সোমবার মায়ের মৃত্যুতে ছয় ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন ইরফান। সোমবার বেলা সোয়া ২টার দিকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে চকবাজার থানার পুলিশ ইরফান সেলিমকে পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জ এলাকার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে মাকে শেষবারের মতো দেখার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে আবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।
রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে হাজী সেলিমের স্ত্রী ও ইরফান সেলিমের মা গুলশান আরা বেগম মারা যান। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ ইরফানকে ৬ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেয়।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানের ওপর হামলার অভিযোগে ইরফান সেলিমকে ২৬ অক্টোবর পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জ এলাকার বাসা থেকে আটক করে র্যাব।
ওই মামলায় এর আগে ১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় দুদিনের এবং ২৮ অক্টোবর প্রথম দফায় ইরফান সেলিম ও তার সহযোগী জাহিদকে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। মামলায় রিমান্ড শেষে ইরফান সেলিমের সহযোগী এবি সিদ্দিকী দিপু এবং হাজী সেলিমের গাড়িচালক মো. মিজানুর রহমান খান কারাগারে আছেন। ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি করা হয়।
মামলায় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, এবি সিদ্দিক দিপু, মো. জাহিদ ও মো. মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়।
২৬ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজারে হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযানকালে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। আর অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। দুই মামলায় মোট দেড় বছরের সাজা দেয়া হয় তাকে।
ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই অভিযানে অস্ত্র, ইয়াবা, বিদেশি মদ, ৩৮টি ওয়াকিটকি ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রাজধানীর চকবাজার থানায় ইরফান ও জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি করে চারটি মামলা হয়। এসব মামলায়ও তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। ৮ নভেম্বর রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।