টেকনাফের হ্নীলায় সিএনজিযোগে মাদকের চালান গন্তব্যে নেওয়ার পথে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে এক মাদক কারবারী গ্রুপের সদস্য নিহত হয়েছে। এসময় অগ্নিকান্ডে মাদকের চালান বহনকারী সিএনজি পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। ঘটনাস্থল হতে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, ২৪জুন ভোর ৫টারদিকে একটি সিএনজি মাদকের চালান নিয়ে রঙ্গিখালী লামার পাড়ায় যাওয়ার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ মডেল থানার একদল পুলিশ প্রধান সড়কের ৩ রাস্তার মাথায় অবস্থান নেয়। তখন গাড়িতে থাকা স্বশস্ত্র মাদক কারবারী গ্রুপের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। তখন পুলিশ কৌশলী ভূমিকা নিয়ে পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে কিছুক্ষণ পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। দু.পক্ষের গোলাগুলিতে মাদক বহনকারী সিএনজিতে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয়। তা নিমিষেই পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। এরপর ঘটনাস্থল তল্লাশী করে বিপূল পরিমাণ ইয়াবা, দেশীয় অস্ত্র ও বুলেটসহ গুলিবিদ্ধ রঙ্গিখালী লামার পাড়ার মৃত সোলেমানের পুত্র ঈমান হোছন ওরফে ইমন (৩৬) কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে।টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে আশংকাজনক অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে সকালে সেখানে আনা হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ”
ওসি বলেন, “ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ২০ হাজার ইয়াবা, ১ টি দেশিয় তৈরী বন্দুক ও ৩ টি গুলি। ঘটনার খবর পেয়ে উত্তেজিত স্থানীয় জনতা ইয়াবা বহনকারি অটোরিক্সাটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে অটোরিক্সাটি পুড়ে গেছে। ”
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ইমাম হোসেন সংঘবদ্ধ মাদক পাচারকারি চক্রের সদস্য। সে দীর্ঘদিন ধরে মাদকপাচারে জড়িত থাকার ব্যাপারে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে জানান ওসি প্রদীপ।