চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় মাজেদুল ইসলাম ও বিবি মরিয়ম নামের দুই ভূয়া সাংবাদিকের বেপরোয়া হয়রানি-চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে বায়েজিদ থানা এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ি ও নিরিহ জনসাধারণ। সূত্র জানায়, জেএমবি নেতা নুরুল আবছার আনছারি (বর্তমানে জেলহাজতে), পতেঙ্গার ইয়াবা ব্যবসায়ী নুরুল আবছার, চমেক হাসপাতাল এলাকার ত্রাস নুরু, র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার পেট কাটা বাবর ও বর্তমানে কিশোরী ধর্ষণের অপরাধে জেল হাজতে থাকা হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতাসহ ১৮ মামলার আসামী আনোয়ার হোসেন প্রকাশ সোর্স আনোয়ারের সহযোগী ইয়াবা ব্যবসায়ি ও কথিত অনলাইন সাংবাদিক মাজেদুল ইসলাম ও বিবি মরিয়ম স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বায়েজিদ বোস্তামী থানার পাঠানপাড়া, শহীদ নগর, অক্সিজেন, নয়ারহাট, ওয়াজেদিয়া, শেরশাহ কলোনী, বাংলাবাজার, ডেবারপাড়, আরেফিন নগর, রৌফাবাদ কলোনীসহ আশপাশের এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা, পতিতাবৃত্তি, চাঁদাবাজি, প্রতারণা-বøাকমেইলিংসহ বহুমাত্রিক অপরাধ কর্মকান্ড করে গেলেও সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থাকার কারণে, মাজেদুল ও বিবি মরিয়মের অপকর্ম নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। অভিযোগ রয়েছে, সূ-চতুর এই মাজেদুল ইসলাম কথিত অনলাইন টেলিভিশনের নামে ফেইসবুকে “দেশযোগ টিভি“ নাম দিয়ে কাধেঁ ক্যামেরার ব্যাগের আড়ালে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। যে কেউ এর প্রতিবাদ করলে, সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে তাকে শারিরীক নির্যাতন থেকে শুরু করে হত্যার হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়। এছাড়া মাজেদুল ইসলাম প্রতিবাদকারি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা-বানোয়াট, ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ফেইসবুকে পরিচালিত দেশযোগ নামের কথিত টিভি পেইজে হয়রানি মূলক সংবাদ প্রচার করে একের পর এক নিরিহ সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার একাধিক তথ্য এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। সূত্র মতে, মাজেদুল ও বিবি মরিয়মের হয়রানির শিকার পাঁচলাইশ ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলহাজ¦ কফিল উদ্দিন খান। কাউন্সিলরের অপরাধ ছিল মাজেদুল ও বিবি মরিয়ম তার অফিসে গিয়ে চাঁদা দাবী করলে, কাউন্সিলর তাদের দূ-জনকে আটক করে পুলিশে দিতে উদৃত হলে, মাজেদুল ও বিবি মরিয়ম কাউন্সিলরের পায়ে ধরে কাকুতি-মিনতি করে ছাড়া পায়। (যা ওয়ার্ড অফিসের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত রয়েছে)। মাজেদুল ও বিবি মরিয়ম কাউন্সিলরের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে সেখান থেকে বেরিয়ে এসে কাউন্সিলরের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া ব্যক্তিদের সাথে আতাত করে এবং টাকার বিনিময়ে তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভূয়া অডিও রেকর্ড বানিয়ে দেশযোগ পেইজে কাউন্সিলর আলহাজ¦ কফিল উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে একের পর এক ভিডিও বানিয়ে তার কথিত দেশযোগ টিভিতে প্রচার করে কাউন্সিলরের চরম মানহানী করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কাউন্সিলর আলহাজ¦ কফিল উদ্দিন খান। এছাড়া এই দুই ভূয়া টাউট জনপ্রিয় আইপি টেলিভিশন সিটিজি ক্রাইম টিভির চেয়ারম্যান আজগর আলী মানিক, বায়েজিদের