শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ০২:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কোস্টগার্ডের ধাওয়ায় ৭ লাখ ইয়াবা পানিতে ফেলে পালাল পাচারকারীরা ‘ইশ্-মার্ট বাংলাদেশ’ প্রভাষক শাহীন সরওয়ার টানটান উত্তেজনায় শেষ হল শেখ রাসেল গোল্ডকাপ;বিজয়ীদের পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিগণ টেকনাফে মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পের উপকারভোগীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ পরবর্তী নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ টেকনাফে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অভাবনীয় সফলতায় মেম্বার এনামের প্রতিষ্ঠিত বালিকা মাদ্রাসা টেকনাফে “অক্সফাম” কর্তৃক ভাউচার প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ “মুক্তি” কক্সবাজার কর্তৃক উপকারভোগীদের মাঝে কৃষি উপকরণ ও নগদ টাকা বিতরণ “বাংলাদেশ সমতা ঐক্য পরিষদ’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী শাখার তৃতীয় মেয়াদে কমিটি গঠিত “মানবাধিকার দিবস” উপলক্ষে টেকনাফে কোস্ট ফাউন্ডেশনের সেমিনার

পুলিশ কখন অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে:এড, জিয়াবুল আলম |বাংলাদেশ দিগন্ত

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০২০
  • ৮২৫ বার পঠিত

এক সময় আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখতাম পুলিশ ম্যাজিট্টেটের নির্দেশে গুলি করেছে। কিন্ত সাম্প্রতিক কালের মিডিয়ায় ম্যাজিট্টেট শব্দটি বাদ দিয়ে পুলিশের সাথে বন্ধুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে। কেন? আইনতো সাংশোধন করেনি। ম্যাজিট্টেট শব্দটি বাদ দিয়ে পুলিশ শব্দটি ব্যাবহার করা হচ্ছে। কেন? স্বাধীনতার ৫০ বৎসর পরেও কেন আমরা বিচার বন্হিভূত হত্যা বন্ধ করতে পারলাম কেন? আমাদের সংবিধানের বর্ণিত অনুচ্ছেদ ২৬…৪৪ অর্থাৎ ১৮ টি মোলিক অধিকার ক্ষুন্ন করার অধিকার কাউকে দেইনি। কিছু কোন আইনে প্রতিদিন আমাদের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে? গত কিছু দিন আগে টেকনাফের একজন পুলিশ অফিসার টেকনাফকে মাদক মুক্ত করার ঘোষণা দেন। আমরা তার ঘোষণা সাধুবাদ জানাই।কিন্ত বক্তব্য বলেন যারা আসামী পালাতক তাদের বাড়িতে চুরাগুপ্ত হামলা সহ বাড়িতে অগ্নি সংযোগ হবে মর্মে প্রকাশ্য হুমকি দেন। যাহা মৌলিক অধিকার লঙ্গন এবং ফৌজদারি অপরাধ।কারণ একজন আসামি যদি আইনে ফেরারি হয়,তাহলে ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধি ৮৭/৮৮/ ৩৩৯খ ধারায় তার বিরোদ্ধে সুনিদিষ্ট বিধান আছে কিন্ত আইনের তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্য বাড়ি ঘর জালিয়ের বক্তব্য বাংলাদেশের ইতিহাসে আমার মনে হয় প্রথম বক্তব্য। যদি টেকনাফের কোন বাড়িঘর জালিয়ে দেওয়া হয় তাহলে বক্তাকে ফৌজদারি আইনে অভিযুক্ত করতে বাধা নেই।কারণ ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনুসারে ঘটনা প্রমানের প্রসঙ্গিকতা বিদ্যামান। যাই হোক আমারা টেকনাফে জন্ম নিয়ে বোধহয় পাপ করেছি। কারণ আমাদের কোন মৌলিক অধিকার নেই। আমাদের কোন স্বাধীনতা নেই। সাংবিধানের ৪৭ক অনুচ্ছেদ যদি বলা হত টেকনাফের মানুষের জন্য কোন মৌলিক অধিকার বলবৎ যোগ্য হবেনা। অথবা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২ তে বলা হত টেকনাফ বাংলাদেশে সীমানায় অন্তভুক্ত নয়। তাহলে আমরা আর কোন কথা বলতামনা। গত কয়েকদিন আগে একজন এস আই, একজন কমিশন প্রাপ্ত মেজরকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে বিদেশে বেশ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে টনক নড়েছে। আমার আজকের মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে ম্যাজিট্টেট এর আদেশ ছাড়া পুলিশ গুলি করতে পারে কি? এই বিষয়ে আলোচনার পূর্বে দেশের কিছু প্রচলিত আইন সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

