিদে চলছে কসাই লেদুর রাজত্ব।
এভাবে চলতে থাকলে অত্র এলাকার সামাজিক ব্যবস্থার চরম অবনতি ঘটবে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। এদিকে লেদুর কিছু সোর্স রয়েছে, যারা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদকের বড় বড় চালান নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দিচ্ছে। এছাড়া ওই সোর্সের দ্বারা মেয়েদেরকে কৌশলে অপহরণ করে তাদেরকে ধর্ষণের পর তাদেরকে দিয়ে অসামাজিক কাজে বাধ্য করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি লেদুর এক সোর্স আনোয়ার এবং তার সহযোগী হেলালকে গার্মেন্টস কর্মীকে অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে গ্রেপ্তার করে বায়েজিদ থানাপুলিশ। এনিয়ে এলাকায় চ্যাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে।