পঞ্চগড় জেলার তেতুঁলিয়া উপজেলায় দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনাটি ঘটে গত ৫ জুলাই। উক্ত ঘটনার জেরে ৫ জুলাই রবিবারে রুবেল (২২) নামের একজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা।
উক্ত ঘটনার পর ধর্ষক রুবেল পালিয়েছে এবং এখনো নিখোঁজ অবস্থায় রয়েছে। উক্ত মামলা হতে জানা যায় দশম শ্রেণীর ছাত্রীটিকে তার পাশের গ্রামের রুবেল হোসেন অনেকদিন ধরেই উত্ত্যক্ত ও জ্বালাতন করছিলো। যখন মেয়েটি স্কুলে আসা-যাওয়া করতো তখন রাস্তাঘাটে তাকে বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করতো বখাটে রুবেল। বিষয়টি জানার পর ছাত্রীর বাবা-মা রুবেলের পরিবারের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করে। এতে রুবেল ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। যার কারণে ৪ জুলাই শনিবারে রাতে ওই ছাত্রী ঘর থেকে বের হলে তার মুখ চেপে পাশের একটি বাঁশবাগানে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে রুবেল।
একসময় ওই ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং তাকে তাদের বাড়ির টয়লেটে বিবস্ত্র অবস্থায় রেখে চলে যায় রুবেল। চলে যাওয়ার সময় মাঝরাতে ওই এলাকার স্থানীয়দের চোখে পড়ে রুবেল। স্থানীয়রা তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে কৌশলে পালিয়ে যায় সে।
এরপর ওই ছাত্রীটিকে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখোঁজি শুরু করার এক পর্যায়ে পরিবারের লোকজন উক্ত বাঁশঝাড়ে রুবেলের জুতা, আন্ডারওয়ার এবং ওই কিশোরীর জামা খুঁজে পায়। পরদিন সকালে পরিবারের লোকজন যখন টয়লেটে যায় তখন বিবস্ত্র অবস্থায় খুঁজে পায় ওই ছাত্রীটিকে। বর্তমানে ছাত্রীটি পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
আসামি নিখোঁজ হওয়ায় এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেননি পুলিশ।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আবু সাঈদ চৌধুরী হতে জানা যায়, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ একটি মামলা হয়েছে। আর তারা আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।