★★পুলিশ মূলত পরিচালিত হন পুলিশ আইন, ১৮৬১, ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ ও পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল, ১৯৪৩ এর মাধ্যমে। পুলিশ আইনের ১২ নং ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশকে সঠিকভাবে পরিচালিত করার জন্যে বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা দিয়েছে। একই ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা বলে তিনি পুলিশ কখন ‘শক্তি’ প্রয়োগ করতে পারবে তা নির্ধারণ করতে পারেন।

পুলিশ রেগুলেশনের ১৪৩ প্রবিধানে বলা হয়েছে– “১৮৬১ সালের পুলিশ আইনের ৩০(৩) ধারা অনুযায়ী লাইসেন্সপ্রাপ্ত হোক বা না হোক, একটি সমাবেশ বা শোভাযাত্রাকে কেবলমাত্র ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৮ ধারা অনুসারে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ছত্রভঙ্গ করা যেতে পারে, অর্থাৎ কেবলমাত্র–

(১) সমাবেশ বা শোভাযাত্রাকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭ (১) ধারা অনুসারে যথারীতি ছত্রভঙ্গ হবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অথচ ছত্রভঙ্গ হয়নি; অথবা–

(২) সমাবেশ বা শোভাযাত্রা এমনভাবে পরিচালিত হয় যে, তারা ছত্রভঙ্গ না হবার জন্য দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ বলে প্রদর্শন করে।

★★পুলিশ রেগুলেশনের ১৪৩ প্রবিধানে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ কর্তৃক সভা-সমাবেশ করার অনুমতি প্রদানের একটি বিধানের কথা বলা হচ্ছে যেটি মূলত পুলিশ আইনের ৩০ (৩) ধারার মূল বক্তব্য।

পুলিশ রেগুলেশনের প্রবিধান ১৪৫ অনুসারে দাঙ্গা ও গোলযোগের সময় পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও সশস্ত্র পুলিশ দল মোতায়েন করতে পারে। একই আইনের প্রবিধান ১৫১ অনুসারে, ‘যখন কোনো দাঙ্গা দমন বা বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য নিয়োজিত একটি সশস্ত্র দলের সঙ্গে একজন ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকেন, তখন–

(১) পুলিশ দলের অধিনায়ক কর্তৃক পুলিশের দায়িত্ব বিন্যাস কাজে তিনি হস্তক্ষেপ করবেন না।

(২) কখন বলপ্রয়োগ করতে হবে এবং কখন গুলিবর্ষণ করতে হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য তিনি দায়ী থাকবেন।

(৩) যখন প্রয়োজন দেখা দেয় তখন তিনি পুলিশ দলের অধিনায়ককে বলপ্রয়োগ বা গুলি চালানোর নির্দেশ দিবেন, কিন্তু এ ধরনের নির্দেশাবলী প্রদানের পর তা প্রতিপালনের জন্য দলবিন্যাসের এরুপ অফিসারের স্ববিবেচনা ব্যাহত করবেন না।

(৪) প্রবিধান ১৫৩ (গ) (২) দ্বারা নির্ধারিত সতর্কবাণী প্রচার করবেন।

(৫) প্রবিধান ১৫৫ (ঘ)-এর অধীনে গুলি চালানো বন্ধ করার জন্য অধিনায়ককে নির্দেশদানের ক্ষমতা তার আছে।

(৬) যখন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহৃত হয় তখন তিনি প্রবিধান ১৫৬ (গ) এর অধীনে বর্ণিত একটি প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

পুলিশ রেগুলেশনের প্রবিধান ১৫৩ (ক) পুলিশকে তিনটি বিশেষ ক্ষেত্রে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দেয়–

(১) ব্যক্তিগত আত্মরক্ষা বা সম্পত্তি রক্ষার অধিকার প্রয়োগ করার জন্য (দণ্ডবিধি আইনের ৯৬-১০৬ ধারা);

(২) বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য (ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭-১২৮ ধারা);

(৩) কোনো কোনো পরিস্থিতিতে গ্রেপ্তার কার্যকর করার জন্য (ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৬ ধারা)।

