করোনাভাইরাস সংক্রমনের এই দুঃসময়ে নওগাঁ ও বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় হাটবাজার বিশেষ করে গো-হাট গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বালাই নেই। এ যেন স্বাভাবিক সময়ের মত জনসমাগমের মধ্যে জমজমাট ভাবে বিক্রি হচ্ছে গরু ছাগল। ২৫শে জুলাই শনিবার সরজমিনে দেখা যায় এমন চিত্র। ফলে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি দেখছেন সচেতন মহল। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সামাজিক দূরত্ব বজায় ও মুখে মাস্ক পড়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের সর্তে দেশের হাটবাজার বিশেষ করে গো-হাট গুলোতে বেচাকেনার নির্দেশ দিয়েছেন সরকার। এই নির্দেশ অমান্য করে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদর, সান্তাহার রাধাকান্ত, নসরতপুর রেললাইনের উপড়, চাঁপাপুর, সাওইলসহ বিভিন্ন গো-হাট হাটবাজার গুলোতে ইজারদারগন সামাজিক দূরত্ব কিংবা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন ব্যবস্থা করেননি। অনেক ক্রেতা বিক্রেতা মুখে কোন মাস্ক ও নেই। বিশেষ করে পবিত্র ঈদুল আযহার কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বালাই নেই। গবাদিপশু ক্রয় ও বিক্রয়কারিদের চলাচল যেন স্বাভাবিক সময়ের মতোই চলছে। নেই কোন সামাজিক দূরত্ব। অধিকাংশ ক্রেতা বিক্রেতারা হাটের ভিতর শরীরের সাথে শরীর লাগিয়ে অবাদে চলাচল করছে মুখে নেই মাস্ক। এখানে মাস্ক বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে কয়েকজন মাস্ক বিক্রেতাকে। এতে ইজারাদারদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। ফলে করোনাাইরাস সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি দেখছেন সচেতন মহল। পশু বিক্রেতা আব্দুল আলিম জানায়, গো-হাটের ভিতর জনসমাগমের চাপে হেটে চলার উপায় নেই। হাটে বেশি সময় মুখে মাস্ক ব্যবহার করলে দম বন্ধ হয়ে আসে। তাই মাস্ক খুলে রেখেছি। হাটের ইজারাদার জয়নাল আবেদীন ও দিদারুল ইসলাম প্রিন্স জানান, প্রতি হাটবারে ক্রেতা বিক্রেতাদের মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাচলের জন্য মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে।
আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক হাটবাজারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য ইজারাদারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।