পাবনা জেলার সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারী শহীদ বুলবুল কলেজের অধ্যক্ষ বাহেজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে উপবৃত্তি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যয়নরত এক শিক্ষার্থী এই প্রতিবেদকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান,
আমরা পাবনা সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের একাদশ শ্রেনীর নিয়মমিত শিক্ষার্থী। আমরা মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদ্রুভাবে সরকারি নির্দেশনানুযায়ী কলেজ বন্ধ থাকায়, আমরা সাধারণ ছাত্র ছাত্রী নিয়মিত কলেজে আসতে পারছি না । কিন্তু হটাৎ জানতে পারলাম আমাদের কলেজের একাদশ শ্রেনির গরীব অসহায় ও মেধাবীদের জন্য উপবৃত্তির তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। আমরা কলেজের অফিসে যোগাযোগ করলে অফিস সহায়ক শরিফুল ইসলাম আমাদের জানান। উপবৃত্তির জন্য সকল আবেদনের কার্যক্রমের সময় শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু এখানে উল্লেখ্য যে অফিস কর্মকর্তরা আমাদের আবেদনের সময় শেষ হওয়ার কথা ছাপ জানিয়ে দিয়েছেন। তারাই আমাদের চোখের সামনে দিয়ে সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের অধ্যক্ষ বাহেজ উদ্দিন স্যারের সহযোগিতায় তাদের শুভকাঙ্খী আত্মীয় স্বজন ও পরিচিত ঘনিষ্ঠ ব্যাক্তিজনদের উপবৃত্তি আবেদন ফরম জমা ও নামের তালিকা প্রস্তুত করছেন। এখানে আরও উল্লেখ্য যে সরকারি শহিদ বুলবুল কলেজের অধ্যক্ষ মহাদয় জনাব বাহেজ উদ্দিন স্যার অফিসিয়াল কোন নোটিশ/ বিজ্ঞাপন না দিয়ে । নিজের ইচ্ছা মতো পছন্দের লোকদের গোপনে ডেকে এনে তাদের দ্বারা উপবৃত্তির আবেদন ফরম পুরন করে জমা নিয়েছন । তার পছন্দের লোকদের কিছু অভিবাবক ডেকে লোক দেখানো এবং দায় সারা সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। এতে শিক্ষক কর্মচারী ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের আত্মীয় স্বজন অধিপতিশালীর উপবৃত্তির তালিকায় নাম থাকলেও। নাম নেই গরীব অসহায় অভাবগ্রস্ত এবং উপযুক্ত উপবৃত্তি প্রাথাীদের। এবং উক্ত কলেজের অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রী কোন প্রকার নোটিশ ছাড়া অধ্যাক্ষ স্যারের এমন অনৈতিক কার্যক্রর্মে ক্ষুব্ধ। বাংলাদেশ সরকার শিক্ষাখাতকে দূর্নিতি মুক্ত করার অপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অথচ সরকারি শহিদ বুলবুল কলেজের অধ্যাক্ষ দূর্নিতির নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে যাচ্ছেন । শিক্ষকদেরর দ্বারা এমন অনৈতিক কর্মকান্ড আমরা সাধারণ ছাত্র ছাত্রী কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। এমন বৈষম্য মূলক অবস্থা চলতে থাকলে গরীব অসহায় ছাত্র ছাত্রীদের লেখা পড়া থেকে দিন দিন ছিটকে পড়তে হবে। তাই আমাদের দাবী (১) উপবৃত্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কলেজের সকল ছাত্র ছাত্রীদের অবগত করে আবেদনের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।(২) কি ভাবে কোন নোটিশ ছারা উপবৃত্তির আবেদন গ্রহন করলেন ও তালিকা প্রস্তুত করলেন তার তদন্ত করতে হবে। (৩) অবিলম্বে পূর্বের সকল তালিকা বাদ করতে হবে। (৪) সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের সাথে যারা দূর্নিতি করেছে সকল জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যাবস্থা নিতে হবে। (৫) প্রতিবন্ধী, এতিম, গরীব অসহায় ছাত্র ছাত্রীদের অগ্রধিকার দিতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন আমরা সরকারী শহীদ বুলবুল কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পাবনা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারক লিপি দিয়েছি।
তাতে উল্লেখ আছে
১.বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী।
২.মাননীয় সংসদ সদস্য পাবনা-৫।
৩. সচিব উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী।
৪.পাবনা জেলা শিক্ষা অফিসার, পাবনা।
৫.পাবনা পুলিশ সুপার, পাবনা।
৬.দূর্নীতি দমন কমিশন, পাবনা।
আশা করছি অতিদ্রুত সমাধান হবে।