টেকনাফের মুছনী নয়াপাড়া এপিবিএন পুলিশের ইনচার্জ ফয়জুল আজিম নোমানির বিচক্ষণতার কারণে অস্ত্র ও বুলেট দিয়ে দিন মজুর ও টমটম চালকদের ফাঁসানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ।পুলিশ কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাধারণ নিরীহ জনগণকে হয়রানি করা ও পুলিশ এবং সেবা প্রত্যাশী জনগণকে বিভ্রান্তির বেড়াজালে জড়িয়ে সংঘাত সৃষ্টির পথ রুদ্ধ করে দেয়ায় তিনি এখন প্রসংসা জোয়ারে ভাসছেন। তিনি বলেন, গত ২৮/১২/২০২০ইং আমাদের কে জৈনক এক ব্যক্তি ফোন করে বলেছিল, রঙ্গিখালী ৭নং ওয়ার্ডে গুরামিয়ার পুত্র মৃত জসিম উদ্দীনের বাড়িতে কিছু অস্ত্র আছে,আপনি এখনি আসলে তা উদ্ধার করতে পারবেন।এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরাও অস্ত্র উদ্ধারের নিমিত্তে অভিযানে যায়, কিন্তুু গিয়ে দেখি ঘটনা স্থলের চিত্র ভিন্ন। তারপরেও মাদক,অস্ত্র ও মানব পাচারের বিরুদ্ধে সরকারের দেয়া জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে তাহার বাড়ির উঠান হতে বস্তাভর্তি কিছু অস্ত্র উদ্ধার করি এবং সন্দেহজনক ভাবে তিনজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।ঐ অভিযানের দেয়া তথ্য ও ঘটনা স্থলে গিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের বাস্তবতা সন্দেহ সৃষ্টি হলে,পরে আটক কৃতদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে কথা বলে আটককৃতদের মধ্যে হতে সরওয়ার ও মোঃ নুর কে নির্দোষ প্রমাণিত ও স্বীকৃতি পাওয়ায় বিধি মোতাবেক তাদেরকে লিখিত ডকুমেন্ট নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।এবং অপরজন কে বিভিন্ন মামলা থাকায় তাকে সে মামলা গুলি দিয়ে টেকনাফ থানায় পাঠানো হয়েছে। কিন্তুু অস্ত্র দিয়ে নিরীহ মানুষ ফাঁসানো ও উদ্বার কৃত অস্ত্র গুলো কার হতে পারে তাহার সত্যতা নিশ্চিত করতে ৪ই জানুয়ারী দুপুর ১টার সময় ঘটনা স্থলে ছুটে এলেন নয়াপাড়া ক্যাম্প কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এপিবিএন) মোঃ আব্দুল্লাহ, জাদিমোড়া ক্যাম্প কামান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(এপিবিএন) কামরুল হাসান এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এপিবিএন) তুফাজ্জল।ঘটনা স্থল পনরিদর্শন শেষে তাঁরা জানান, যারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে এপিবিএন পুলিশের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে চেয়েছে ও বিভিন্ন দপ্তরে মোবাইল করে আমাদের বিরুদ্ধে ভুল বুঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তা আমাদের প্রমাণ আছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।এই বিষয়ে ১৬এপিবিএন পুলিশের অধিনায়ক তারিকুল ইসলামের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে বলেন,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে গেলে,সেখানে পরিত্যক্ত অবস্থায় অস্ত্রগুলো পাওয়া গেছে,তবে কোনো লোকের হেফাজতে পাওয়া যায়নি।পুলিশ দেখে দৌঁড়ে পালানোর সময় দুইজনকে আটক করেছে,পরে ঐদুই ব্যক্তিই নিরিহ অটো চালক প্রমানিত হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।