নগরীর যেকোন প্রান্ত থেকে জানতে চাইলে-ই অন্ধের ছেলে বয়রা মিয়াও বলেতে দিতে পারবে কসাই লেদু নামের একটি ভয়ংকর ব্যক্তির নাম। রাজার হালে ঘাড়ব্যকা কুখ্যাত এই মানুষটির অধিনে রয়েছে বিশাল বাহুবলি মন্ত্রীপরিষদ। একজন রাষ্ট্রপ্রধানের ন্যায়ে তিনি বিভিন্ন দপ্তরিক হিসাবে বিভিন্ন এলাকায় স্থাপন করছেন দাপ্তরিক টর্চারসেল। বিশেষ করে আরেফিন নগর, টেক্সটাইল, অক্সিজেন, বায়েজিদ, মুরাদপুর, ঢ্যাপারপাড়, বালুছড়া, ছিন্নমূল এলাকা জুড়ে সে আধিপত্য বিস্তার করে দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকা অবৈধ ভাবে উপার্জন করছে। দেশের বৈধ সরকারের ভ্যাট ট্যাক্স আদায় করতে লোকবলের প্রয়োজন হলেও কিন্ত কসাই লেদুর প্রতিদিনের এই অবৈধ উপার্জন করতে কারও কাছে ধর্না দিতে হয়না, এযেন নুলা পোলার কামাই।
জানা যায় আশির দশকের জাতীয় পার্টির দুর্ধর্ষ ক্যাডার এখন হাজার কোটি টাকার মালিক। কসাই থেকে রাজনৈতিক নেতা বনে যাওয়া চারটে খানে কথা নয়। এযেন রূপকথার গল্পকেও হার মানাবে। জাতীয় পার্টি পতনের পরে খালেদার অবৈধ ক্ষমতায় থাকার প্রতিবাদে ৯৬ এর আন্দলনে ক্যাডার বাহিনী হিসাবে আওয়ামীলীগের সাথে যোগ দেয় কসাই লেদু।
সম্প্রতি নগর আ’লীগের সাধারণ সম্পদক এবং সিটি মেয়র আ য ম নাসির উদ্দিনও ঠেকায় পরে দেড়কোটি টাকা মূল্যের একটি গাড়ি উপহার দিয়েছে কসাই লেদুকে। এখন বিষয়টা পানির মত পরিষ্কার যে বায়েজিদের রাজা কসাই লেদু কিনা?
এইরকম রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে মাদক ব্যবসা, চুরি,ডাকাতি, ছিনতাই, ফুটপাত দখল করে দোকান বসিয়ে চাঁদা আদায় করা সহ বায়েজিদের দশটা এলাকায় জুয়াড়িদের কাছ থেকে দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকা অবৈধ উপার্জন করছে কসাই লেদু। এছাড়া ওই এলাকায় অবৈধ ছোট ছোট কলকারখানা, বেকারি এবং অনুমোদনহীন তেলের কারখানা থেকেও মাসে ইনকাম করছে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা।
দেশের একজন বৈধ রাজাও কসা লেদুর সমপরিমাণ অর্থের ভ্যাট-ট্যাক্স আদায় করতে পারছেনা। এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি, সিটিকর্পোরেশনের জমি চউকের জমি দখল করে বাজার নির্মাণ করে প্রতিটা দোকান ২০ লক্ষ টাকা করে বিক্রি করেন।
বলতে গেলে বায়েজিদের অঘোষিত সরকার এখন কসাই লেদু। এই নরপিশাচ কসাই লেদুর বিভিন্ন অপকর্মের ভিডিও চিত্র এপ্রতিবেদকের হাতে এসে পৌঁছেছে। বিশেষ করে রৌফাবাদ লেদুর পার্সোনাল অফিসে ইয়াবা সেবন করে নারী নর্তকীদের হইহুল্লা এবং যৌনকর্মের ভিডিও চিত্রসহ আরও অনৈতিক অপকর্মের ভিডিও চিত্র রয়েছে। এনিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে কানাঘুষা চলছে। অনেকে বলছে একেই বলে শয়তানে হাজীর রূপ ধারন করে অপকর্মের অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠা করা। তবে রহস্যজনক কারণ এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোন মাথাব্যথা নেই।
