টেকনাফে ইয়াবার কালো টাকা সাদা করার হিড়িক
সাইফুদ্দীন আল মোবারক:
কক্সবাজার টেকনাফে হাজারো ইয়াবা রাজারা তাদের অবৈধপন্থায় কামানো কালো টাকা সাদা করার জন্য দৌড়াত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে।যা ইতোমধ্যে সূর্যের ন্যায় ভেসে ওঠেছে।
সচেতন মানুষ ও প্রশাসনের অগোচরে বিভিন্ন কৌশলে গোপনে মরণনেশা ইয়াবা ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে।এখন তারা বিভিন্ন আঙ্গিকে তাদের কালো টাকা সাদা করতে এবং ইয়াবার কালিমা মুছতে অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে । তাদের ইয়াবা ব্যবসায় কামানো আলাদিনের চেরাগের মতো অঢেল সম্পদ ঢেকে রাখতে এমন তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে এবং তারা সমাজের ন্যায়পরায়ণ শিক্ষিত সমাজের উর্ধ্বে মাথাচাড়া দিয়ে উঠার এটি একটি মহান পন্থা বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষিত সমাজ ও সচেতন মহল।টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপের আমলে যেসব ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ঠিক মতো রাতে ঘুমাতে পারেনি,দেশান্তর হয়ে আত্মগোপনে ছিল। তারাই এখন সমাজে তাদের মাদকাশক্তিকে গোপনে মজবুত করতে ও বাহিরের দিকদিয়ে নিজেদের কে সামাজে সাধু সাজাতে হঠাৎ এমন তৎপরতা শুরু করেছে বলে ধারণা করছেন সচেতন জনগোষ্ঠী।যে মাদক ব্যবসায়ীরা পুরো টেকনাফকে কলোষিত করেছে, তারাই আবার সমাজে সাধুরূপে প্রতিষ্ঠিত হতে কালো টাকা দিয়ে বিভিন্ন মার্কেটে দোকান কিনে বড় বড় ব্যবসায়ী সাজতে মরিয়া।যাদের পাঁচ বছর পূর্বে থাকার ঘরছিল না,অনেকে দিনমজুরী করতো,গাড়ির গ্র্যারেজে কাজ করতো, তারা এখন লাখ লাখ টাকা অগ্রীম জমা দিয়ে দোকান নিয়ে বৈধ ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে।টেকনাফের হোয়াইক্যং,হ্নীলা,টেকনাফ সদর,সাবরাং ইউনিয়নসহ অনেক ইউনিয়নে অল্পদিনে কোটি কোটি টাকা ব্যবসায় আয় করে এখন সব কোটিপতি। আবার অনেকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সেক্রেটারি হয়েছে।সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা যায়,অনেক ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তাদের ইয়াবা ব্যবসার ঢাল হিসেবে বিকাশের দোকান খুলেছে। যে দোকানে ইয়াবার লেনদেন তো হয় বটে,বেশি টাকা পাচারের জন্য অবৈধ রমরমা হুন্ডির ব্যবসাও চালিয়ে যাচ্ছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান,এধরণের অবৈধ মাদক ব্যবসায়ীদের অবৈধ সম্পদ আইনের আওতায় আনা জরুরী মনে করেছেন।এদের দমন করতে দূর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান আবশ্যক। না হয় পরবর্তীতে এদের দেখে উৎসাহিত হয়ে আগামীর প্রজন্মরাও এমন গর্হিত কাজে নেমে অঢেল সম্পদের লোভে পড়ে যাবে।হাটবাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব এমন লোকদের দখলে চলে যাচ্ছে।যখন বাজার নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ,সমাজের নেতৃত্বের চেয়ার এদের দখলে চলে যাবে,তখন পুরো সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষিত সমাজ ও সচেতন মহল। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যগণ তদন্ত করে, তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি প্রদান করার জোর দাবী জানিযেছেন পুরো টেকনাফের সচেতন জনগোষ্ঠী ।