দেশের পরিবেশ-আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যেখানে সেখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গড়ে তুলা হচ্ছে পোল্ট্রি খামার। যার কারণে মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ,মানুষের বসবাস স্থল ও পরিবেশ ভারসাম্যের ক্ষতি হয় এমন আশপাশ ও চলাচলের পথে পরিবেশ দূষিত হয় এমন কিছু না করার বিষয়ে পরিবেশ আইনে নিষেধ থাকলেও মানছে না তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,রামুর প্রায় সকল ইউনিয়নের রয়েছে পোল্ট্রি খামার। বিশেষ করে উপজেলার কাউয়ারখোপ,জোয়ায়ারিনালা,
রাজারকুল, গর্জনিয়া, ঈদগড়,
খুনিয়াপালং,ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নে রয়েছে মাত্রাতিরিক্ত পোল্টি খামার।
রাস্তার আশেপাশে খোলা স্থানে,মসজিদ মাদ্রাসা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে,উঁচুনিচু পাহাড়ের পাশ্বদিক কেটে গড়ে তোলা খামারগুলোতে নেই কোন পরিচর্যা,নেই কোনো বিষ্ঠা পেলার নিদিষ্ট স্থান, মাচাং দিয়ে উপড়ে রাখা মুরগীর পায়খানাগুলো নিচে পানিতে পড়ে তার থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং জন্ম হচ্ছে মশা মাছির উপদ্রব। খোলা স্থানে মলমুত্র রাখার কারনে সাধারন জনগন ও স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় পড়ুয়া চলাচলের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রামুর সচেতনমহলদাবী করছেন, এই সব খামারের মলমুত্র ফেলার নিদিষ্ট স্হান নাই,ফলে ছোট ছোট বাচ্চাসহ সকলের রোগাআক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী,আর আশেপাশের জমি গুলোতে কৃষি চাষ করতে পারা সম্ববপর হয়ে উঠে না। ক্ষতি হয় পরিবেশের,ক্ষতি হয় দেশের মানুষের জীবন যাত্রার,আমরা চাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও কৃষি জমি বাচাঁনোর যায় এমন পরিবেশ করে তারা পোল্টি খামার গড়ে তুলুক,তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামু উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর মমতাজ উদ্দিন জানান, এসব ময়লা আবর্জনা থেকে মশা-মাছির উপদ্রব বাড়ে। আর এসব দুর্গন্ধ মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে তার থেকে বিভিন্ন রোগ জন্ম নিবে। তাছাড়া পোল্ট্রি খামার করার জন্য সরকারে সুনিদিষ্ট একটা নীতিমালা আছে। জনবসতি থেকে দুরে,স্বচ্ছ ও পরিষ্কার পরিবেশে খামার গুলা করা প্রয়োজন। যদি কেউ সরকারের নীতিমালা না মেনে খামার করে থাকে তাহলে তারা পরিবেশ আইনে শাস্তির আওতায় আসবে।
বলা যায়, দেশের প্রাণীজ আমিষের অভাব খুবই প্রকট। আমিষের এ অভাব মেটাতে পোল্ট্রি খামার করে মুরগি পালনের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করেছে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খুব অল্প সময়ে অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে সাম্প্রতিক সময়ে মুরগি পালন একটি লাভজনক ও সম্ভাবনাময় পেশা হিসাবে পরিচিত । আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সঠিক পরিকল্পনায় স্বাস্থ্যকর পরিবেশে মুরগি খামার স্থাপনের মাধ্যমে মুরগি পালনকে লাভজনক করে তোলা যায়। কিন্তু বর্তমানের পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা তা না করে যত্রতত্র গড়ে তুলেছে পোল্ট্রি খামার।
ভোক্তভোগিরা বলছেন, তারা সুষ্ঠ নিয়ম মেনে পোল্ট্রি খামার গড়ে তুলুকু। দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখুক।