প্রসঙ্গগত টেকনাফ উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান পদ সংক্রান্ত নির্বাচনী মামলা ও ভোট গণনা সম্পর্কে, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মরহুম মাওলানা ফেরদৌস আহমদ জমিরী (র.) এর পরিবারের বক্তব্য :
প্রিয় টেকনাফবাসী, আসসলামু আলাইকুম। আপনারা সকলে অবগত আছেন যে, ২০১৯ সালের ২২ই মার্চ তারিখের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার মরহুম পিতা মাওলানা ফেরদৌস আহমদ জমিরী (র.) তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ১২৫৬ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হন। নির্বাচনের পরদিন থেকে আমার মরহুম পিতার মৃত্যুর দিন পর্যন্ত একটানা দীর্ঘ ১বছর ২ মাস ২১ দিন যাবৎ অবাস্তবিক,অযৌক্তিক,বানোয়াট ও হাস্যকর অভিযোগে নির্বাচনী মামলার শিকার হয়ে নজিরবিহীন ভাবে মানসিক ও আর্থিকভাবে চরম নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হন।
প্রতিমাসে একাধিকবার আমার মরহুম পিতাকে উক্ত মামলার প্রয়োজনে অফিস আদালতে দৌড়াদৌড়ি করতে হত। উক্ত নির্বাচনী মামলার কারণে মরহুমের মানসিক ও আর্থিক অবর্ণনীয় অসহনীয় কষ্ট যন্ত্রনার আমি সহ পরো টেকনাফবাসী স্বয়ং সাক্ষী ও প্রত্যক্ষদর্শী।
গত ১৪ই জুন মাসে আমার সম্মানিত পিতার ইন্তেকালে নির্বাচন কমিশন দেশের নির্বাচনী বিধি মোতাবেক ভাইস চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার নির্দেশনা লিখিত আকারে ঘোষণা দেন। ঘোষণাপত্রে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৩ই সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৬ই সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রতাহারের শেষ তারিখ ৩ই অক্টোবর এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন তারিখ ২০ই অক্টোবর ঘোষণা করেন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে উপরিউক্ত তারিখ ঘোষণার কয়েকদিন পর কক্সবাজার জেলা আদালত কর্তৃক ভাইস চেয়ারম্যান পদের ভোট গণনা ও উপনির্বাচন স্থগিতাদেশের খবর শুনে এ নজিরবিহীন ঘটনায় পুরো কক্সবাজারবাসীর ন্যায় আমার পরিবারও বিস্মিত ও চিন্তিত।
এমতাবস্থায় আদালত কর্তৃক আনুষ্ঠানিক/অনানুষ্ঠানিক ভোট গণনার ফলাফল ঘোষণার পূর্বে মামলার বাদী গোপনসূত্রে তথ্য পেয়েছে বলে মামলার বাদী ও বাদীর অনেক সমর্থকরা ৩৫৬ ভোট বেশি পেয়ে মাইক মার্কাকে বিজয়ী বলে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানোতে আমার পরিবার ও টেকনাফবাসী আরো বেশি হতবাক ও বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে পড়ছে।
সে সাথে বলতে হয়, ২০১৯ সালের ২২-ই মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত আমার শ্রদ্ধেয় পিতা মরহুম মাওলানা ফেরদৌস আহমদ জমিরী (র.) উক্ত নির্বাচনে তিনি সরাসরি নিজে অথবা তাঁহার কোন কর্মী সমর্থক বা অন্য কাউকে দিয়ে পুরো ভোটিং সিস্টেমে কোন প্রকার অনিয়ম,কারচুপি,জোরজবরদস্তি,প্রভাব বিস্তার যে করেননি তা পূর্ণ নিশ্চিয়তার সহিত মহান আল্লাহকে সাক্ষী রেখে, আমি ও আমার পরিবার চ্যালেঞ্জের সাথে ঘোষণা করতেছি। তাছাড়া উক্ত নির্বাচনে আমার মরহুম পিতার পক্ষ থেকে কোন ধরনের অন্যায় অনিয়ম যে হয়নি, সে ব্যাপারে হ্নীলা ও হোয়াইকং ইউনিয়নবাসীসহ পুরো টেকনাফবাসী এবং বিশেষ করে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ভোট গ্রহণকারী সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ সমধিক অবগত ও প্রত্যক্ষ সাক্ষী।
উল্লেখ্য ভোটে যেকোন অনিয়ম করতে হলে দলীয় ক্ষমতা এবং অনেক অর্থবিত্ত ও শক্তিশালী কর্মীবাহিনীর প্রয়োজন হয় যার কোনটাই মরহুম নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যানের ছিল না।
অতএব, আমার শ্রদ্ধেয় মরহুম পিতা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, উপাধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা ফেরদৌস আহমদ জমিরী (র.) এর মানমর্যাদা শানসম্মান সততা সুখ্যাতি এবং তাঁহার প্রতি পুরো দক্ষিণ চট্টলাবাসীর শ্রদ্ধা ভালবাসা ও অকৃত্রিম আবেগের উপর কোন অপশক্তির টাকার পাহাড় ও রাজনৈতিক লম্বা হাতের কালো থাবা পড়লে আমার পরিবার ও দেশবাসী তা কোন অবস্থাতেই মেনে নিবে না।
আমার মরহুম পিতার ইজ্জত ও সুনাম অক্ষত অমলিন থাকার জন্য সবার নিকট দোয়া কামনা করি।
নিবেদক,
হাফেজ মিছবাহ উদ্দীন