রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
উপকারভোগীদের কৃষি উপকরণ বিতরণ করলেন এনজিও সংস্থা “মুক্তি “ পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিবন্ধীকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ! দেশে ৪ কোটি মানুষের চলছে দুর্দিন,ঋণ করেই চলছে ৭৪ভাগ পরিবার কোস্টগার্ডের ধাওয়ায় ৭ লাখ ইয়াবা পানিতে ফেলে পালাল পাচারকারীরা ‘ইশ্-মার্ট বাংলাদেশ’ প্রভাষক শাহীন সরওয়ার টানটান উত্তেজনায় শেষ হল শেখ রাসেল গোল্ডকাপ;বিজয়ীদের পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিগণ টেকনাফে মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পের উপকারভোগীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ পরবর্তী নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ টেকনাফে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অভাবনীয় সফলতায় মেম্বার এনামের প্রতিষ্ঠিত বালিকা মাদ্রাসা টেকনাফে “অক্সফাম” কর্তৃক ভাউচার প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ

দেশবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন |বাংলাদেশ দিগন্ত

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০২০
  • ৫৪৩ বার পঠিত

বর্ষ পরিক্রমায় আবারও এসেছে পবিত্র ঈদুল আযহা। আমাদের জীবনে প্রতি বছর ঈদ আসে আনন্দ আর সীমাহীন প্রেম,প্রীতি ও কল্যানের বার্তা নিয়ে।তাই এই দিন সকল কালিমা আর কলুষিতাকে ধুয়ে মুছে, হিংসা বিদ্বেষ ভুলে পরস্পর প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া উচিৎ।
ঈদের শুভেচ্ছা।
ঈদ আরবি শব্দ-যার অর্থ খুশি বা আনন্দ। ঈদ একাধারে উৎসব ও ইবাদত।ঈদ এলে ধনী-গরিব, উঁচু-নিচু সব মানুষ মেতে ওঠে উৎসবে।সব বৈষম্য ও ভেদাভেদ ভুলে মানুষে মানুষে সৃষ্টি হয় সাম্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ। ধনী -গরীব নির্বিশেষে সব মানুষ একটি দিনের জন্য হলেও ভুলে যায় হিংসা-বিদ্বেষ।
মহানবী (সা.) মদিনায় হিজরত করার আগে আরব জাতি ‘নাইরোজ’ ও ‘মেহেরজান’ নামে দুটি উৎসব পালন করত। মহানবী (সা.) মদিনায় হিজরত করার পর অশ্লীলতায় নিমজ্জিত উৎসব দুটির মূলোৎপাটন করে মুসলমানদের জন্য চালু করেন ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা নামে দুটি ধর্মীয় উৎসব। মূলত মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে তখন থেকেই শুরু হয় ঈদ উৎসব পালনের প্রচলন।
ঈদ হচ্ছে মুসলমানের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় এই উৎসব এখন আর শুধু মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। বিস্তৃত হয়েছে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যেও। ঈদের আনন্দে এখন সব ধর্মের মানুষ শরীক হয় বলে এটা এখন সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। ঈদের দুটি মাহাত্ম্য রয়েছে। একটি হচ্ছে সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি অর্জন, অন্যটি হচ্ছে অসচ্ছল ও অবহেলিত মানুষের অধিকার নিশ্চিত করন।
এবারের ঈদের ভিন্ন তাৎপর্য রয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারনে পুরো সমাজে অর্থনৈতিক বিপর্যয় চলছে।ফলে ঘরে ঘরে বিরাজ করছে বিষাদের ছায়া। তা ছাড়া দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা-বাণিজ্য ও কাজকর্ম বন্ধ থাকায় অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। নিম্ন আয়ের মানুষেরা এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি সমস্যাপীড়িত। অনেকের ঘরে নেই দু-মুঠো অন্নের সংস্থান। এই সময়ে আমাদের সবার উচিত বিপন্ন ও অসহায় এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সব ভয়ভীতি ও আতঙ্ককে জয় করে আমরা যদি এবারের ঈদে ক্ষুধার্ত অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারি, তাহলে ঈদের আনন্দ ও উদ্দেশ্য সার্থক হবে।

ঈদ মোবারক
শুভেচ্ছান্তে-
মোহাম্মদ জাকির হোসেন ইন্সপেক্টর,

বাংলাদেশ পুলিশ

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs
error: Content is protected !!