কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গায় অবৈধভাবে বসতিস্থাপন হওয়ায়, প্রতিনিয়ত ঘটছে বন্য হাতির আক্রমণ।এতে বাড়ি ভাংচুর,ফলদ বাগানে তান্ডব চালিয়ে প্রায় সময় জান-মালের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়।
(২১-২২ ডিসেম্বর) রাত ও দিনে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মধুখালী গ্রামে ঘরবাড়ী ভাংচুর,ফলদ বাগানে একাধিক তান্ডবের ঘটনা ঘটেছে।
পরিবেশবাদী ও বিশিষ্ট জনেরা জানান,সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গাতেই প্রতিদিন নির্মাণ হচ্ছে অবৈধভাবে ঘরবাড়ি,পাহাড় কাঁটা বালু উত্তোলন চলছে প্রতিনিয়ত। এইভাবে কর্মযজ্ঞ চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই নিধন হওয়ার সম্ভাবনা বন্যপ্রাণী ও বনাঞ্চল। পরিবেশ ও কৃষিতে বিপর্যায় ঘটতে পারে।এটাকে বনবিভাগের দায়িত্ব অবহেলা বলে দেখছেন অনেকে।
চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট এন্ড ফরেস্ট্রি এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস বিভাগের পরিচারক প্রফেসর ড.দানেশ মিয়া বলেন,যে পরিমান আমাদের ফরেস্ট্রি থাকা দরকার ওতটুকু আমাদের নেই।কৃষি অর্থনীতির জন্য ২৫% ফরেস্ট্রি থাকতে হবে।অন্যথায় আমাদের প্রাণীজগত ও কৃষি অর্থনীতি ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।বন বিভাগ যথাযথ দায়িত্ব পালন করলে এটা প্রতিরোধ করা যাবে।
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের অধীনস্থ বারাবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল গফুর মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি,প্রতিবেদকের সাথে একাত্মতা পোষণ করে বলেন,আমাদের লোকবল সঙ্কট হওয়ায় আমরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারছিনা।