গতকাল ০৫/১০/২০২০ইং তারিখে সুবর্নচর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিতে একজনকে আহবায়ক ও ১২ জনকে যুগ্ন আহবায়ক করা হয়।খবর নিয়ে জানা যায় কমিটির আহবায়ক হলো সুবর্নচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের হানছাদ বাড়ির সন্তান।যে কিনা গত জাতিয় নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ধনের শীষ প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ফারুক হোসেনের ছোট ভাই। ফারুক হোসেন সাবেক উপজেলা যুবদলের সভাপতি। ঐ ইউনিয়নের শ্রেষ্ঠতম বিএনপি পরিবার হলো ছাত্রলীগের আহবায়কের পরিবার। ছাত্রলীগের আহবায়ক জাবেদ মামুন ওই বাড়ির সন্তান।
১ নং যুগ্ন আহবায়ক, ইয়াসিন আরাফার।তার বাবা উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক।ইউনিয়ন বিএনপির দপ্তর সম্পাদক। ০৩ নং যুগ্ন আহবায়ক ধর্ষণ মামলার আসামী।যার পরিবারের কোন সদস্য আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত নয়।
০৫ নং যুগ্ন আহবায়ক, কাঞ্চন মজুমদার, মাদক ও কেসিনো/জুয়া খেলা নিয়ে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকে বলে ও জনাযায় ।ছবিতে কেসিনো খেলার দৃশ্য রয়েছে। ১০ নং যুগ্ন আহবায়ক, কামরুল হোসেন টুটুল, যার বাবা বিএনপি এর সমর্থিত সাধারণ কর্মি।তার পূর্ব পুরুষেরা সকলে বি এন পি এর সাথে জডিত। তার জেঠা হারুন মিয়া,
সুবর্নচরের বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা।
এবং এমপি শাহজাহান ওই বাড়িতে অবস্থান করেন। সুবর্নচর উপজেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিয়নের (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেলো যে,ছাত্রলীগের প্রার্থীদের মাঝে সব চেয়ে কর্মিবান্ধব ও জনপ্রিয় প্রার্থী ছিলো সভাপতি প্রার্থী হাসান আহমেদ।ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ফিরোজ আলম টিটু।তারা সাবেক আহবায়ক কমিটির অনুসারী ছিলো না বলে তাকে কমিটিতে রাখা হয়নি।সে সরাসরি একরামুল করিম চৌধুরীর রাজনীতি করে।তাই সাবেক মহল,তাকে কৌশলে বাদ দিয়ে একজন কর্মী বান্ধব নেতাকে নতুন কমিটির সদস্য করে হেয় প্রতিপন্ন করে।বিভিন্ন মহলে আরও প্রকাশ পায় যে,এতে করে একরামুল করিম চৌধুরী এমপির জনপ্রিয়তা হ্রস হয়ে যাচ্চে।কয়েক জন যুব নেতা তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এমপি পরিবারকে ভুল বুঝিয়ে, তারা তাদের লোক সেট করছে।তাদের মাঝে কেউ চেয়ারম্যান প্রার্থী হবে, কেউ যুবলীগের সভাপতি হবে।এ বিষয়ে হাসান আহমেদকে কল করলে তিনি বিডি টিভি কে জানান।আমি পদ পায়নি তাতে আমার কোন দূঃখ নেই।আমি প্রিয় নেতা একরামুল করিম চৌধুরী এমপির সাথে আছি এবং থাকবো। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এরকম জামাত, বিএনপি মিশ্রিত একটি কমিটি কখনো আশা করিনি।
ফিরোজ আলম টিটুকে কল দিলে তিনি বলেন, আমার পরিবারের মাঝে কোন বিএনপি, জামাত নেই।আমি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলাম।কুচক্রী মহল জেলা ছাত্রলীগ ও এমপি পরিবারকে ভুল বুঝিয়ে আমাকে কমিটির সদস্যও রাখা হয়নি।কিন্তু বিএনপির দপ্তর সম্পাদকের ছেলে ১ নং যুগ্ন আহবায়ক হয় কিভাবে।কিছুদিন আগে শিবির থেকে আসা ছেলে কিভাবে আহবায়ক হয়।ফিররোজ আরও বলে কিছু দিনের মধ্যে উপজেলা যুবলীগের কমিটি দেওয়া হবে মনে হয়,এটা ও এরকম পকেটে কমিটি হবে বলে মনে করছেন সকলে।