বসতি নগর এলাকার শাহজাহান বাদশাহ, ষ্টারশীপ এলাকার খোকন, ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক আলহাজ¦ আব্দুল কুদ্দুস বাপ্পী, বায়েজিদের নিরিহ ব্যবসায়ি রেজিয়া বেগম, সাংবাদিক দীপু তালুকদার এবং মোহরা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ও সিটি কর্পোরেশনের এক ঠিকাদারের কাছথেকে চাঁদা না পেয়ে অনুরুপভাবে হয়রানি করছে বলেও সিএমপি কমিশনার বরাবরে দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়। অভিযোগে প্রকাশ ২০১৬ সালে মাজেদুল নোয়াখালীর গ্রামের বাড়িতে ইয়াবা ব্যবসার অপরাধে গণপিটুনী খেয়ে পালিয়ে এসে চট্টগ্রামের চকবাজার এলাকায় একটি খাবারের হোটেলে হোটেল বয় এর কাজ নেয়। দীর্ঘদিন সেখানে কাজ করে। এক পর্যায়ে ওই হোটেল মালিকের মোবাইল টাকা-পয়সা চুরি করে পালিয়ে যায়। আবার তার ভাইয়ের সাথে ইয়াবা ব্যবসা শুরু করে। এর মধ্যে তার ভাই ইয়াবা নিয়ে গ্রেফতার হয়। গ্রেফতার হওয়ার পর সে বেকার হয়ে যায়। এরপর ভবঘুরে এই মাজেদুল মোবাইল চুরি, জুতা চুরি, ছিনতাই পতিতাবৃত্তিসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। পতিতা ব্যবসার সূত্র ধরে পরিচয় হয় সিটিজি ক্রাইম টিভির এক সাংবাদিকের সাথে। ওই সাংবাদিকের কাছে খুলে বলে তার জীবনের ইতিহাস। তার হাত ধরে সিটিজি ক্রাইম টিভি অফিসে আসে মাজেদুল। তাকে দেখে চেয়ারম্যান আজগর আলী মানিকের মায়া হয়। চাকরি দেয় পিয়নের। থাকা-খাওয়া অফিসে। কিছুদিন যাওয়ার পর চেয়ারম্যানের স্ত্রী বিবি মরিয়মের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। একদিন আপত্তিকর অবস্থায় চেয়ারম্যানের কাছে ধরা পড়লে, তাকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে চাকরি থেকে বের করে দিলে আবারো মাজেদুল পূর্বের কর্মে ফিরে যায়। এর কয়েক মাস পর বিবি মরিয়ম আজগর আলী মানিকের অনেক গুলো টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার ও দুটি ভিডিও ক্যামেরা (বড়) নিয়ে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে মাজেদের সাথে নোয়াখালী চলে যায়। সেখানে শুরু করে ইয়াবা ব্যবসা ও পতিতাবৃত্তি। অসামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অপরাধে আবারো গণধোলাই খায় উভয়েই। সেখান থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার অক্সিজেন পাঠানপাড়া এলাকার দিদার বিল্ডিং এ বাসা ভাড়া নিয়ে ওই আজগর আলী মানিকের ক্যামেরাকে কাজে লাগিয়ে দেশযোগ নামে ফেসবুকে একটি পেইজ খুলে নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রতারনা, চাঁদাবাজী পতিতাবৃত্তি ইয়াবা ব্যবসাসহ নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে। আর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, কথিত দেশযোগ টিভিকে। ওই কথিত টিভিতে নিরিহ জনসাধারণ, ব্যবসায়ি ও সম্মানী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একের পর এক ভূয়া সংবাদ প্রচারের কপি রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। যা দ্বারা পরবর্তিতে ওই সকল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আরো মানহানীকর সংবাদ প্রচারের ভয় দেখিয়ে অর্থ বানিজ্য করে। যা ওই কথিত দেশযোগ পেইজটি যাচাই করলে, প্রমান পাওয়া যাবে। প্রশ্ন হলো, কারো বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ থেকে ও থাকে তাহলেও মাজেদুল-বিবি মরিয়ম কে? তা তুলে ধরার? কে তাদেরকে এই অনুমতি দিয়েছে? কিসের ওপর ভিত্তি করে নিবন্ধনহীন ওই দেশযোগ পেইজের মাধ্যমে একের পর এক মানুষের মানহানী করে যাচ্ছে? মাজেদুল আর বিবি মরিয়মের বৈধ কোনো আয়ের উৎস নেই। শুধুমাত্র ওই ভূয়া দেশযোগ পেইজের মাধ্যমে ধনাঢ্