মহিপুর থানার ১১ নং ডালবুগঞ্জইউনিয়ানের ৭ নং ওয়ার্ড মনসাতলী গ্রামের সিকদার বাড়ি বাঁধঘাট কৃষক মোঃ নাসির মোল্লার মেয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মোসাঃ রোখসোনা আকতার (২০) কে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ সাত মাস ধরে লাগাতার ধর্ষন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিবেশী মৃতঃ ইউসুফ প্যাদার ছেলে মোঃ কাদের প্যাদা (৬৫) এর বিরুদ্ধে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, মোঃ কাদের প্যাদা (৬৫) প্রতিবন্ধী রোখসানা (২০) কে ইউনিয়ন পরিষদের সরকারের বরাদ্দকৃত সু্যোগ সুবিধা পাইয়ে দেয়ার প্রলভন দেখিয়ে বাসায় সব সময় যাতায়াত করতেন এবং রোখসনাকে বিভিন্ন প্রলভন দেখিয়ে তাকে লাগাতার সাত মাস ধরে ধর্ষন করে আসছে।
এ বিষয়ে রোখসোনা বলেন, আমার মা তাকে জামাই ডাকতো তাই আমি তাকে স্বামী মনে করতাম, তাই ক্যাদের প্যাদা দুইদিন রাত ১০/১১/ আমার নিজের বাসায় আসছে, বাকি সময় মেলামেশা পাশের বাসার হনুফার বাসায় হয়েছে।
রোখসোনার মা বলেন, আমি বিভিন্ন সময় বাড়ির বাহিরে থাকতাম আমার মেয়ে ১০ বছর যাবৎ প্রতিবেশী হনুফার বাসায় থাকতো, শুধু খাবারের সময় আসে আবার চলে যায়, হনুফার বাসায় থাকা অবস্থায় এমন একটা কথা আমি শুনে হনুফাকে জিজ্ঞাস করলে, হনুফা সেটা অস্বীকার করে। এর পর থেকে আমার মেয়েকে আমি নজরে রাখি। হনুফার সাথে কাদেরের খারাপ সম্পর্ক ছিলো সেটা এখন আমার প্রতিবন্ধী মেয়ের উপরে উঠিয়ে সে সাধু সাজতে চেষ্টা করছে আমি এর বিচার চাই। তিনি আরও বলেন, আইনগত বিচার চাইতে গেলে তাদের কাদের প্যাদা ও তার লোকজন বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তিনি এবং তার পরিবার প্রতিদিনই আশংকাজনক সময় পার করছেন বলে তিনি জানান এবং গনমাধ্যমের সহযোগীতায় উপযুক্ত বিচার দাবী করেন। কিন্তু প্রতিবেশী হনুফা সম্পূর্ন অভিযোগ অস্বীকার করে।
স্থানীয়রা জানান, কাদের প্যাদা তত্র এলাকার একজন মামলা বাজ ও চরিত্রহীন নামে পরিচিত, এবং অতীতে তার এরকম একাধিক অভিযোগ ছিলো। এ বিষয়ে জানাজানি হওয়ার পর, তিনি তার স্ত্রী মোসাঃ সায়েরা খাতুন (৫৫) তালাক দেয় এবং রোখসনাকে বিবহের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু রোখসানার পরিবার উক্ত প্রস্তাব প্রত্যক্ষান করে।
এই বিষয়ে ৭ নং ওয়ার্ডের ইউ,পি সদস্য শাখওয়াত হোসেন নান্নু ও ৭/৮/৯ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউ,পি সদস্য নাজমা বেগম বলেন, আমরা ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে যাই এবং প্রায় অর্ধশতাধিক স্থানীয় মানুষের সামনে অভিযুক্ত কাদের প্যাদা ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেন। কিন্তু তিনি বিবাহের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বলে নিজে স্বীকার করেন। এদিকে প্রতিবন্ধী রোখসোনা তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক আছে এবং তাকে বিয়ে করবে বলে আমাদের কে জানান।
এ বিষয় মহিপুর থানার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জাম (ও,সি) বলেন, তারা এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি, অভিযোগ পেলে আইনের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন।