শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কোস্টগার্ডের ধাওয়ায় ৭ লাখ ইয়াবা পানিতে ফেলে পালাল পাচারকারীরা ‘ইশ্-মার্ট বাংলাদেশ’ প্রভাষক শাহীন সরওয়ার টানটান উত্তেজনায় শেষ হল শেখ রাসেল গোল্ডকাপ;বিজয়ীদের পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিগণ টেকনাফে মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পের উপকারভোগীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ পরবর্তী নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ টেকনাফে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অভাবনীয় সফলতায় মেম্বার এনামের প্রতিষ্ঠিত বালিকা মাদ্রাসা টেকনাফে “অক্সফাম” কর্তৃক ভাউচার প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ “মুক্তি” কক্সবাজার কর্তৃক উপকারভোগীদের মাঝে কৃষি উপকরণ ও নগদ টাকা বিতরণ “বাংলাদেশ সমতা ঐক্য পরিষদ’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী শাখার তৃতীয় মেয়াদে কমিটি গঠিত “মানবাধিকার দিবস” উপলক্ষে টেকনাফে কোস্ট ফাউন্ডেশনের সেমিনার

মৌলভীবাজারে মোবাইল চুরির অপবাদে শিশুকে অমানবিক নির্যাতন |বাংলাদেশ দিগন্ত

জালাল উদ্দিন,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০২০
  • ৫১৮ বার পঠিত

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ইসলামপুর ইউনিয়নে মোবাইল চুরির অপরাধে দুই শিশুকে অমানষিক নির্যাতন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১০ জুলাই) কুরমা চা বাগানে অফিসের সামনে খুঁটির সাথে বেঁধে রেখে স্থানীয় ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে সকাল ৭টা থেকে দুপুর পর্যন্ত শিশু দু’টিকে বেধড়ক পিঠানো হয়েছে।

পরে অভিবাবকদের কাছ থেকে মুছলেকা নিয়ে বিকাল ৩টায় ছেড়ে দেয়া হয়। তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কমলগঞ্জ সদর হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এলাকাবাসী ও নির্যাতিতদের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে চা বাগান হাসপাতালের কম্পাউন্ডার মামুন ছেলে তুলে মুন্না পাশি (১২) ও জগৎ নুনিয়া (১৩) নামে দুই শিশুকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে খুঁটির সাথে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে।

পরে চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাশিসহ কয়েকজন মিলে বাগান ঘরে নিয়ে বেধড়ক পিঠানো হয়। পরে তাদের ২ জনকে কুরমা চা বাগান ফ্যাক্টরির সামনে খুঁটির সাথে সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত খোলা আকাশের নিচে হাত পিছনে নিয়ে বেঁধে রাখে।

শিশু মুন্নার মা জানান, ইউপি সদস্য দীপেন সাহা সামনে থেকে তাদের পিটিয়েছেন। সাথে ছিল চা বাগান পঞ্চায়েতের সভাপতি নারদ পাশি, সাদেকসহ অনেকে। ছেলেদের অভিবাবকদের কাছ থেকে মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। তাদের অবস্থার অবনতি হলে বিকাল ৪টায় মুন্না ও জগৎকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

নির্যাতিত মুন্নার মা আরো জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করবেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য দীপেন সাহা বলেন, ছেলেদের বেঁধে রাখা হয়েছিল। তবে নির্যাতন করা হয়নি, কয়েকটি চড়-থাপ্পড় দেয়া হয়েছে। ম্যানেজারের কথায় তিনি প্রথমে ছাড়তে পারেন নি। পরে বিকাল ৩টার পর অভিবাবকদের কাছ থেকে মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, মোবাইল চুরির জন্য তাদের আটকানো হয়েছিল, তবে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs
error: Content is protected !!