চট্রগ্রাম জেলার লোহাগাড়া এলাকায় থেকে টেকনাফ পৌরসভার উপরে বাজার এলাকায় সাইফুল তার পিতা সিরাজুল ইসলাম প্রকাশ সিরাজ সওদাগরের সাথে মুদির দোকান পরিচালনা করে আসছে। সেই সুযোগে টেকনাফের অনেক বিবাহিত-অবিবাহিত মেয়েদের ফাঁদে ফেলে তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেন। এর আগেও তার দোকানে যৌন হেনস্তা করে বার বার পার পেলেও গত (১৬ নভেম্বর) রবিবার টেকনাফ পৌরসভা ৭ নং ওয়ার্ড উত্তর জালিয়া পাড়া এলাকার এক বিবাহিত মেয়ের সাথে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে জনতা গণপিঠুনি দিয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মৌলভী মুুুুজিবুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যায়।
ঘটনাটি ১৬ নভেম্বর রবিবার রাত সাড়ে ১১টায় টেকনাফ পৌরসভার উত্তর জালিয়া পাড়া এলাকায় ঘটেছে।
জানা যায়, দক্ষিণ চট্রগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থেকে টেকনাফ পৌরসভার উপরের বাজার মাছ বাজারের দক্ষিণ পাশে লম্পট সাইফুলের পিতা সিরাজ সওদাগরের একটি মুদির দোকান রয়েছে। দীর্ঘ দিন থেকে দোকানে ক্রয়-বিক্রিয় সুবাধে টেকনাফের অনেক অবিবাহিত-বিবাহিত মেয়েদের সাথে অসামাজিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি সেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে থাকেন। সাংবাদিক, টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের অফিসারগনদের অাত্নীয় ও কাছের লোক পরিচয় দিয়ে ঘুরে বেড়ায়। এতে টেকনাফ পৌরসভায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দোকান ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের কচুবনিয়া পাড়া এলাকায় এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীকে লম্পট সাইফুল দীর্ঘ দিন থেকে যৌন হয়রানি করে আসছে। কিন্তু স্থানীয় লোকজন ভয়ে কেহ মুখ খুলেনি। কারন সেই সাইফুল ইসলাম সাংবাদিক ও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের অফিসারগনদের আত্নীয় ও কাছের মানুষ হিসাবে পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষদের ভয় দেখিয়ে আসছে। এবং সামান্য পিতার দোকানে বসে চলাফেরা করে নিজস্ব নোহা গাড়ী দিয়ে। অনেকে তার ব্যাপারে ইয়াবা ব্যবসা করে নোহা গাড়ী নিয়েছে বলে মন্তব্য করতে দেখা যায়।
টেকনাফ পৌরসভা উত্তর জালিয়া পাড়া এলাকার সৈয়দ হোসন সংবাদের সত্যতা স্বীকার করে জানান, রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এলাকার মানুষ বাজারে বিভিন্ন কাজ শেষ করে বাড়িতে ফেরার পথে সাইফুল ইসলাম এলাকার বিবাহিত এক নারীর ঘরে অসামাজিক কাজে লিপ্ত দেখে আামকে এলাকার লোকজন খবর দেয়। সাইফুলের পিতা সিরাজ সওদাগরকে তার ছেলের বিষয়ে জানাই। কিন্তু সাইফুল ইসলামের পিতা সিরাজ সওদাগর তার ছেলের অপকর্মের দায়ভার নিতে রাজি হয়নি। পরে ১৭ নভেম্বর সোমবার সকালে সাইফুলকে স্থানীয় কাউন্সিলর মৌলভী মুজিবুর রহমানের মাধ্যমে তার পিতার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
টেকনাফ পৌরসভার উপরের বাজারবাসীর অভিযোগ, সাংবাদিক না হয়েও সাইফুল নিজেকে বিভিন্ন অনলাইনের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এলাকায় বেপরোয়া চাঁদাবাজীতে লিপ্ত। মহামারি করোনাকালে সাইফুল নিজেকে সাংবাদিক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলার সহকারী (ভূমি) এর কাছে লোক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন দোকান থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন জনের নামে টাকা নিতেন। এবং ভয়ে অনেকে মুখ খুলতেনা কারন সেই দোকানে জরিমানা ও মামলার ভয় দেখাতেন।
এবিষয়ে সাইফুল ইসলামের পিতা সিরাজ সওদাগর বলেন, আমার ছেলে উত্তর জালিয়া পাড়া এলাকায় একটি মেয়ে নিয়ে স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক হয়েছে বলে টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ ও ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌলভী মুজিবুর রহমান আমাকে ফোনে বিষয়টি বলে। আমর ছেলে সাইফুলকে ছাড়িয়ে আনতে কাউসিলর এর কাছে যেতে বলেছিল। আমি ছেলের অপকর্মের দায়ভার নিতে রাজি হয়নি।
এব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, আমাদের কে বিষয়টি কেউ জানায়নি। এবং অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বখাটে ও লম্পট সাইফুল ইসলাম বিবাহিত মেয়ে নিয়ে স্থানীয় জনতার হাতে আটক হওয়ায় টেকনাফ পৌরসভায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।