এদিকে কসাই লেদুর নেপথ্য রয়েছে লোমহর্ষক কাহিনী। জানা যায় ৮০’র দশক থেকে চট্টগ্রামে বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রক “কী” হিসাবে কসাই লেদু একজন কুখ্যাত। ১৯৮৮ সালে লালদিঘীর ময়দানে এক জনসভায় যোগদিতে আসা বর্তমান সরকার প্রাধান শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে নির্বিচারে পুলিশের গুলি বর্ষনে ২৪ জনেরও বেশি লোকের হতাহত হয়।
বর্বরোচিত এ হামলার নেপথ্য সরকারি দলের হয়ে নেতৃত্বে এই কসাই লেদুর নাম প্রথমেই চলে আসে। এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগর ও আন্তঃজেলার জামাত শিবির ক্যাডারদের সাথে রয়েছে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক। জানা যায় র্যাবে ক্রসফায়ারে নিহত শিবির ক্যাডার মহিমের নেপথ্য যোগান দাতা ছিল এই কসাই লেদু। যার নির্দেশনায় কাজ করতো বিদেশে পালিয়ে বেড়ানো শিবির ক্যডার ছরোয়ার ম্যাকসন। এছাড়া বহদ্দারহাটে এইট মার্ডারের নেপথ্য রয়েছে কসাই লেদুর নাম। টাকার লোভ এবং পেশি শকতির দাপট দেখিয়ে একজন কসাই থেকে থানা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি হওয়া চারটে খানি কথা নয়। জাতীয় পার্টির পতনের পর আওয়ামীলীগের নেতাদের প্রধান মনোরঞ্জক হিসাবে কাজ করতো এই কসাই। সকাল সন্ধ্যায় গার্মেন্টস থেকে ধরে নিয়ে আসত যুবতী নারীদেরকে। জীবন এবং ইজ্জতের ভয়ে কোন নারীই মুখ খুলতো না এই কসাইয়ের ভয়ে। কসাই লেদুর নাম শুনলেই কোন নারীর গর্ভে কোন সন্তান ১০মাস ১০দিনের অপেক্ষায় আর থাকেনা ৭ মাসেই প্রসব করে দিত ওই নারী। এখনও এই কসাইয়ের গাড়িতে দুইজন যুবতী নারী থাকে সবসময়। নারীরা যন তার দেহরক্ষী হিসাবে কাজ করে। তবে আ’লীগের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সিজেন এলাকায় হাজী ভবন নামের বহুতল ভবন নির্মাণ করে জগতের সকলপ্রকার অপকর্ম করছে সেখানে। যে ভবনটির কোন সিডিএর প্লানিং মোতাবেক করা হয়নি। এছাড়া ওই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে সম্পূর্ণ সরকারি জায়গার উপর। জানা যায় ওই ভবনটিতে রয়েছে কসাই লেদুর গোপন আস্তানা যেখানে হাসপাতালের নামে চলছে নারীদের নিয়ে অবৈধ যৌনচার। নারী এবং মাদক হলো কসাই লেদুর রক্ষাকবচ। নারী এবং মাদকে আসক্তি যত নেতা রয়েছে সবাই কসাই লেদুকে মামু ডাকে। কেউ যদি কসাই লেদুকে মামু ডাকে তাহলে তাকে নিজের শাবকের মত স্নেহ করে। কসাই লেদুর অধিনে রয়েছে নিহত মহিম বাহিনীর প্রায় ২০০ ইয়াঙ্কি ছেলেপেলে। যাদের পিছনে মাসে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করে কসাই লেদু। জানা যায় কসাই লেদুর বিবি মরিয়ম নামের একজন কথিত স্ত্রী আছে তার মাধ্যমে বিভিন্ন খদ্দর সংগ্রহ এবং মাদক পাচার করে থাকে। বায়েজিদ থানাধিন অক্সিজেন এলাকায় কসাই লেদুর গাড়ি আজরাইলেও ছুঁইবে না। যার ফলে তার গাড়িতে করে সকলপ্রকার অবৈধ মাদক এবং নারী সরবরাহ করতে কোনপ্রকার বেগপেতে হয়না।
