বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ১০:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কোস্টগার্ডের ধাওয়ায় ৭ লাখ ইয়াবা পানিতে ফেলে পালাল পাচারকারীরা ‘ইশ্-মার্ট বাংলাদেশ’ প্রভাষক শাহীন সরওয়ার টানটান উত্তেজনায় শেষ হল শেখ রাসেল গোল্ডকাপ;বিজয়ীদের পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিগণ টেকনাফে মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পের উপকারভোগীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ পরবর্তী নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ টেকনাফে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অভাবনীয় সফলতায় মেম্বার এনামের প্রতিষ্ঠিত বালিকা মাদ্রাসা টেকনাফে “অক্সফাম” কর্তৃক ভাউচার প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ “মুক্তি” কক্সবাজার কর্তৃক উপকারভোগীদের মাঝে কৃষি উপকরণ ও নগদ টাকা বিতরণ “বাংলাদেশ সমতা ঐক্য পরিষদ’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী শাখার তৃতীয় মেয়াদে কমিটি গঠিত “মানবাধিকার দিবস” উপলক্ষে টেকনাফে কোস্ট ফাউন্ডেশনের সেমিনার

টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়ন বাসীর উদ্দেশ্যে রাশেদ মাহমুদ আলীর খোলা চিঠি

ওসমান আল হুমাম,কক্সাবজার :
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৫ জুলাই, ২০২০
  • ৫৯৯ বার পঠিত

হ্নীলা বাসীর উদ্দশ্যে নির্বাচিত হওয়ার এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে খোলা চিঠি
প্রিয় হ্নীলাবাসী
আসসালামু আলাইকুম, আদাব, নমস্কার। আশা করি সকলেই ভাল আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
২৫শে জুলাই ২০১৯ সালের আজকের এইদিনে আপনারা আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে জয় যুক্ত করেছিলেন, যার জন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। যদিও জনপ্রতিনিধিত্ব আমার কাছে নতুন কিছু নই কারণ আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান আমার শ্রদ্ধাভাজন পিতা হ্নীলা ইউনিয়নের তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন এবং উখিয়া টেকনাফের সংসদ সদস্য ছিলেন।
নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে প্রতিটি দিন আমার কাছে ছিল চ্যালেঞ্জের, সকাল থেকে বের হওয়া এবং রাত্রিতে বাড়ি ফেরা প্রতিনিয়ত আমি চেষ্টা করেছি হ্নীলা ইউনিয়নের জনগণকে সেবা প্রদান করার জন্যে। নির্বাচনে আমি জনগণকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম আমি প্রতিনিয়তই চেষ্টা করেছি আমার সকল প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করার জন্য ইতিমধ্যে আমার দেয়া প্রতিশ্রুতি অনেকটা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি প্রতিশ্রুতির বাইরে গিয়েও আমি অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করার সুযোগ হয়েছে।
মাদক মুক্ত হ্নীলা গড়ার জন্য প্রতিনিয়ত আমি প্রশাসনকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি, মাদক প্রতিরোধ করতে আমার ব্যক্তিগত চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।আমার এলাকার শিক্ষিত বেকার ভাইদের চাকরির জন্য জোর তদবির করেছি অনেক শিক্ষিত বেকার ভাইদের কে আমি চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
প্রবাসী ভাই এবং তরুণদের জন্য আমার আলাদা একটা আবেগ কাজ করে, কারণ প্রবাসীরা ভাইয়েরা পরিবারের কাছ থেকে হাজার মাইল দূরে থেকেও প্রতিনিয়ত দেশের উন্নয়নের জন্য রেমিট্যান্স পাঠিয়ে যাচ্ছেন।

