ইয়াবার গডফাদাররা আবারো রাজার হালে চলাচল করায় জনমনে চরম উদ্বেগ উঠকন্ঠা দেশ-বিদেশে আত্মগোপনে থাকা ইয়াবাডন রা প্রকাশ্যে মাঠে ময়দানে চষে বেড়াচ্ছে। ইয়াবার গডফাদার,ইয়াবা ডনরা রাজার হালে চলাচল করায় সাধারণ জনগনের মধ্যে উদ্বেগ উঠকন্ঠার যেন শেষ
নেই। তাদের অবাধ চলাফেরায় এলাকায় দিন দিন অপ্রীতিকর ঘটনা ও ঘটে যাচ্ছে
একের পর এক। অতি সম্প্রতি গত ৩০ আগস্ট রবিবার রাত ১০টায় টেকনাফের হ্নীলা
ইউনিয়নের রসুলাবাদ এলাকার সৌদিআরব প্রবাসী নুর মোহাম্মদের বসত-বাড়িতে
চিহ্নিত ইয়াবা সন্ত্রাসীরা ৫/৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও বসত বাড়ীতে
তান্ডব চালিয়েছে । ৩০ আগস্ট রবিবার রাত ১০ টা ৩৫ মিনিটে রাসুলাবাদেও এই
ঘটনা বিবেকবান মানুষের মনে নানা প্রশ্নের উকি দিয়েছে। ৩১ আগস্ট প্রবাসী
নুর মোহাম্মদ টেকনাফ মডেল থানায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের
করেছে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ইয়াবা ব্যবসায়ী। এঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে
আতংক বিরাজ করছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, হ্নীলা
ইউনিয়নের ইউপি ভবন সংলগ্ন রসুলাবাদ এলাকার মাকছুদুল হক এর পুত্র সৌদিআরব
প্রবাসী নুর মোহাম্মদ রাত ৭ টার দিকে হ্নীলা ষ্টেশন থেকে টমটম যোগে নিজ
বাড়িতে ফেরার পথে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা মদপান করে টমটম
গাড়ী নিয়ে চলন্ত অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ ও হৈ চৈ করে। এক
পর্যায়ে সৌদিআরব প্রবাসী নুর মোহাম্মদ সন্ত্রাসীদের টমটম চালক কে রাস্তা
ফাকা করে দেওয়ার কথা বললে উক্ত সন্ত্রাসীরা ক্ষীপ্ত হয়ে অশালীন ভাষায়
গালিগালাজ ও মারধর করার জন্য এগিয়ে আসলে স্ত্রানীয় লোকজন এসে রক্ষা করে।
এর পর ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বাড়িতে চলে যায়। প্রবাসী নুর মোহাম্মদ জানায়,
উক্ত ঘটনার জের ধরে রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও চিহ্নিত
সন্ত্রাসী হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামারী এলাকার পেটান প্রকাশ কানা পেটানের
ছেলে মো. ইউনুছ, রসুলাবাদ এলাকার গুরা মিয়ার ছেলে হাসান আলী, গাজী পাড়া
এলাকার পুইন্নার ছেলে নুরুল আবছার, উলুচামারী এলাকার মৃত আহম্মদের ছেলে
মো. হারুন, লেচুয়াপ্রাং এলাকার নুরুল আলম প্রকাশ গুরা মিয়ার ছেলে মো.
কায়ছার, রসুলাবাদ এলাকার হাসান আলীর ছেলে করিম উল্লাহ, উলুচামারী এলাকার
পেটান প্রকাশ কানা পেটার এর ছেলে আবদুল্লাহ, উলুচামারী এলাকার নুরুল
ইসলামের তিন ছেলে কোরবান আলী, রমজান আলী, নজির আহম্মদ, উলুচামারী এলাকার
মৃত রাজা মিয়া প্রকাশ মা রাজার ছেলে মো. মন্নান, উলুচামারী এলাকার
সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. মোস্তফা, উলুচামারী এলাকার আবু তালেবের ছেলে
আনোয়ার হোছন, একই এলাকার নবী হোছন এর ছেলে মো. নাছিরের নেতৃত্বে অবৈধ
অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সৌদিআরব প্রবাসী নুর মোহাম্মদ কে হত্যার উদ্দ্যেশে
বসত-বাড়ির গেইট, দরজা ভাংচুর ও ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে চলে যাওয়ার সময় নুর
মোহাম্মদকে একা কোন যায়গায় পেলে প্রাণে মেরে পেলার হুমকি দিয়ে যায়।
এব্যাপারে অভিযোগকারী নুর মোহাম্মদ বলেন,
আমি হ্নীলা ষ্টেশন থেকে রাত ৭ টার দিকে বাড়িতে ফেরার পথে রাস্তার মধ্যে
৪/৫ জন লোক মদপান করা অবস্থায় আমার টমটমের সামনা সামনি হৈ চৈ করতে লাগল।
এক পর্যায়ে আমি তাদের টমটমের ড্রাইভারকে আমাদের টমটম যাওয়ার জন্য রাস্তা
ফাকা করে দেওয়ার কথার সাথে সাথে উক্ত টমটমে থাকা সন্ত্রাসীর অশালীন ভাষায়
গালিগালাজ ও মারধর করে এগিয়ে আসে। পরে স্ত্রানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আমি
ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। পরে রাতে আবারও আমার বসত-বাড়িতে ফাঁকা গুলিবর্ষণ,
গেইট, বাড়ির দরজা ভাংচুর করে চলে যায়। বিষয়টি ৩১ আগস্ট সকালে স্ত্রানীয়
মেম্বার ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবগত করি। ইউনিয়ন পরিষদের
চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের পরামর্শে টেকনাফ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ
দায়ের করি। টেকনাফ মডেল থানায় এ বিষয়ে ল্যান্ডফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা
ব্যস্ত বলে লাইন কেটে দেয়। এখন সর্বত্র মাদক কারবারীদের দাপট! তারা যেন
নতুন সুনালী যোগ ফিওে পেয়েছে। আইন,কানুন,মুরব্বি,ছোট বড়,কাউকে কোন প্রকার
তোয়াক্কা করছেনা। আবার দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার বিদেশে পলাতক থাকা
কারবারীরাও দেশে রাজা বাদশাহর মত করে চলছে। টেকনাফ সদও,হ্নীলা,হোয়াইক্যং
এর নয়াবাজার,নয়াপাড়া,খারাংখালী,মৌল
ফেরত ইয়াবা ডনরা ডজন ডজন মামলা নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরছে। ইয়াবা ব্যবসা ও
পুরোদমে শুরু হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সহ আইনশৃংখলা বাহিনী
গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি চালান ও উদ্ধার করেছে। ফলে সব মিলিয়ে সর্বত্র
আইনশৃংখলা অবনতির আশংকা দেখা দিয়েছে। অপরদিকে কিছু সিনিয়র সাংবাদিক ও
আইনশৃংখলা বাহিনীর বিরুদ্ধে মাদক করবারীরা বিভিন্ন পন্থায় নানা উস্কানি
দিয়ে যাচ্ছে। মাদককারবারীদের এখন নাকি সুদিন!।