মেজর জেনারেল হিসাবে পদন্নোতি পেলেন কক্সবাজারের কৃতী সন্তান হামিদুল হক এন.এস.ডব্লিও.সি,পি.এস.সি।
ইয়াছিন আরাফাত, কক্সবাজার :
সদ্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হতে পদন্নোতি পেয়ে মেজর জেনারেল হয়েছেন কক্সবাজারের সূর্য সন্তান হামিদুল হক। মেজর জেনারেল হামিদুল হক কক্সবাজারের সিনিয়ন আইনজীবী প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট হাবিবুর রহমানের মেঝ মেয়ের জামাতা। কক্সবাজার নারীও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর স্পেশাল পিপি, সদর আওয়ামীলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ মোঃ রেজাউর রহমান, কক্সবাজার জেলা স্বাচিপের সদস্য সচিব ডাঃমারুফ উর রহমান ও এডভোকেট সেতারাত জাহান সেতুর ভগ্নিপতি।
আজ সকালে সেনা সদর দপ্তরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি ও সেনা সদরের চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, ওএসপি, এসইউপি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি হামিদুল ভাইকে মেজর জেনারেল এর র্যাংক পরিয়ে দেন।
তিনি কক্সবাজার জেলার সদ্য ঘোষিত ঈদগাঁহ উপজেলার আওতাধীন জালালাবাদ ইউনিয়নের পালাকাটা গ্রামের বাসিন্দা। পিতা মৃত মোহাম্মদ মর্তুজা মাতা আঙ্গুর আরা বেগম।তিনি কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও মডেল উচ্চ বিদ্যালয় হইতে এস.এস. সি. এবং চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচ.এস.সি. পাশ করেন।
পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন।তিনি সেনাবাহিনীর ২২ তম লং কোর্সের একজন চৌকস সেনা কর্মকর্তা। তিনি ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৯০ সালের ২২ জুন তারিখে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইনফ্যান্ট্রি কোরে কমিশন লাভ করেন।
তিনি মিরপুর স্টাফ কলেজ থেকে PSC এবং পাকিস্তান ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ থেকে কৃতীত্বের সাথে NSWC কোর্স সম্পন্ন করেন। তাছাড়া তিনি আইন বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি ও সামরিক বিষয়ে দুইটি মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি পদ্মাসেতুর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে দায়িত্বরত ২০৩ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অত্যান্ত মেধাবী ও চৌকস এবং দেশপ্রেমিক
অফিসার হিসেবে সুনামের সহিত প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর এ জি এস ও – ১ এবং পরিচালক আইএবি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ঘাঁটাইল ক্যান্টনমেন্ট এ কর্নেল স্টাফ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্কুল অফ ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকস এ ডাইরেক্টিং স্টাফ ও বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে স্টাফ অফিসার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।তিনি জাতি সংঘের শান্তি রক্ষা মিশন সিয়েরালিওনে ও সুদানের দারফুরে ডেপুটি সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বরিশাল শেখ হাসিনা ক্যান্টমেন্ট এ স্টেশন কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মিরপুর ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ভারপ্রাপ্ত কলেজ সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তাছাড়া ও তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন এবং পাকিস্তানে উচ্চতর সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
তিনি এডভোকেট হাবিবুর রহমানের মেঝ কন্যা নূছরাত জাহানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।তিনি ইফরাদ,ইশরাক, ইশফার নামে তিন পুএ সন্তানের জনক। নতুন কর্মস্থল জিওসি, ১৭ পদাতিক ডিভিশান সিলেট।