সুবর্ণচর উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নের চর বৈশাখী গ্রামে যুব লীগ নেতা কর্তৃক জামেয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানা ভাংচুর ও জমি দখলের পায়তারার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ছাএ-শিক্ষক।
সোমবার (১১ জানুয়ারী) সকাল ১০ টায় মাদ্রাসা পরিচালকের নেতৃত্বে প্রতিবাদ পরবর্তী মানববন্ধন শুরু হয়।এতে মাদ্রাসার শিক্ষক,ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসীরা অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে মাদ্রাসার পরিচালক মুফতী আবুল খায়ের বলেন,স্থানীয় জোৎতার দখলদার আনছল হক মিয়ার নির্দেশে তার ছেলে যুবলীগ নেতা নুর ইসলাম,ছাত্রলীগ নেতা মফিজুর রহমান,তাজুল ইসলাম ও ফখরুল ইসলাম দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রবিবার (১০ জানুয়ারী) দুপুর দেড়টার দিকে মাদ্রাসায় হামলা চালায়।হামলাকারীরা মাদ্রাসার মহিলা হোস্টেলসহ দু’টি কক্ষে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। হামলার সময় মহিলারা বাধা দিলে তাদেরকে মারধর করে এমনকি কোলের শিশুও তাদের আঘাত থেকে পায় নি।
পরিচালক আরও জানান,মাদ্রাসাটি বর্তমান জায়গায় প্রায় ১৭ বছর যাবত দ্বীনি শিক্ষা দিয়ে আসছে। মাদ্রাসার জমিটুকু মুফতী আবুল খায়েরের নিজ নামে বন্দোবস্তকৃত। অপর দিকে যুবলীগ নেতা নুর ইসলাম বলেন,মাদ্রাসার সব জমি আমরা ফি সাবিলিল্লাহ দিয়ে আমরা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করি।এমনকি মাদ্রাসার পাশে প্রস্তাবিত থানারহাট কলেজের জন্যও একশত শতাংশ জমি দাতা হিসেবে আমরা দিয়েছি। এই মুফতি চাই না এখানে কলেজ প্রতিষ্ঠা হোক। তাই সে কলেজে যাতায়াতের সড়কের উপর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
চর জব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল হকের নিকট জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলে এই ব্যাপারে লিখিত বা মৌখিক কোনো অভিযোগ পায়নি।অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।