তরুণ সমাজের প্রতি আমার দুর্বলতা একটাই আমিও একজন তরুণ আর তরুণরাই পারে সমাজ পরিবর্তন করতে। তরুণদের সাথে চেয়ারম্যানের একটা সম্পর্ক তৈরি করার জন্য আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করেছি। তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং বিভিন্ন সমস্যার কথা আমি শুনেছি তাদের প্রতি আমার রেসপন্স ছিল অন্যরকম।
আলেম ওলামা, শিক্ষক ও এলাকার মুরুব্বিদের প্রতি আমার সম্মান, শ্রদ্ধা প্রতিনিয়ত আমার মন থেকে তৈরি হয়েছে, উনাদের বিভিন্ন সমস্যায় আমি পাশে ছিলাম, এখনো আছি, ভবিষ্যতে থাকবো।
আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এখনো আমি বাস্তবায়ন করতে পারিনি তারমধ্যে হ্নীলা স্টেশন থেকে পুরাতন বাজারের রাস্তা এবং হ্নীলা স্টেশন থেকে পানখালী রাস্তা। অতি শীঘ্রই তা বাস্তবায়ন হবে বলে আমি আশা করছি।
প্রিয় হ্নীলাবাসী,
বিভিন্ন স্থানে আমি ইতিমধ্যে সড়ক, উপসড়ক, ব্রীজ, কালভার্ট নির্মাণ করেছি, এমন কিছু জায়গায় আমি রাস্তা নির্মাণ করেছি যা আমার জন্য অনেকটা কঠিন ছিল,রাস্তা নির্মাণ করার জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে আমাকে জায়গা খুঁজতে হয়েছে!জায়গার মালিক কে উৎসাহিত করার জন্য আমি আমার পৈতৃক সম্পত্তি পর্যন্ত রাস্তার জন্য দান করেছি যা আপনারা সবাই দেখেছেন।
হ্নীলা স্টেশনে যানজট মুক্ত করার জন্য আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবকের ব্যবস্থা করেছি সেই সাথে টমটম, অটোরিকশা, সিএনজি সমিতির পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে।
দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে প্রতিনিয়ত আমাকে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে আমিও তা সাদরে গ্রহন করেছি, বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বন্যা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে নিজে উপস্থিত হয়ে তাদের দুঃখের ভাগিদার হয়েছি সহযোগিতা করেছি।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় মানুষকে ভোগান্তি মুক্ত রাখার জন্য আমি প্রতিনিয়ত তদারকি করেছি।
ইতিমধ্যে সবকিছু সুন্দরভাবে সম্পন্ন হতে চলছিল কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করেছে যার জন্য বাংলাদেশ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।করোনা মহামারী মোকাবেলায় আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করেছি আপনাদের পাশে থাকার জন্য, অন্য মানুষের মত আমি ঘরে অবস্থান করিনি,পরিবারের কথা চিন্তা না করে প্রতিনিয়ত জনগণের পাশে ছিলাম।
দিন দিন করোনার ভয়াবহতা বেড়ে চলেছে
জনগণকে সহায়তা প্রদান থেকে শুরু করে সুরক্ষার জন্য সবসময় আপনাদের পাশে থাকা অব্যাহত আছে। আমি কথা দিয়েছিলাম আমার এলাকার জনগণ “না খেয়ে থাকবে না”আমি সেটা বাস্তবায়ন করতে চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে জনগণের জন্য বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে অার্থিক সহায়তা প্রদান ও করোনা আক্রান্তদের জন্য আইসোলেশন সেন্টার আমি বাস্তবায়ন করেছি। তাছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দেয়া প্রণোদনা প্যাকেজ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের হাতে পৌঁছে দিয়েছি।
নির্বাচিত হবার পর আমি চেয়েছি জনগণের সাথে চেয়ারম্যানের দূরত্ব কমিয়ে আনতে, তাদের কথা খুব কাছ থেকে শুনেছি, বিভিন্ন সমস্যা আমি তাদের পাশে থেকে সমাধান করেছি।
হ্নীলার মানুষের পাশে নিজেকে এমনভাবে নিয়োজিত করেছি, আজকাল অনেকে তিরস্কার করে
“সস্তা চেয়ারম্যান বলে”তার জন্য আমি একটুও মন খারাপ করি না কারণ জনগণ আমার প্রাণ।
নির্বাচনের সময় আমি কথা দিয়েছিলাম,আমাকে খুঁজতে হবে না আমি নিজেই আপনাদের দুয়ারে আসবো সেই কথাটি বাস্তবায়ন করার জন্য আমার দিবারাত্রি পরিশ্রম।
প্রিয় হ্নীলাবাসী,
কিছু কিছু বিষয় আমাকে খুব কষ্ট দেয়, যখন আমাকে অবাধ্য পুত্রের বিচার করতে হয়, সম্পত্তির জন্য ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের মারামারির বিচার আর বিবাহ বিচ্ছেদের নালিশ ইত্যাদি আমাকে খুব ব্যাতিত করে।আসুন আমরা এইসব পরিহার করি।।
আমার এক বছরের পথচলায় মনের অজান্তে কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকলে আমাকে ক্ষমা করবেন।আমার বিন্দুমাত্র সফলতা যদি থাকে,তা হ্নীলাবাসীর জন্য উৎসর্গ করলাম,ব্যার্থতা আমার কাধে নিলাম।

এই জনপদে যখন আমার জন্ম, আপনাদের জন্য নিজের জীবনটা বিলিয়ে দিবো।

পরিশেষে করোনা মহামারীতে মৃত্যু বরন করা সকলের আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি।।

“রিক্ত আমি সিক্ত আমি দেবার কিছু নাই, আছে শুধু ভালবাসা দিয়েও গেলাম তাই”

রাশেদ মাহমুদ আলী
চেয়ারম্যান, হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs
error: Content is protected !!