যেখানে সমস্যা সেখানেই ছুটে চলে যান তারই নাম নাজনিন সরোয়ার কাবেরী কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদিকা
রোদ্দুরের মতোই প্রসন্ন ভোর।
আজ ভোর বেলায় রশিদনগর থেকে প্রবাসীর পরিবার ফোন করে বললো,গতসপ্তাহে আমি ওই ডাকাত আক্রান্ত এলাকায় যাওয়ার পর
ডাকাতরা ভয়েও লজ্জায় স্ট্যাম্প দিয়ে জনপ্রতিনিধির সামনে স্মরনাপণ্ণ হয়েছে।প্রবাসীর পরিবার সহ কোথাও তারা আর ডাকাতি ও সন্ত্রাসীপনা করবেনা।
উখিয়া থেকে রনি বড়ুয়া ও তার মা ফোন দিয়ে বললো,আমার হস্তক্ষেপে তারা ভালো বিচার পেয়েছে।
চারলাখ টাকা, বারো ভরি স্বর্ণালংকার, মেয়ের বাড়ি হতে দেয়া সকল ফার্নিচার তারা শ্বশুর বাড়ি হতে ফেরত পাচ্ছে।আমার জন্য তারা দোয়া করছে।
আমাকে একবেলা দাওয়াত খাওয়াতে চায়।জনপ্রতিনিধিরা বিচারে নির্যাতিত পরিবার টির পাশেই রায় দিয়েছে।
নুরুল আলম বললেন আমি চোখের জলে ভিজে আপনার জন্য দেয়া করেছি।
সন্ত্রাসী নির্যাতন থেকে আমাকে ও আমার পরিবার,কে উদ্ধারের জন্য রামু থানা আমাদের পাশে এসে দাঁড়ালো, আপনার জন্য দোয়া স্রস্টার কাছে চেয়েছি।
মারিশবুনিয়া বাহার ছড়া থেকে পঙ্গু আমির হোসেন ও আটচল্লিশ কৃষক বললেন,এসিল্যান্ড ডেভেলপার নামধারীদের কাছ থেকে আমাদের দখল হওয়া রাস্তা ও ভূমি ফেরতের ব্যবস্হা নিচ্ছেন।
এসিল্যান্ড সাহেব ও আমাকে তাই আশ্বাস দিলেন।
তারা কেউ কেউ আমাকে আবেগে বলেন,আমি নাকি তাদের জন্মদাত্রীর মতো দ্বিতীয় বার জন্ম দিই।
আমি জন্ম দিইনা,তবে যেসব সমস্যা গুলো
মোকাবিলা করি, সমাধান না হওয়া অবধি ‘জন্মদানে জন্মদাত্রীর প্রসব
ব্যথায় জর্জরিত থাকি।
যতটা সমস্যা আমি দেখিয়েছি পাশাপাশি সমাধানের জয়ের গল্প গুলো আমার বলা হয়নি।
কারন এর মাঝে আরও পন্চাশ জনের জীবন জটিলতা আমাকে ছেয়ে ফেলে।
যেখানে আমি নির্যাতিত পরিবারের সদস্য হয়ে পড়ি।
অসংখ্য মানুষ নির্যাতন অবিচার থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে সুবিচারের গল্প শোনায়,যা আমাকে দারুণ
আশাজাগানিয়া করে।
তাই আমি ঘরে ফিরিনা।
শুনতে পাই প্রত্যন্ত পল্লী থেকে পাথরে গাথা শহর পর্যন্ত নির্যাতিত মানুষের কান্না।
যাদের কথা শুনবার মানুষ সৃষ্টি হচ্ছেনা।
অসংখ্য হত্যা হয়, হত্যাকারীকে চিনেও তথাকথিত নেতৃত্বরা হত্যাকারীর সাথে চলাফেরা করে।
আমি অন্যায়কে কোন মূল্যেই মাফ করতে পারিনা।
আমি চাই শুদ্ধ সমাজ ব্যবস্হা ও সোনার বাংলা গঠনে দলমত নির্বিশেষে মানুষের সুবিচার ত্বরান্বিত হউক।
আলেম সমাজ ধর্ম প্রচারের
পাশাপাশি ক্ষমা অযোগ্য অপরাধ
শিশু বলাতকার ও ধর্ষণ প্রতিরোধে এগিয়ে আসুক।
শিক্ষকরা মাদক নির্মূলে ভূমিকা রাখুক।
তরুণরা সাধারনের অধিকার আদায়ে মাঠে নামুক।
আমরা রৌদ্রস্নাত দুপুরের মতো
জ্বলজ্বলে সবুজ প্রজন্ম ও
একটি সমাজ চাই।