বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
উপকারভোগীদের কৃষি উপকরণ বিতরণ করলেন এনজিও সংস্থা “মুক্তি “ পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিবন্ধীকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ! দেশে ৪ কোটি মানুষের চলছে দুর্দিন,ঋণ করেই চলছে ৭৪ভাগ পরিবার কোস্টগার্ডের ধাওয়ায় ৭ লাখ ইয়াবা পানিতে ফেলে পালাল পাচারকারীরা ‘ইশ্-মার্ট বাংলাদেশ’ প্রভাষক শাহীন সরওয়ার টানটান উত্তেজনায় শেষ হল শেখ রাসেল গোল্ডকাপ;বিজয়ীদের পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিগণ টেকনাফে মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পের উপকারভোগীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ পরবর্তী নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ টেকনাফে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অভাবনীয় সফলতায় মেম্বার এনামের প্রতিষ্ঠিত বালিকা মাদ্রাসা টেকনাফে “অক্সফাম” কর্তৃক ভাউচার প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ

পরকীয়া প্রেমিককে কাছে পেতে ৩ সন্তানকে বিষপান করান মা |বাংলাদেশ দিগন্ত

যুগান্তর
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৫৪৩ বার পঠিত

হবিগঞ্জে পরকীয়া প্রেমিককে কাছে পেতে জুসের সঙ্গে বিষপান করিয়ে নিজের তিন শিশুসন্তানকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন তাদের মা ফাহিমা খাতুন। এতে এক সন্তান মারা গেলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় দুই শিশু।

মঙ্গলবার রাতে জেলার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মা ফাহিমা খাতুন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের উচাইল-চারিনাও গ্রামের ইজিবাইকচালক সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, মঙ্গলবার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য দেয় মা ফাহিমা খাতুন। আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।দীর্ঘদিন ধরে ফাহিমা খাতুনের সঙ্গে পাশের বাড়ির আক্তার মিয়ার পরকীয়ার সম্পর্ক চলছিল। আক্তার মিয়া একাধিকবার বিয়েও হয়েছে।

একপর্যায়ে তারা ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ফাহিমার তিন সন্তান। ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের দোকান থেকে ফাহিমা দুটি লিচুর জুস ক্রয় করে এনে প্রেমিক আক্তার মিয়ার হাতে দেয়। আক্তার মিয়া জুসে বিষ মেশায়।পরে আক্তার মিয়া ও ফাহিমা খাতুন তিন সন্তানকে উঠান থেকে ডেকে এনে জুসপান করায়। এর পরই বিষক্রিয়ায় ফাহিমার তিন শিশুসন্তান ছটপট করতে থাকে।

পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় শিশুদের হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে ফাহিমার সাত বছরের শিশুকন্যা সাথী আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।

আর অপর শিশু তোফাজ্জল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর সুস্থ হয়। পরে ফাহিমা ও আক্তারের পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি প্রকাশ পায়।

এর পর শিশুদের বাবা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে স্ত্রী ফাহিমা আক্তারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs
error: Content is protected !!