জিডি বা মামলা করলেই ফোন দেবে পুলিশ। ভুক্তভোগীদের ফোনে মতামত নেয়ার এ নতুন ব্যবস্থা চালু করেছে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়। থানায় জিডি বা মামলা করতে গিয়ে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন, সে জন্যই চালু হলো পুলিশের এই নতুন সেবা। ডিআইজি হাবিবুর রহমান এসএ টিভিকে বলেন, পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতেই এ উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। এদিকে, শুধু ঢাকা নয় পুরো বাংলাদেশে এ সেবা চালু করার দাবি ভুক্তভোগীদের।
আপনি যদি শুধু ঢাকা বিভাগের কোনো থানায় মামলা বা জিডি করে থাকেন, তা হলে এমন ফোন আসবে আপনার কাছে। মামলা বা জিডি করতে গিয়ে থানায় আপনি কি দিয়েছেন টাকা? নাকি শিকার হয়েছেন হয়রানির। এমন তথ্য জানতে চাওয়া হবে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয় থেকে। মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার শারমিন আক্তার। গেলো ১৫ সেপ্টেম্বর পড়েন পাচারকারীর খপ্পড়ে। স্ত্রীর হদিস না পেয়ে শ্রীনগর থানায় জিডি করেন স্বামী জুয়েল রানা। কিন্তু একদিন পেরিয়ে গেলোও সন্ধান মেলেনি শারমিন আক্তারের।
শুধু জুয়েল-শারমিন দম্পতিই নয় ডিআইজি হাবিবুর রহমানের এ অনন্যা উদ্যোগ এরই মধ্যে সাড়া ফেলেছে ঢাকা বিভাগে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে।
জনগনের উপর শতভাগ আইনি সেবার নিশ্চিতের মিশনে এ সেবা চালু করা হয়েছে জানান ঢাকা রেঞ্জ কার্যালয়ের ডিআইজি। ভিক্টিমের অভিযোগের ভিত্তিতে দোষী প্রমাণ হলে থানার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান হাবিবুর রহমান।
১৩ জেলা নিয়ে গঠিত ঢাকা রেঞ্জে থানা আছে ৯৬টি। থানাগুলোর মামলা বা জিডি বৃত্তান্ত সব ফাইল সার্কেল অফিস হয়ে পরদিন চলে আসে ডিআইজি কার্যালয়ে। সেখান থেকে ভিক্টিমের সাথে যোগযোগ করে ঢাকা রেঞ্জ অফিস। তথ্য অনুযায়ী ৯৬ থানায় গেলো তিন মাসে ১২৬৯২ জিডির মধ্যে ২৭৩টি এবং ৭১৫৪ মামলার মধ্যে ২৩১ টিতে অনৈতিক লেনদেনের অভিযোগ পেয়েছে ঢাকা রেঞ্জ কার্যালয়। যা ২.৭৫ শতাংশর কাছাকাছি। ভবিষ্যতে এই সংখ্যাকে শূণ্যতে নামিয়ে আনার প্রত্যাশা সংস্থাটির। পাশাপাশি সারা দেশে এই সেবা চালু করার পরিকল্পনা পুলিশ প্রশাসনের।