করোনাভাইরাস বিশ্বে মহামারীর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। যার কারণে এবার ঈদের নামাজ পড়তে হয়েছে বাড়িতে। এবার হজের ক্ষেত্রে আরোপ হয়েছে বিধি নিষেধ। অন্যান্য বছর মুসলিম ধর্মাবলি ২৫ লাখের বেশি মানুষ হজের জন্য মক্কায় আসেন। কিন্তু চলতি বছর এটা সম্ভব নয়। তাই এ বছর হজের জন্য সৌদিতে বসবাসরত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মাত্র ১ হাজার জন হজে অংশগ্রহণ করবেন। যদিও অনেকে বলছেন এই সংখ্যা ১০ হাজার।
সৌদি আরবে মঙ্গলবার ৩০ দিন পূর্ণ হবে জিলকদ মাসের। হিসাব অনুযায়ী দেশটিতে আগামী বৃহস্পতিবার ৩০ জুলাই পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দিন ৩১ জুলাই অর্থাৎ শুক্রবার পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আযহা।
উল্লেখ্য , মহামারী করোনার কারণে এ বছর সীমিত আকারে অনুষ্ঠিত হবে হজ। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১৯ জুলাই থেকে এ বছর হজে অংশগ্রহণকারীদের কোয়ারান্টিনে নেওয়ার মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করেছে সৌদি আরবের হজও ওমরা মন্ত্রণালয়।
হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয় এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে , স্বাস্থ্য বিধি অনুযায়ী এবার বিশেষ শর্তে মুসলিমদের হজ্ব পালনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। হজ শুরুর আগে অংশগ্রহণকারীদের প্রটোকল অনুযায়ী সাতদিনের আইসোলেশন রয়েছেন।
এবারের হজের নিয়মে বলা হয়েছে, সাত দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষে মক্কায় এসে আরও চার দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে হজ যাত্রীর। সৌদি আরবের হজ মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠিয়েছে। এসব সামগ্রীর বাইরে অন্য কিছু বহন করতে পারবে না হজযাত্রীরা। যাতায়াতের জন্য প্রতি ২০ জন করে একটি দল করা হয়েছে। প্রত্যেক বাসে এক দল করে হজযাত্রী উঠতে পারবেন।
প্রসঙ্গত , প্রতিবছর সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ২৫ লাখ লোক হজে অংশগ্রহণ করতেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে মাত্র ১ হাজার মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবারের হজ। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বাইরের দেশ থেকে হজ করতে যাবার সুযোগ বাতিল করা হচ্ছে এবার। হজের সুযোগ পাবে শুধু সৌদি আরবের বাসিন্দা এবং দেশটিতে বসবাসরত বিদেশিরা।
করোনার কারণে এবারের হজে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি বিনা অনুমতিতে মক্কা ও এর আশপাশের এলাকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ২০ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত বিনা অনুমতিতে হজের রোকন অঞ্চলে প্রবেশ করলেই ১০ হাজার রিয়াল জরিমানার বিধান করেছে দেশটি।
হজ সম্পন্নের প্রস্তুতিতে আগামী ২৯ জুলাই ইহরাম বেঁধে জোহরের আগেই মিনায় পৌঁছাতে হবে হজ পালনকারীদের। মূলত ২৮ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয়ে যাবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
হজ এবং উমরাহ থেকে সৌদি সরকার প্রতি বছর ১২ বিলিয়ন ডলার আয় করে থাকে।