প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
টেকনাফ সাহিত্য একাডেমির উদ্যোগে প্রথম বারের মতো গত ১১ই জুলাই অনুষ্ঠিত হলো ইদ আনন্দ ও সাহিত্য আড্ডা। উক্ত সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ সাহিত্য একাডেমির সভাপতি শিক্ষক, প্রাবন্ধিক ও প্রকাশক কবি আলী প্রয়াস|
কবি ও গবেষক নাফিক আব্দুল্লাহর সঞ্চালনায় উক্ত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন সহ-সভাপতি কবি সাংবাদিক নুপা আলম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক এহ্সান উদ্দিন সাংগঠনিক সম্পাদক কবি ও শিশুসাহিত্যিক শফিউল্লাহ নান্নু; সাহিত্য সম্পাদক কবি ইসমাইল মুকুল; অর্থ সম্পাদক কবি ও গল্পকার ইসহাক তুহিন; প্রচার সম্পাদক কবি হোসাইন জাহিদ; সহ-প্রচার সম্পাদক ফয়সাল সাফি এবং সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি রফিক রানা, জামাল জাফরান, হেলাল উদ্দিন, এ.আর. হায়দার, আব্দুল মজিদ অভি, সাঈদ রায়হানসহ টেকনাফের অনেক সাহিত্যসুহৃদ।
সভাপতি কবি আলী প্রয়াস তার বক্তব্যে বলেন, আগামী প্রজন্মকে সুন্দর সমাজ ও রাষ্ট্র উপহার দিতে চাইলে সাহিত্যচর্চার কোনো বিকল্প নেই। টেকনাফ সাহিত্য একাডেমির গুরুত্ব বিবেচনা করে তিনি আরও বলেন, জ্ঞানের আলো জ্বালাতে এই রকম সাহিত্য একাডেমি খুব বেশি প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে টেকনাফের সৃজনশীল মানুষগুলো খোঁজে বের করা গেলে তাদের মাধ্যমে টেকনাফে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির উন্নতি ঘটিয়ে টেকনাফকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে।
সহ-সভাপতি কবি নুপা আলম বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবোধ, মুক্তিযুদ্ধ, একাত্তর, স্বাধীনতার চেতনা মানুষের মাঝে প্রতিফলন করতে হলে সৃজনমনস্ক প্রজন্ম তৈরি করতে হবে। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার চেতনা অস্বীকার করে সাহিত্যচর্চা অর্থহীন।
সাধারণ সম্পাদক কবি ও গবেষক নাফিক আব্দুল্লাহ বলেন, টেকনাফকে আমরা সবাই ভালোবাসি। এই ভালোবাসার টেকনাফে সৃজনশীলতার মাধ্যমে নব জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। পাশাপাশি নিজেদেরকেও জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে অনেক বেশি সমৃদ্ধ করে তুলতে হবে।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এহ্সান উদ্দিন বলেন, আমাদের টেকনাফ সাহিত্য দিক থেকে অনেক পিছিয়ে, তাই আমাদের এমন একটি দুঃসময়ে এই রকম সংগঠন খুব বেশি প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন আমি আশা করছি এই সংগঠনের হাত ধরে টেকনাফে আলোর জোয়ার বইয়ে আসবে।
সাংগঠনিক সম্পাদক কবি শফিউল্লাহ নান্নু বলেন, কলম যুদ্ধের মাধ্যমেও একটা বিপ্লব ঘটানো সম্ভব যেমন করে রাজা রামমোহন রায় সতীদাহপ্রথার বিলুপ্ত ঘটিয়েছিলেন, ঈসরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিধবাপ্রথা বিলুপ্ত করেছিলেন ঠিক আমারও চাই কলম যুদ্ধের মাধ্যমে এই টেকনাফ থেকে অন্ধকার দূর করতে।
উল্লেখ্য, টেকনাফের সৃজনশীল লেখকদের নিয়ে সম্প্রতি ১৭সদস্যের কার্যকরী কমিটি গঠন করে টেকনাফ সাহিত্য একাডেমি নামে তারুণ্যনির্ভর প্রগতিশীল একটি সাহিত্য সংগঠনের অগ্রযাত্রা শুরু করে।