কক্সবাজার টেকনাফ রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় প্রতিদিন রোহিঙ্গারা তাদের ক্যাম্প থেকে বের হয়ে নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে চলাচল করতেছে । টেকনাফ রোহিঙ্গাদের আশ্রিত এলাকা হওয়ায় শরনার্থী রোহিঙ্গরা এখন তাদের ক্যাম্প থেকে বের হয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন গ্রামেগঞ্জে অবাধে চলাফেরা করছে।
রাস্তাঘাটে তাদের অবাধে বিচরণে স্থানীয়রা হতাশ হয়ে পড়েছে।দিকবেদিক ছুটে চলছে এসব রোহিঙ্গারা।এদেরকে আরো কঠোর নজরদারিতে রাখা দরকার বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। রোহিঙ্গাদের অবাধে চলাফেরা স্থানীয়দের সাথে সংঘাত সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।বিভিন্ন সময় মানবতাহীন রোহিঙ্গারা তাদের আশ্রিত ক্যাম্প থেকে বের হয়ে স্থানাীয় নাগরিগদের সাথে সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে এবং বিভিন্ন সময় স্থানীয়দের উপর তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে গিয়ে বাঁধাগ্রস্থ হলে স্থানীয় লোকদের খুন করতে দ্বিধাবোধ করেনি।
রোহিঙ্গাদের অবাধে চলাফেরা ও অনৈতিক কার্যক্রমে প্রতিবাদ করতে গিয়ে অনেক মায়ের বুক খালি হয়েছে।হারিয়েছে স্থানীয়রা অনেক তাজা প্রাণ।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বের হওয়ার কোনো ধরণের নিয়ম না থাকলেও আইনের তোয়াক্কা না করেই ঠিকই তারা বের হয়ে গ্রামে গঞ্জে দাপুটে বেড়াচ্ছে ।রোহিঙ্গা ক্যাম্প আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকলেও ,এসব রোহিঙ্গারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বের হয়ে যায় বলে জানা যায় ।এমনকি রাতের বেলায়ও রোঙ্গিরা গ্রামের গ্রামে দেশীয় অস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরণের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চলাচল অবস্থায় দেখতে পায় বলে স্থানীয়দের সুুত্রে জানা গেছে ।
রোহিঙ্গাদের রাতের বেলায় গ্রামে ঘুরাফেরা করতে দেখলে আটকে রাখেন না কেন জানতে চাইলে স্থানীয়রা জানায় ,তাদের হাতে বিভিন্ন ধরণের ছুুরি অস্ত্রশস্ত্র থাকে ,কিভাবে আমরা তাদের কে আটকে রাখবো ?স্থানীয়রা আরো জানায় ,আমরা এখানে আতংকে বসবাস করছি ,জানিনা কোন সময় আমাদের কে সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা ধরে নিয়ে মেরে ফেলে ! এসব সন্ত্রাসী রোহিঙ্গাদের কারণে আমরা স্বাধীন দেশে পরাধীন হয়ে বসবাস করছি ।
জানা যায় ,হোয়াইক্যং ইউপির মিানাবাজার এলাকার দুই ভাইকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের পাদদেশে নিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে মাটিতে পুতে রেখেছিল ।৩ই মে ২০২০ সালে পুুলিশ তারমধ্যে আক্তরুল্লাহ নামে একজনের লাশ উদ্ধার করেছে ।লেদা এলাকার যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক কে হত্যা করেছে।হ্নীলার পশ্চিম সিকদার পাড়ার নোহা ড্রাইভার নুরুল হুদাকে হত্যা করেছে। কানজর পাড়ার সিএনজি চালক কামরুল ইসলামকে অপহরণ করে নিয়ে যায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা,পরে মুক্তিপণ দিয়ে সে চলে আসে। মুক্তিপণ যারা দিতে পারেনা তাদেরকে সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা নির্মমভাবে হত্যা করে।
এভাবে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা প্রায় অর্ধ শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দাদের কারণে অকারণে সন্ত্রাসী কায়দায় হত্যা করেছে ।সর্বশেষ টেকনাফ বাহাড়ছড়া ইউনিয়নের সিএনজি চালক মাহমুদুল করিম কে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবি করেছিল । পুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রায় দেড়মাস পরে তাকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে বলে জানা গেছে ।
টেকনাফের এক মাদরাসার শিক্ষক কবি আবুল হোছাইন হেলালী জানান,স্থানীয় কিছু প্রনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রতাবশালী মানুষের যোগ সাজশে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা স্থানীয়দের হত্যা করতে সাহস বেশি পাচ্ছে বলে জানান ।হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, রোহিঙ্গাদের কাঁটা তারের ভিতরে আবদ্ধ করে রাখতে হবে ।
পুরাতন রোহিঙ্গা যারা কাঁটা তারের বাহিরে রয়েছে তাদেরকেও কাঁটা তারের ভিতরে ঢুকাতে হবে । তারপরে তো এসব হত্যা কান্ড বন্ধ হবে ।রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের জিম্মি দশা থেকে পুক্তি পেতে রোহিঙ্গাদের অবাদে চলাফেরা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন টেকনাফের স্থানীয় সুশীল সমাজ ও সচেতন মহল ।