বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
উপকারভোগীদের কৃষি উপকরণ বিতরণ করলেন এনজিও সংস্থা “মুক্তি “ পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিবন্ধীকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ! দেশে ৪ কোটি মানুষের চলছে দুর্দিন,ঋণ করেই চলছে ৭৪ভাগ পরিবার কোস্টগার্ডের ধাওয়ায় ৭ লাখ ইয়াবা পানিতে ফেলে পালাল পাচারকারীরা ‘ইশ্-মার্ট বাংলাদেশ’ প্রভাষক শাহীন সরওয়ার টানটান উত্তেজনায় শেষ হল শেখ রাসেল গোল্ডকাপ;বিজয়ীদের পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিগণ টেকনাফে মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পের উপকারভোগীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ পরবর্তী নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ টেকনাফে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অভাবনীয় সফলতায় মেম্বার এনামের প্রতিষ্ঠিত বালিকা মাদ্রাসা টেকনাফে “অক্সফাম” কর্তৃক ভাউচার প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ

প্রতারক রিদুয়ানুল আমিন ওরফে আরমান এর মিথ্যা বিয়ের প্রলোভনে পড়ে নিঃস্ব এক নারী |বাংলাদেশ দিগন্ত

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২০
  • ৭৬৬ বার পঠিত

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১ নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আমান বাজারের পশ্চিমে খোশাল শাহ মাজার রোডের বাসিন্দা মোঃ নুরুল আমিন এর ছেলে মোঃ রিদুয়ানুল আমিন ওরফে আরমান এর মিথ্যা প্রেম ও পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে আজ নিঃস্ব ও অসহায় হয়ে বিচারের আশায় ধারে ধারে ঘুরছে পাঁচলাইশ থানার ষোল শহর ৭নং ওয়ার্ডস্থ বিবিরহাটের বাসিন্দা সুলতানা আকতার।
সুলতানা আকতার একজন সহজ সরল নারী, সে সেলাই কাজ করে তার জীবন জীবিকা নির্বাহ করতেন,এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের মাধ্যমে এই প্রতারক মোঃ রিদুয়ানুল আমিন ওরফে আরমান এর সাথে পরিচয় হয়, পরিচয়ের সুত্র ধরে এই আরমান বিভিন্ন রকম ছলচাতুরীর মাধ্যমে সুলতানা আকতারকে মিথ্যা প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত ১৪/১০/২০১৬ সালে চট্টগ্রাম কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট এর আদালত/ নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামা মুলে এবং কাজী মৌলানা জামাল উদ্দিন এর সম্মুখে ৩১নং আলকরন ওয়ার্ড মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার এ ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ইংরেজি বালাম নং- ৩৮/২০১৬ ইং ৫ লক্ষ টাকার দেনমোহরের বিনিময়ে বিবাহ করেন, বিয়ের পর এই প্রতারক সুলতানা আকতারকে নিয়ে পাচলাইশ ৩নং ওয়ার্ডস্থ রুপ নগর আবাসিক এলাকায় একটা বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন সেখানে সুলতানা আকতার গর্ভবতী হয় এবং পরবর্তীতে গত ৬ই আগষ্ট ২০১৭ ইংরেজিতে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন,তার নাম রাখেন তাসকিয়া তাবাস্সুম ইরা। বিয়ের পর থেকে আরমানের যাবতীয় খরচ ও সাংসার পরিচালনা করার সব অর্থ সুলতানা আকতার নীজে সেলাই কাজ করে জোগাড় করতো, এবং সুলতানা আকতারের ব্যাংকে কিছু টাকা জমা ছিলো সেই টাকাগুলো ও প্রতারক আরমান বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আত্মসাৎ করেছেন, সুলতানা আকতার বিভিন্ন এনজিও থেকে তার স্বামী প্রতারক আরমানকে ব্যবসা করার জন্য বেশ কয়েকবার কিস্তি নিয়ে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার মতো তার হাতে তুলে দেয়, প্রতিবার এই আরমান বিভিন্ন নারীদের পিছনে টাকা পয়সা খরচ করে ফেলে। সর্বশেষ সংসারের সচ্ছলতা আনার জন্য আরমানকে মোটর সাইকেল রাইড শেয়ারিং করার জন্য সুলতানা আকতার তার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকার মতো হাওলাত নিয়ে একটি মোটর সাইকেল কিনে দেন, এই প্রতারক সেই মোটরসাইকেল টিও নষ্ট করে অসহায় মেয়েটিকে ৭০ হাজার টাকার মতো দেনার মধ্যে ফেলে আরো অসহায় করে দিয়েছিলো। তারপরও মেয়েটি আপ্রাণ চেষ্টা করে গিয়েছিলো এই আরমানকে নিয়ে সংসার জীবন চালিয়ে যেতে। কারন গরীব ঘরের মেয়ে, সংসার ভেঙে গেলে কোথায় গিয়ে দাড়াবে ছোট মাসুম শিশুটিকে নিয়ে।
