টেকনাফের শামলাপুর ডিজেল ৬৬.৫০ টাকা তবু অতিরিক্ত পরিবহন খরচ করে পর্যটন এলাকা থেকে বাড়তি অর্থ ব্যয় করে ডিজেল এনে বিক্রি করছে
এক তেল ব্যবসায়ী তাতে রয়েছে বড় ধরনের রহস্য।
নেপথ্যে শুধু কি তেল নাকি মাদকও?
সূত্র জানায়,শামলাপুরের স্থানীয় মৃত কাদের হোসাইনের ছেলে আবুল কালাম যে ডিজেল শামলাপুরে একই দরে ক্রয় করে বিক্রি করতে পারছে সেই তেল উল্টো পথে টেকনাফ থেকে অতিরিক্ত পরিবহন খরচ করে আনার মধ্যে রহস্য খোঁজছে অনেকে।টেকনাফ থেকে প্রতি লিটার তেলে ১.৫০ টাকা অতিরিক্ত পরিবহন খরচ দিচ্ছে তা নিয়ে ব্যবসায়ীদের মনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
শুধু কি তেল ক্রয় করে নাকি ভেতরে ভেতরে আরো কিছু ক্রয় করে? আজকাল অনেকে টেকনাফে মাদকের অবৈধ কালো টাকাকে সাদা করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আসছে।এরকম আবুল কালামের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত পরিবহন খরচ দিয়ে তেল আনার জন্য প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। তার নেই তেলের লাইসেন্স তবু কেন ঝুঁকি নিয়ে যে তেল শামলাপুরে সে সরকারি রেটে পাচ্ছে সেই তেলে প্রতি লিটারে অতিরিক্ত পরিবহন খরচ এবং ২৫ কিলোমিটার দূরে গিয়ে উল্টো পথে তেল আনার মধ্যে রহস্য রয়েছে বলে অনেকের দাবি।
এদিকে শামলাপুর নামার বাজারে আবুল কালামসহ বেশ কয়েকজন তেল ব্যবসায়ীর তেলের লাইসেন্স নেই।কয়েকজন লাইসেন্সধারী তেল ব্যবসায়ী জানিয়েছেন লাইসেন্স ছাড়া তেল বিক্রির সরকারভাবে অনুমতি নেই।তবু আবুল কালাম লাইসেন্স ছাড়া ঝুঁকি নিয়ে মাদক এলাকা থেকে তেল ক্রয়ের রহস্য কি?
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবুল কালাম টেকনাফের মিঠা পানির ছাড়া ফেরদৌস মিয়ার যে তেলের ডিলার থেকে তেল ক্রয় করে তার বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে।ফেরদৌস মিয়ার সাথে কি আবুল কালামের শুধু তেল ক্রয়ের সম্পর্ক নাকি নেপথ্যে অবৈধ দ্রব্য ব্যবসার সম্পর্কও রয়েছে তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতনমহল।
এব্যাপারে ফেরদৌস মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন,” আমরা সরকারি রেটের কমও তেল বিক্রি করে ব্যবসায়ী ধরে রাখতে।আবুল কালাম প্রতি সাপ্তাহে ৭২৫ লিটার তেল ক্রয় করে তাতে অতিরিক্ত পরিবহন খরচতো আছে সেটা তার ব্যাপার”।