আত্মরক্ষার অধিকার সাধারণ নাগরিকের যেমন আছে তেমনি পুলিশেরও সেই অধিকার আছে। কিন্তু বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৯৯ ধারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ অনুমোদন করে না। তাছাড়া প্রবিধান ১৫৩(খ)অনুসারে, ব্যক্তিগত আত্মরক্ষার মতো জরুরি পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল কিনা তা প্রমাণের দায়িত্ব গুলিবর্ষণকারীর অথবা গুলিবর্ষণের নির্দেশ প্রদানকারী অফিসারের উপর বর্তায়।

তাহলে বাকি থাকে বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার বিষয়টি। বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার ক্ষেত্রে, প্রবিধান ১৫৩ (গ) (১) অনুসারে, জনতার উপর গুলিবর্ষণের আদেশ একটি চরম ব্যবস্থা হিসেবে গণ্য করতে হবে এবং এ পদক্ষেপ গৃহীত হবে সকল ব্যবস্থা শেষে যখন জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য তা একান্তভাবে অপরিহার্য হয়ে পড়ে বা যখন একজন ম্যাজিস্ট্রেট, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা এ ধরনের অফিসারের উচ্চ পদমর্যাদার অফিসার বিবেচনা করেন যে, অন্য কোনোভাবে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা সম্ভব নয় কেবল তখনই ছত্রভঙ্গ করার জন্য গুলিবর্ষণের নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে।

প্রবিধান ১৫৩ (গ) (২) অনুসারে, জনতার উপর গুলিবর্ষণের আদেশ প্রদানের পূর্বে ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা কোনো ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত না থাকলে পুলিশ দলের অধিনায়ক পুলিশ অফিসার দাঙ্গাকারীদের পূর্ণাঙ্গ এবং অনেকবার সতর্ক বাণী প্রদান করবেন যে, তারা যদি অবিলম্বে ছত্রভঙ্গ না হয় তবে তাদের উপর গুলিবর্ষণ করা হবে।

উপরোক্ত প্রবিধান থেকে দেখা যায় যে, গুলি করার পূর্বে অনেকগুলো বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হয়– গুলিবর্ষণের সিদ্ধান্ত একটি ‘চরম’ ও ‘শেষ’ ব্যবস্থা এবং ‘অনেকবার’ সতর্কবাণী প্রদান করবেন। এখানে ‘অনেকবার’ শব্দটি ব্যবহারের মাধ্যমে সতর্কবাণী প্রদান করাকে সত্যিকারের সতর্কবাণী প্রদান করা বোঝানো হয়েছে, যাতে সমাবেশকারীরা বুঝতে পারেন যে, তাদের শারীরিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যদি তারা সরে না যান।

প্রবিধান ১৫৩ (গ) (৩) এ বলা হয়েছে, দাঙ্গা দমনে অথবা দাঙ্গাকারী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার কাজে নিয়োজিত সকল পদমর্যাদার পুলিশ সদস্য গুলিবর্ষণের পূর্বে একজন ম্যাজিস্ট্রেট, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা তার থেকে ঊর্ধ্বতন পদমর্যাদার কোনো পুলিশ অফিসারের আদেশের জন্য অপেক্ষা অবশ্যই করবেন।

এখানেও উল্লেখ্য যে, ম্যাজিস্ট্রেট, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা তার থেকেও উপরের কোনো পুলিশ কর্মকর্তার আদেশের জন্য অপেক্ষা করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আমাদের জানামতে, এই বিধান নিকট অতীতের প্রায় সকল গুলিবর্ষণের ঘটনার ক্ষেত্রেই মানা হয়নি।

এ তো গেল গুলিবর্ষণের পূর্বের বিধি-বিধান সম্পর্কিত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ, এবার দেখা যাক যদি পুলিশ গুলিবর্ষণ করে তারপরে তাদের কী কী করণীয় থাকে। পুলিশ রেগুলেশনের প্রবিধান ১৫৬ মোতাবেক, কোনো বেআইনি জনতার বিরুদ্ধে বা একটি ক্ষুদ্র দলের বিরুদ্ধে অথবা ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে, পুলিশ যখন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে তখন নিম্নলিখিত কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে–

(ক) অধিনায়ক পুলিশ অফিসার যত শীঘ্র সম্ভব মৃতদেহগুলো যদি থাকে, শবাগারে এবং আহতদের হাসপাতালে প্রেরণ করবেন;

(খ) তিনি গুলির খোসাগুলো সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করবেন ও ইস্যুকৃত রাউন্ডের সংখ্যার সঙ্গে মিলিয়ে দেখবেন;

