সুদানের দারফুর প্রদেশে এল ফাশেরের “বঙ্গবন্ধু ক্যাম্পে” আজ আটকে পড়া বাংলাদেশীদের জন্য বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিট সুদানিজ মুদ্রায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। ২০০১ সালে বাংলাদেশ থেকে অনেকে ভাগ্যের অন্বেষণে ইউরোপ পাড়ি দিতে গিয়ে সুদানের বিভিন্ন জায়গায় আটকা পড়ে। এরুপ ভাবে নরসিংদীর মোহাম্মদ আমির হোসেন, পিতা মৃত আব্দুল মালেক সুদানের দারফুরে থেকে যায়। এখানে তার পরিবার পরিজন তৈরী হয়। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণেতার মতো অনেক বাংলাদেশীদের আর্থিক অনটনে পড়তে হয়। তাঁর মতো আটকে থাকা বাংলাদেশীদের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী গড়ে তুলতে বরাবরের মতই বাংলাদেশ পুলিশ আর্থিক সহায়তা প্রদানের হাত বাড়িয়েছে।এই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যানএফপিইউ কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম। এল ফাশেরে বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিটের বাংলাদেশীদের দেয়া এটি প্রথম বারের মত আর্থিক সহায়তা প্রোগ্রাম।প্রদান অনুষ্ঠানে আটকে পড়া বাংলাদেশী আমির আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ প্রদান করেন। ব্যানএফপিইউ কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেন, জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকীতে আমাদের ইউনিট বাংলাদেশী ভাই-বোনদের জন্য কিছু করতে পেরে আমরা গর্বিত। আমাদের অভিভাবক সম্মানিত আইজিপি ড.বেনজীর আহমেদ স্যারের নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশ পুলিশকে বিদেশের মাটিতেও একটি ব্র্যান্ড হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। কোভিড-১৯ মোকাবেলা সহ বাংলাদেশ পুলিশ সুদানের যুদ্ধ বিধস্ত প্রদেশ দারফুরে অর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ডেপুটি কমান্ডার নাজলি ফেরদৌস জানান, ইতোমধ্যে এই ইউনিটের কমান্ডারের প্রচেষ্টায় বৃক্ষ রোপণ, স্কুলগুলোতে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, অবহেলিত বাস্তুচুত্য মহিলাদের বিভিন্ন আয়মূলক কর্মশালা প্রদান, সুদান গেস্ট পুলিশকে প্রশিক্ষণ প্রদান, হাসপাতালে বেড প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জাতির পিতার জীবনীমূলক বই প্রদান, কারাগারে পানীয়-খাবার ও সেলাই মেশিন প্রদান করাসহ নানা সেবামূলক কাজ করা হচ্ছে। প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিটের কমান্ড স্টাফগণ উপস্থিত ছিলেন।