টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশ বনিয়া এলাকার মো: হোছন এর পুত্র নুরুল ইসলাম গং’র বিরুদ্ধে পূর্বের শত্রুতার জের ধরে মোহাম্মদ মুক্তার আহমদ এর স্ত্রী হাসিনা বেগম ও প্রতিবন্ধী ছেলে মিজানকে সন্ত্রাসী কায়দায় ব্যাপক মারধরের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
এবিষয়ে মুক্তার আহমদ এর স্ত্রী হাসিনা বেগম বাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন,
মোহাম্মদ হোছন এর পুত্র মোঃ নুরুল সালাম (৩৫), মোঃ শহিদুল ইসলাম (৩০), মৃত আব্বাস আলীর পুত্র
মোহাম্মদ হোছন ও তার স্ত্রী নুর বেগম (৫০) এবং লোকমান হাকিম এর মেয়ে রোকসানা (৩৫) সর্ব সাং-মারিশ বনিয়া, ৭নং ওয়ার্ড, বাহারছড়া ইউপি।
শনিবর ( ১ এপ্রিল) রাতে বাদী হাসিনা বেগম গণমাধ্যম কে বলেন, উপরোক্ত বিবাদীরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১লা (এপ্রিল) সন্ধ্যা অনুমান ০৬.০০ ঘটিকায় বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশ বনিয়া আমার স্বামীর বসত বাড়ীতে এসে আমাকে একা পেয়ে অহেতুক অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে এবং এক পর্যায়ে আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে নুরুল ইসলাম গংয়েরা লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। আমাকে মারতে দেখে আমার ছেলে মিজানুর রহমান (১৬) আমাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে উপরোক্ত বিবাদীরা লাঠি-সোটা নিয়ে আমাকে ও আমার ছেলেকে এলোপাতাড়ী মারপিট করে নীলা-ফুলা ও রক্তাক্ত জখম করে। আমরা চিৎকার করিলে আমাদের বাচাঁনোর জন্য ঘটনাস্থলের আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা আমাদের ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে চলে যায়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন আমাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। পরে আমরা চিকিৎসা শেষে আত্নীয় স্বজনদের সহিত আলাপ আলোচনা করে টেকনাফ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, যেকোন মুহুর্তে নুরুল ইসলাম গং আমাদের উপর হামলা করতে পারে। এবিষয়ে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন ও বাহার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন এর সহযোগিতা কামনা করছি।