পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েগেছে ডিমওয়ালা মা মাছ ও পোনা মাছ ধরার মহোৎসব। নিধন রোধে প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ না থাকায় দেদারে চলছে মাছ শিকার। অন্যদিকে বিলের পাড়ে ডিমওয়ালা মাছ কিনতে উৎসুক ক্রেতারা। মৎস্য আইনে এই সময় মাছ শিকার নিষিদ্ধ হলেও মানছেন না কেউই।
সরেজমিনে, নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, বাদাই জাল, খৈলশুনিসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে দিনরাত চলছে মা ও পোনা মাছ শিকার। প্রতিদিন সকালে বিলপাড়ের চাটমোহর, তাড়াশ, ভাঙ্গুড়া, বড়াইগ্রাম, গুরুদাসপুর ও সিংড়া উপজেলার বাজারগুলোতে প্রকাশ্যে পোনা মাছ ও ডিমওয়ালা মাছ বিক্রি হচ্ছে। বিলপাড়ে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার উৎসুক মানুষ ডিমওয়ালা মাছ কিনছেন।
গত শনিবারে চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে টেংরা প্রতি কেজি ছয়শ থেকে আটশ টাকা, পুঁটি পাঁচশ টাকা, মোয়া (মলা) মাছ পাঁচশ থেকে ছয়শ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে। ডিমওয়ালা বোয়াল বিক্রি হয়েছে ছয়শ টাকা কেজি দরে।
স্থানীয় অনেকেই অভিযোগ করে জানান, বর্ষা শুরু হলে জুন-জুলাই মাসে চলনবিলে মা মাছ ডিম ছাড়ে। এসময়টাতে মাছ ধরা একেবারেই নিষিদ্ধ। ১৯৫০ সালের মৎস্য আইন অনুযায়ী যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু কেউ আইনের তোয়াক্কা করছে না। এভাবে ডিমওয়ালা মা মাছ নিধন করা হলে চলনবিল থেকে দেশি প্রজাতির মাছ একদিন হারিয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মো.মাহবুবুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। মা মাছ নিধনরোধে দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।