কিন্তু আরমান সুলতানার সাথে সংসার করা কালিন অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের মাধ্যমে এবং মোবাইলে বিভিন্ন মেয়েদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে এবং প্রায় সময় রাতের বেলা বাসায় আসতোনা, পরবর্তীতে এই বিষয়ে কিছু জিগ্যেস করলে আরমান উত্তেজিত হয়ে সুলতানার গায়ে নির্মমভাবে হাত তোলা সহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো এবং বাসা থেকে চলে যেতো দুই তিনদিনের জন্য। তখন সে অন্য মেয়েদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে তাদের সাথে রাত কাটাচ্ছিলো। এই অমানুষিক নির্যাতনের পরও গরীব ঘরের মেয়ে সুলতানা আকতার আত্বসন্মানের ভয়ে মুখ বুজে সব সহ্য করে গিয়েছেন।
এবং বার বার বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে গিয়েছেন আরমানকে ভালো করতে। সুলতানা আকতার তার আত্মীয় স্বজন সহ পরিচিত আপনজনদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা পয়সা ধারদেনা করে আরমানের হাতে তুলে দিয়েছে শুধুমাত্র সংসারের সুখের জন্য। তারপরও এই প্রতারকের মন ভরেনি সে তার মা, বাবার প্রশ্রয়ে দিনে দিনে সুলতানা আকতারের উপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে থাকে, ছোট কন্যা শিশু সন্তান নিয়ে সুলতানা আকতার অনাহারে অর্ধাহারে দিন যাপন করে যাচ্ছিলো। এমনো দিন গিয়েছে শুধুমাত্র পানি আর পাউরুটি খেয়ে দিন কাটাতে হয়েছিলো। শত অত্যাচার ও নির্যাতনের পরও গরীব ঘরের মেয়ে সুলতানা আকতার এই আরমানের সাথে সংসার করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে।
কিন্তু প্রতারক আরমান গত ১৮ই আগষ্ট ২০১৯ ইংরেজি তারিখে সুলতানা আকতারের উপর নির্মমভাবে শারীরিক অত্যাচার করে আমান বাজারে তার পৈতৃক বাড়ীতে চলে যায়।
এই দিকে অসহায় সুলতানা আকতারের ভাড়া বাসার প্রায় ৫ মাসের ভাড়া বকেয়া, বাকী দোখানের বকেয়ার জন্য বাড়ীওয়ালা ও দোখানদার সহ আশেপাশের মানুষের কাছে লাঞ্ছিত হতে থাকে। বার বার যোগাযোগ করার পরও আরমান সুলতানা ও তাদের ছোট কন্যা শিশুর কোন খোঁজ খবর না নেওয়ায় গত বছর ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ইংরেজি আরমানের বাড়িতে স্ত্রীর মর্যাদা ও সন্তানের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য গিয়েছিলো। সেখানে আরমানের মা, বাবা, ভাইবোন সহ এলাকার কিছু লোকজন সুলতানা আকতারের উপর নির্মম শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করে কুকুরের মতো বাসা থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং হুমকি ধামকি দিয়ে বলে আবার যদি আমান বাজার আরমানের বাড়িতে আসে তাহলে মা মেয়েকে জানে মেরে ফেলে লাশ ঘুম করে ফেলবে। আরমানের পিতা নুরুল আমিন পেশায় একজন পাবলিক পিকআপ ড্রাইভার তিনি চট্টগ্রাম সেনা নিবাসের ভেতর সেনা বাহিনীর সদস্যদের জন্য সবজি আনা নেওয়ার কাজ করে এবং সেই সুবাদে নুরুল আমিন সেনাবাহিনীর একজন প্রভাবশালী লোক বলে নিজেকে বিভিন্ন জায়গায় জাহির করে। আরমানের পিতা নুরুল আমিন সুলতানা আকতারকে সেনা বাহিনীর ভয় ভীতি লাগাতে থাকে। এমনকি আরমান ও তার পিতা নুরুল আমিন সুলতানা আকতারের গর্ভের সন্তানকে ও অস্বীকার করছেন।
এই হুমকি শুনে সুলতানা ভয়ে আর আরমানের বাড়িতে না গিয়ে গত ২৪ সেপ্টম্বর ২০১৯ ইংরেজিতে তারিখে সরকারের লিগ্যাল এইড, চট্টগ্রাম কোর্টের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বন আদালত, চট্টগ্রাম। পারিবারিক সহিংসতা মামলা নং ৯৩/১৯ হাটহাজারী, ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেন। স্ত্রী ও সন্তানের অধিকার আদায়ের জন্য আরমানের বিরুদ্বে মামলা লড়ে যাচ্ছেন, মামলাটি চলমান আছে। কিন্তু সরকারি এডভোকেটের অবহেলার কারণে মামলার অগ্রগতি ধীর গতিতে এগুচ্ছে। অসহায় সুলতানা আকতার ছোট মাসুম কন্যা শিশুটিকে কোলে নিয়ে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন জায়গায় ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় ধারে ধারে ঘুরছে। বর্তমানে প্রতারক আরমান ও তার পিতা নুরুল আমিন বিভিন্ন মারফতে

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs
error: Content is protected !!