বঙ্গকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন মাদকের বিরুদ্ধে জিরোটলারেন্স এবং পাশাপাশি বগুড়ার শেরপুরের পুলিশ প্রশাসন যখন মাদক নির্মূলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ঠিক তখন কড়া নজরদারিতে ইয়াবা, গাঁজা, হিরোইন, ফেন্সিডিল সহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সরবরাহ কম হওয়ায় মাদকসেবীরা আসক্ত হচ্ছে লোপেন্টা নামক বিকল্প নেশায়। আর লোপেন্টা ৫০/৭৫ বর্তমান মাদক সেবকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বর্তমান সকল মাদকের দাম হাতের নাগালের বাহিরে যাওয়ায় হিরোইন, ইয়াবা, গাঁজা, ফেন্সিডিল সহ অনেক মাদকের বিকল্প হিসেবে মাদকসেবীরা সেবন করে যাচ্ছে লোপেন্টা। সেবন করার নিয়মটা ইয়াবা ও হিরোইনের মতই।
এদিকে আবার ফেন্সিডিলের পরিবর্তে ব্যবহার করছে বিভিন্ন ঔষধের দ্বারা তৈরি মিক্সার। আর এই মিক্সার তৈরি করা হয় কাঁশির সিরাপ, ভিটামিন ট্যাবলেট, সিভিট, ঘুমের ঔষধ ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট দিয়ে। এসব ঔষধ মাদক হিসেবে চাহিদা বেশি হওয়ায় শেরপুর উপজেলার শহর ও গ্রামের কিছু অসৎ, অতি মুনাফালোভী ড্রাগ ফার্মেসী ব্যবসায়ী ও কিছু ব্যবসায়ী চক্র ট্যাপেন্ডাডোল হাইড্রোক্লোরাইড গ্রুপের লোপেন্টা ও পেন্টাডোল শ্রেণীর ট্যাবলেটগুলো ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই বিক্রি করে যাচ্ছে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে। এদিকে আবার সুকৌশলে বিভিন্ন প্রদক্ষেপে মাধ্যমে জমজমাট ব্যবসা করে যাচ্ছে। সারা বিশ্ব আজ করোনার আতংঙ্ক আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এই নেশার ব্যবসার মনোযোগ হয়ে উঠেছে কিছু অসৎ ব্যবসায়ী। বগুড়া শেরপুর উপজেলা প্রশাসনের কঠোর দৃষ্টি ও অবৈধ নেশার ট্যাবেলেট বিক্রি কারীদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তি দেওয়ার প্রত্যাশায় করেন সচেতন মহল।