বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, লামা সার্কেল এএসপি রেজওয়ানুল ইসলাম এর দিক নির্দেশনায়, নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আলমগীর হোসেনের তত্ত্বাবধানে এবং নাইক্ষ্যংছড়ি থানাধীন ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হোসাইন এর, নেতৃত্বে, ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর এসআই/(নিঃ) জীবন চৌধুরী সঙ্গীয় ফোর্সসহ নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম এলাকায় অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার, আসামী গ্রেফতার ও বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে ঘুমধুম ইউপিস্থ টিভি টাওয়ার এলাকা থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার মামলা নং- ০৬(০৬)২০২০ এর এজাহারনামীয় পলাতক আসামী মাদক ব্যবসায়ী শাহআলম প্রঃ রোহিঙ্গা শাহআলম প্রঃ ইয়াবা শাহ আলম (৪৫) পিতা-কালু মিয়া প্রঃ কালা চাঁনকে গ্রেফতার করেন।
ধৃত আসামী শাহআলমকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যমতে মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তার সহযোগীরা ইয়াবা ট্যাবলেটের একটি বড় চালান নিয়ে আসার সংবাদের ভিত্তিতে এসআই/নিঃ জীবন চৌধুরী সঙ্গীয় ফোর্সসহ অত্র থানাধীন ০৩নং ঘুমধুম ইউপিস্থ ০৪ নং ওয়ার্ড দক্ষিন ঘুমধুম বাংলাদেশ মায়ানমার চীন মৈত্রী সড়কের গাড়ী পার্কিং এলাকায় রাত অনুমান ০৩.৩০ ঘটিকার সময় পৌছলে সেখানে পূর্বে থেকে রাতের অন্ধকারে পাহাড়ী জঙ্গলে উৎপেতে থাকা ইয়াবা বহনকারী ১০/১২ জনের একটি দল আসামী শাহআলম প্রঃ রোহিঙ্গা শাহআলম প্রঃ ইয়াবা শাহ আলম এর সহযোগীরা শাহআলমকে পুলিশের কবল থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ শুরু করে। এই সময় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা নিজেদের জান-মাল ও সরকারী অস্ত্রগুলি রক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। ধৃত আসামী শাহআলম প্রঃ রোহিঙ্গা শাহআলম পালানোর চেষ্টাকালে গোলাগুলির মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় পুলিশের ০২ জন সদস্যও আহত হয়। ঘটনাস্থলে তল্লাশী করে পলাতক আসামীদের ফেলে যাওয়া ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার পিচ) ইয়াবা ট্যাবলেট ও একটি দেশীয় তৈরী বন্দুক ও ০২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। আহত আসামী শাহআলম প্রঃ রোহিঙ্গা শাহআলম প্রঃ ইয়াবা শাহ আলমকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে। এই সংক্রান্তে মৃত আসামী সহ পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা, একটি অস্ত্র মামলা ও একটি মাদক মামলা রুজুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।
এই বিষয়ে লামা সার্কেল এএসপি মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।