মাথায় টুপি দিয়ে দাড়িতে মেহেদী লাগিয়ে পবিত্র ধর্মের লেবাছ পরিধান করে সকলপ্রকার অসৎ কাজ করছে এই মুখোশধারি শয়তান। জানা যায় তার বহুতল ভবনগুলোর জন্য দুটি ফ্লোর বরাদ্দ রয়েছে জামাত শিবিরের বিখ্যাত কোচিং এর জন্য। এছাড়া কওমি মাদ্রাসার জন্য বরাদ্দকৃত রয়েছে ৬ষ্ঠ তলা। ৪র্থ তলায় রয়েছে ডাক্তারী কর্মকাণ্ড যা সরকারিভাবে মোটেও অনুমোদিত নয়।
জানা যায় লেদুর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ডজন খানিক নামসর্বস্ব পত্রিকা এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালের ভুয়া সাংবাদিক। তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করছে এই কসাই। এছাড়া ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনের নামেও এলাকার প্রশাসন সহ রাজনৈতিক সমাজসেবক লোকদেরকে অতিষ্ঠ করে তুলছে লেদু। কোন মাদক বিক্রেতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হইলে প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে ছাড়ি নিয়ে আসেন এই লেদু। জানাগেছে ভুয়া সাংবাদিক মাজেদুল এবং বিবি মরয়মকে জিজ্ঞাসবাদ করেলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে বলে ভুক্তভোগীদের বিশ্বাস।
এবিষয়ে সরেজমিনে তথ্য মিলবে লেদুর রৌফাবাদ অফিসে গেলেই সেখানে ২৪ঘন্টা চলে ইয়াবা সেবকদের আড্ডা।
মদ পান করে মাতলামি নারীপুরুষের অবাদ মেলামেশার এক অভয়ারণ্য।
এছাড়া পতেঙ্গার নূরুল আবছার আনছারি হলো ওই এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের একজন। যারা সাথে রয়েছে কসাই লেদুর গোপন সখ্যতা।
জান যায় প্রশাসনের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই বায়েজিদে চলছে কসাই লেদুর রাজত্ব।
এভাবে চলতে থাকলে অত্র এলাকার সামাজি ব্যবস্থার চরম অবনতি ঘটবে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। এদিকে লেদুর কিছু সোর্স রয়েছে, যারা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদকের বড় বড় চালান নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দিচ্ছে। এছাড়া ওই সোর্সের দ্বারা মেয়েদেরকে কৌশলে অপহরণ করে তাদেরকে ধর্ষণের পর তাদেরকে দিয়ে অসামাজিক কাজে বাধ্য করানো অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি লেদুর এক সোর্স আনোয়ার এবং তার সহযোগী হেলালকে গার্মেন্টস কর্মীকে অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে গ্রেপ্তার করে বায়েজিদ থানাপুলিশ। এনিয়ে এলাকায় চ্যাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার সকল শ্রেণীপেশার মানুষ লেদু বাহিনীর অত্যাচার থেকে দ্রুত পরিত্রাণ চায়।চট্টগ্রাম বায়েজিদের রাজা কসাই লেদু নগরীর যেকোন প্রান্ত থেকে জানতে চাইলে-ই অন্ধের ছেলে বয়রা মিয়াও বলেতে দিতে পারবে কসাই লেদু নামের একটি ভয়ংকর ব্যক্তির নাম। রাজার হালে ঘাড়ব্যকা কুখ্যাত এই মানুষটির অধিনে রয়েছে বিশাল বাহুবলি মন্ত্রীপরিষদ। একজন রাষ্ট্রপ্রধানের ন্যায়ে তিনি বিভিন্ন দপ্তরিক হিসাবে বিভিন্ন এলাকায় স্থাপন করছেন দাপ্তরিক টর্চারসেল। বিশেষ করে আরেফিন নগর, টেক্সটাইল।