(গ) অনুচ্ছেদ ৪ এর অধীনে কার্যক্রম গৃহীত হবার সঙ্গে সঙ্গেই যদি ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকেন তবে তিনি এবং অধিনায়ক পুলিশ অফিসার প্রথমে–

(১) ঘটনা সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত অথচ নিখুঁত প্রতিবেদন এবং তারপর,

(২) ব্যবহৃত ও ইস্যুকৃত গুলির সংখ্যাসহ ঘটনার সকল প্রাসঙ্গিক বিষয়ের একটি নিখুঁত ও বিস্তারিত বিবরণ প্রস্তুত করবেন।

(ঘ) সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনের অনুলিপি জরুরি টেলিগ্রামযোগেও বিস্তারিত বিবরণ টেলিগ্রাম ছাড়া অন্য কোনো দ্রুত মাধ্যমে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাঠাতে হবে–

(১) যদি ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকেন, তিনি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে, পুলিশ সুপারকে, কমিশনারকে এবং মূখ্য সচিবকে অনুরূপ প্রতিবেদন পাঠাবেন, এবং

(২) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এবং ইন্সপেক্টর জেনারেলকে অধিনায়ক পুলিশ অফিসার কর্তৃক প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে।

পুলিশ কর্তৃক এরূপ প্রতিবেদন প্রেরণ করার বিধানের পাশাপাশি পুলিশ কর্তৃক আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের পর নির্বাহী তদন্তেরও বিধান রাখা হয়েছে। পুলিশ রেগুলেশনের প্রবিধান ১৫৭ (ক) অনুসারে, যখনই পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে থাকে, তখনই গুলিবর্ষণ যুক্তিসঙ্গত হয়েছে কিনা এবং এ প্রবিধানসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালিত হয়েছে কিনা তা নির্ধারণের জন্য যত শীঘ্র সম্ভব নিম্নোক্তদের দ্বারা পূর্ণাঙ্গ নির্বাহী তদন্ত অনুষ্ঠিত হবে–

(১) যদি একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, একজন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, একজন পুলিশ সুপার, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গুলিবর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকেন, তবে কমিশনার কর্তৃক তদন্ত হবে;

(২) যদি একজন [মহকুমা] ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী পুলিশ সুপার গুলিবর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকেন, তবে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, একজন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক তদন্ত হবে;

(৩) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, একজন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মনোনীত একজন ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত করবেন।

এই তদন্তের সময় কোনো পক্ষের আইনজীবী কর্তৃক প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ নেই, তবে যদি কোনো পুলিশ অফিসারের আচরণ বিচার্য বিষয় হয় তবে তাকে প্রশ্ন করা ও সাক্ষীদের জেরা করা এবং মৌখিক বা লিখিতভাবে বিবৃতি প্রদানের অনুমতি দেওয়া যাবে বলে উল্লেখ আছে [প্রবিধান ১৫৭ (ঙ)]।

প্রবিধান ১৫৭ (চ) অনুসারে, অনুসন্ধান শেষ হবার পর অনুসন্ধানকারী অফিসার যথাযথ মাধ্যমে সরকারের নিকট প্রতিবেদন প্রেরণ করবেন এবং ইন্সপেক্টর জেনারেলের নিকট পেশ করার জন্য একটি অনুলিপি পুলিশ সুপার বা রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেলের নিকট হস্তান্তর করবেন।

উপরোক্ত আইনের আলোকে বলতে পারি যে প্রতিদিন মানুষকে হত্যা করে বন্ধুক যুদ্ধ বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং সাধারণ জনতাকে নির্বিচারে পশুর মত হত্যা করা হয়ে কিন্ত আইননুসারে গুলি চালানো হচ্ছে কিনা কোন জবাবদিহি নেই। সাধারণ মানুষ যদি প্রতিবাদ করে তাকে মাদক ব্যাবসায়ী কিংবা মামলা দিয়ে হয়রাণি করা হয়। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন মাদক অভিযান নামে টেকনাফে সাধারণ মানুষকে গণহারে হয়রানি করা হচ্ছে। আপনি ডিজিএফআইয়ের মাধ্যমে অথবা এনএসআইয়ের মাধ্যমে একটি গোপনে তদন্ত করুন। যারা অপরাধী তাদের বিরোদ্ধে আইনুসারে ব্যাবস্হা গ্রহন করা হউক। কিংবা মাদক নির্মূলে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হউক।
জিয়াবুল আলম
আইনজীবী, চট্টগ্রাম জর্জ আদালত

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs
error: Content is protected !!