দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে হঠাৎ করে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ঢল নেমেছে। এদিকে পর্যটকরা কোনো ধরণের স্বাস্থ্যবিধি মানছেন। এক দিনের সরকারি ছুটি, জুমাবার এবং শনিবার মিলে ৩/৪দিনের কর্মহীন সময়ের ফাঁকে বিজয় দিবসের ছুটি কাটাতে পরিবার ও নিকটজনদের নিয়ে পর্যটকেরা ছুটে আসেন টেকনাফ সেন্টমার্টিন দ্বীপে। রাত্রিকালীন সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে নদী-সাগর পাড়ি দিয়ে হাজারো পর্যটক এখন সেন্টমার্টিনে অবস্থান করছেন। ইতোমধ্যে দ্বীপের শতাধিক আবাসিক হোটেল এবং কটেজসমূহ পর্যটকে ভরে গেছে।
হোটেল মালিকরা জানান, লকডাউন পরবর্তী সময়ে ছুটির সুযোগে মুজিব বর্ষের বিজয় দিবস উদযাপন করতে আগে থেকেই ৯০% পর্যটকেরা সেন্টমার্টিনের হোটেল এবং কটেজে বুকিং দিয়েছেন।
এমনকি হোটেল-কটেজ পরিপূর্ণ হলে হাজারো পর্যটক সৈকতের বালিয়াড়িতে রাত কাটাবেন বলে জানা গেছে। অনেকেই আবার সেন্টমার্টিনে রোম না পেয়ে ঘর ভাড়া করে নিয়েছে বলে জানাযায়।
ঢাকা মিরপুর থেকে ভ্রমনে আসা পর্যটক জাহিদ মালিক জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপে এসে রাতযাপন করার শখ ছিল দীর্ঘ দিনের। বিজয় দিবসের আনন্দ উদযাপন করতে পরিবার নিয়ে প্রবাল দ্বীপে ছুটে এসেছি।
সেন্টমার্টিন হোটেল কটেজ মালিক সমিতি ও দ্বীপ আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: মুজিবুর রহমান জানান, ডিসেম্বর মাস পর্যটকের ভরা মৌসুম। বিজয় দিবস উদযাপন করতে পর্যটকেরা প্রতিবছর এ সময়ে সেন্টমার্টিনে আসেন। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দ্বীপের হোটেল-কটেজ মালিক সমিতি সব সময়ই পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে বদ্ধপরিকর।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, বিজয় দিবসের ছুটিতে সাত হাজারেরও বেশি পর্যটক দ্বীপে এসেছেন। অনেক পর্যটক হোটেল-কটেজে জায়গা না পেয়ে ইতিমধ্যে পেন্ডেল ভাড়া নিয়েছেন। তারা নিকটজনদের নিয়ে সৈকতের বালিয়াডিতে রাত কাটাবেন। সন্ধ্যার পর থেকে থেকে পেন্ডেল নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশেষ করে লকডাউন পরবর্তী পর্যটন মৌসুম এবং সরকারী ছুটিকে স্মৃতিময় করতে এসব পর্যটক আগামী শনিবার পর্যন্ত প্রবাল দ্বীপে অবস্থান করবেন । তবে পুলিশ, কোষ্টর্গাড,বিজিবি সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছে।
সেন্ট মার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো: মুস্তাকিম হোসাইন জানান,পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে পুলিশ কাজ করছে। পর্যটকরা যেন অবাধে চলতে পারেন সেই জন্য তিনস্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পর্যটকদের স্বার্থে বীচে মোটর সাইকেল চালানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এদিকে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সাইফ জানান, ছুটির দিন হওয়াতে সেন্টমার্টিনে পর্যটকরা যাতে নির্বিঘ্নে ঘোরাফেরা রাত যাপন করতে পারেন সেজন্য স্হানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।