নোয়াখালীর সেনবাগে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী (১৩)। এ ঘটনায় রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) স্কুলছাত্রীর মা মামুন ও মো. কামাল হোসেন ওরফে সাদ্দাম নামের দুইজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর বাবা পেশায় নসিমনচালক। গত জুলাই থেকে তার মেয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়িতে সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়তে যায়। আসা-যাওয়ার পথে পূর্ব কাবিলপুর গ্রামের এমাম হোসেনের ছেলে ছেরাজুল হল ওরফে মামুন তাকে উত্ত্যক্ত করতো। গত ১৮ জুলাই রাত ৮টায় প্রাইভেট পড়ে বাড়ি আসার ফেরার পথে মামুন তার সহযোগী একই গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে মো. কামাল হোসেন ওরফে সাদ্দামের সহযোগিতায় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। পরদিন রাতেও একইভাবে ধর্ষণ করেন। পরে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল বাতেন মৃধা জানান, ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সে বর্তমানে ১৩ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।