মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
টানটান উত্তেজনায় শেষ হল শেখ রাসেল গোল্ডকাপ;বিজয়ীদের পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিগণ টেকনাফে মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পের উপকারভোগীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ পরবর্তী নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ টেকনাফে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অভাবনীয় সফলতায় মেম্বার এনামের প্রতিষ্ঠিত বালিকা মাদ্রাসা টেকনাফে “অক্সফাম” কর্তৃক ভাউচার প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ “মুক্তি” কক্সবাজার কর্তৃক উপকারভোগীদের মাঝে কৃষি উপকরণ ও নগদ টাকা বিতরণ “বাংলাদেশ সমতা ঐক্য পরিষদ’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী শাখার তৃতীয় মেয়াদে কমিটি গঠিত “মানবাধিকার দিবস” উপলক্ষে টেকনাফে কোস্ট ফাউন্ডেশনের সেমিনার রামুতে সূর্যের হাসি যুব সংঘ ও প্রবাসী ফোরামের উদ্যোগে এসএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা মুক্তি” কক্সবাজার কর্তৃক টেকনাফে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত

বিয়ে তার ”পেশা” ২৯ বছর বয়সেই ৯ বিয়ে |বাংলাদেশ দিগন্ত

বিডি দিগন্ত ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৬৫৮ বার পঠিত

বয়স মাত্র ২৯ বছর। এরই মধ্যে সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠেছেন ব্যতিক্রমধর্মী প্রতারণায়। বিয়ের মাধ্যমে প্রতারণা হয়ে উঠেছে তাঁর পেশা। একে একে বিয়ে করেছেন ৯টি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ৯ নম্বরে এসে পাকড়াও হয়েছেন পুলিশের জালে। শেষ পর্যন্ত ঠিকানা হয়েছে শ্রীঘর। চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও পাহাড়তলী থানা পুলিশ যৌথভাবে গত শুক্রবার রাতে এ অভিযান চালায়।

 

চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ এমনই এক বিয়ে প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি মোহাম্মদ সোলাইমান পাহাড়তলী এলাকার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা। তাঁর গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলায়। বাসা থেকে নবম স্ত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (বন্দর) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, পেশায় গার্মেন্ট শ্রমিক সোলাইমান বেতন পান আট হাজার টাকা। তিনি প্রতারণার কৌশল হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অল্প বয়সী মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করেন। প্রতারণার অংশ হিসেবে নিজকে সরকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কখনো পুলিশ, কখনো সেনাবাহিনী কিংবা নৌবাহিনীর অফিসার পরিচয় দেন।

 

শুধু তাই নয়, নিজের ছবি সম্পাদনা করে এমনভাবে উপস্থাপন করেন যাতে দেখা যায়, তিনি সরকারি কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এসব ছবি মেয়েদের কাছে পাঠিয়ে সম্পর্কের ভিত মজবুত করেন।

এরপর মেয়েদের বিয়ে করে। আর বিয়ে করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তথা বউয়ের ভাই-বোনকে চাকরি দেওয়ার নাম করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেন। পাশাপাশি স্ত্রীদের নামে এনজিওর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে পালিয়ে যান।
এভাবে এক স্ত্রীর কাছ থেকে পালিয়ে অন্য জায়গায় চলে যায়। সেখানে গিয়ে একই কায়দায় অন্য মেয়েকে বিয়ে করে। এভাবেই ৯টি বিয়ে করেছেন সোলাইমান।

সর্বশেষ অষ্টম স্ত্রী রাহেলার নামে এনজিও থেকে ঋণের এক লাখ টাকা এবং তার ভাইদের চাকরি দেওয়ার নাম করে আড়াই লাখসহ সাড়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এই বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার এস এম মোস্তাইন হোসেনের কাছে অভিযোগ করে ওই পরিবার। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালায় পুলিশ।

গ্রেপ্তারের পর ১৫ বছর বয়সী নবম স্ত্রীর মা রহিমা আক্তার বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় মেয়ে জামাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করছেন। এ ছাড়াও অষ্টম স্ত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs
error: Content is protected !!