বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ০৫:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
উপকারভোগীদের কৃষি উপকরণ বিতরণ করলেন এনজিও সংস্থা “মুক্তি “ পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিবন্ধীকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ! দেশে ৪ কোটি মানুষের চলছে দুর্দিন,ঋণ করেই চলছে ৭৪ভাগ পরিবার কোস্টগার্ডের ধাওয়ায় ৭ লাখ ইয়াবা পানিতে ফেলে পালাল পাচারকারীরা ‘ইশ্-মার্ট বাংলাদেশ’ প্রভাষক শাহীন সরওয়ার টানটান উত্তেজনায় শেষ হল শেখ রাসেল গোল্ডকাপ;বিজয়ীদের পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিগণ টেকনাফে মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পের উপকারভোগীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ পরবর্তী নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ টেকনাফে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অভাবনীয় সফলতায় মেম্বার এনামের প্রতিষ্ঠিত বালিকা মাদ্রাসা টেকনাফে “অক্সফাম” কর্তৃক ভাউচার প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ

পাঁচবিবির পাথরঘাটা ব্রিজ এখন মরণ ফাঁদে পরিণত

হুমায়ুন আহমদ,জয়পুর হাট:
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০২০
  • ৪৮৬ বার পঠিত

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ঐতিহাসিক পাথরঘাটার কূল ঘেঁষে বয়ে যাওয়া তুলশীগঙ্গা নদীর ব্রিজটি এখন জন সাধারণের জন্য মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।পাকিস্তান আমলে নির্মিত এ ব্রিজটির অনেক জায়গায় ফাটল ও দু’পাশের রেলিং ভেঙে গেছে । তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে উপজেলার মঠপাড়া, বিদ্দিগ্রাম, বেলপুকুর, সাড়ারপাড়, উচাই, কাশাবাড়ী, বাগড়া, কাঁটাপুকুর, নয়াপাড়াসহ আশে পাশের ১৫/২০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ।

কাঁটাপুকুর গ্রামের ছানোয়ার হোসেন, মঠপাড়া গ্রামের বিরেন চন্দ্র ও পীরপাল গ্রামের ফ্রান্সিস মার্ড্ডী বলেন, ১৯৫০ সালের দিকে ইতালিয়ান খৃস্টীয় মণ্ডলীর বিদেশি ফাদার জভান্নী ভানজেত্তি পিমে ধর্ম প্রচারের উদ্দেশে পাথরঘাটায় এসেছিল। সে সময় তিনি এলাকার খৃস্টানদের জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি একটা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় গড়ে তোলেন। তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তুলশীগঙ্গা নদী সাতরিয়ে পার হয়ে আসতো। তাদের এমন কষ্টের কথা চিন্তা করে প্রথমে তিনি তাল গাছের বরগা ও বাঁশের খুঁটি দিয়ে যাতায়াতের সেতু নির্মাণ করেন। পরে পূর্ব এলাকার শিক্ষার্থী ও লোকজনের আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে ঐ ফাদার ১৯৫৭ সালে পাকা ব্রিজ নির্মাণ করেছিলেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় অর্ধশত বছর আগে নির্মিত এই ব্রিজের অর্ধেক রেলিং দীর্ঘদিন ধরে নেই। এছাড়াও ব্রিজের অনেক জায়গা ভাঙা ও ফাটল ধরেছে। এমন ভঙ্গুর ব্রিজের উপর দিয়েই প্রতিদিন হাজারও পথচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী চলাচল করে। অপরদিকে ধান, ভারী মালামাল বোঝায় ছোট পিকআপ, মেসি-ট্রাক্টর ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে আটাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আ স ম সামছুল আরেফীন আবু চৌধুরী বলেন, এটি বহু পুরানো ব্রিজ। নতুন ব্রিজের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেছি, পত্রও দিয়েছি।

উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটির টেন্ডার প্রক্রিয়া করোনার কারণে আটকে আছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই কার্যক্রম শুরু হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs
error: Content is protected !!